ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৫০ কোটি টাকা
সপ্তাহ শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রতিদিনকার গড় লেনদেন নেমে এসেছে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহেও এর পরিমাণ ছিল ৭০০ কোটি টাকার ওপর। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৫০ কোটি টাকা।
এ ছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য আয়ের অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ। গেল সপ্তাহ শেষে ডিএসইর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর গড় পিই কমে দাঁড়িয়েছে ১৬। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল প্রায় ১৭।
বাজার পর্যালোচনা করে গেল সপ্তাহটিকে ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট-পরবর্তী বিনিযোগকারীদের ‘প্রতিক্রিয়ার সপ্তাহ’ বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক সালাহউদ্দিন আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজেট সামনে রেখে একদল বিনিয়োগকারী বাজারে নতুনভাবে বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিয়েছিল। তাঁদের ধারণা ছিল, বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য সরকার কিছু প্রণোদনা ঘোষণা করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, বাজেটে সে রকম কিছুই নেই। বরং স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের লেনদেনের ওপর উৎসে আয়করের হার বাড়ানো হয়েছে। যার দায়ভার শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ওপর গিয়েই বর্তাবে। এ কারণে আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা তাঁদের অবস্থান থেকে সরে যায়। ফলে বাজেট কেন্দ্র করে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, সেটি কাজে লাগেনি।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ খান আরও বলেন, বর্তমান বাজারে শেয়ারের দাম যে পর্যায়ে রয়েছে সেটি বিনিয়োগের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। কিন্তু দাম আকর্ষণীয় পর্যায়ে থাকলেই তো শুধু হবে না, এর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও আগ্রহ তৈরি করতে হবে। এ কাজটি করতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজারের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনই দরপতন ঘটেছে। কমেছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারের দাম। সপ্তাহজুড়ে হাতবদল হওয়া ২৬৯ কোম্পানির মধ্যে ২৪৪টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে কেবল ১৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আগের সপ্তাহটিতেও ডিএসইতে ২৬৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। তার মধ্যে ১৪৯টিরই দাম বাড়ে, কমেছে ১১১টির আর অপরিবর্তিত ছিল চারটির দাম।
গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছিল পাঁচ হাজার ৯৯০ পয়েন্ট। প্রথম কার্যদিবসেই সাধারণ সূচক কমে প্রায় ৩১৩ পয়েন্ট। পরদিনই সেটি ২২৮ পয়েন্ট বাড়ে। এরপর টানা তিন কার্যদিবসে সেটি কিছু কিছু করে কমেছে। যার ফলে সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ২১৪ পয়েন্ট কম।
গত পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৭৩২ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এর আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ২৩ শতাংশ বা ৮১৫ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিনকার গড় লেনদেন নেমে এসেছে ৫৪৬ কোটি টাকায়, আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৭০৯ কোটি টাকা।
এ ছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য আয়ের অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ। গেল সপ্তাহ শেষে ডিএসইর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর গড় পিই কমে দাঁড়িয়েছে ১৬। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল প্রায় ১৭।
বাজার পর্যালোচনা করে গেল সপ্তাহটিকে ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট-পরবর্তী বিনিযোগকারীদের ‘প্রতিক্রিয়ার সপ্তাহ’ বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক সালাহউদ্দিন আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজেট সামনে রেখে একদল বিনিয়োগকারী বাজারে নতুনভাবে বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিয়েছিল। তাঁদের ধারণা ছিল, বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য সরকার কিছু প্রণোদনা ঘোষণা করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, বাজেটে সে রকম কিছুই নেই। বরং স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের লেনদেনের ওপর উৎসে আয়করের হার বাড়ানো হয়েছে। যার দায়ভার শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ওপর গিয়েই বর্তাবে। এ কারণে আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা তাঁদের অবস্থান থেকে সরে যায়। ফলে বাজেট কেন্দ্র করে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, সেটি কাজে লাগেনি।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ খান আরও বলেন, বর্তমান বাজারে শেয়ারের দাম যে পর্যায়ে রয়েছে সেটি বিনিয়োগের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। কিন্তু দাম আকর্ষণীয় পর্যায়ে থাকলেই তো শুধু হবে না, এর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও আগ্রহ তৈরি করতে হবে। এ কাজটি করতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজারের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনই দরপতন ঘটেছে। কমেছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারের দাম। সপ্তাহজুড়ে হাতবদল হওয়া ২৬৯ কোম্পানির মধ্যে ২৪৪টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে কেবল ১৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আগের সপ্তাহটিতেও ডিএসইতে ২৬৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। তার মধ্যে ১৪৯টিরই দাম বাড়ে, কমেছে ১১১টির আর অপরিবর্তিত ছিল চারটির দাম।
গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছিল পাঁচ হাজার ৯৯০ পয়েন্ট। প্রথম কার্যদিবসেই সাধারণ সূচক কমে প্রায় ৩১৩ পয়েন্ট। পরদিনই সেটি ২২৮ পয়েন্ট বাড়ে। এরপর টানা তিন কার্যদিবসে সেটি কিছু কিছু করে কমেছে। যার ফলে সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ২১৪ পয়েন্ট কম।
গত পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৭৩২ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এর আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ২৩ শতাংশ বা ৮১৫ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিনকার গড় লেনদেন নেমে এসেছে ৫৪৬ কোটি টাকায়, আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৭০৯ কোটি টাকা।
No comments