ট্রেমলেট সত্যিই ‘বিগ বার্ড’!
মোহাম্মদ আশরাফুলের কথা কি এখনো মনে পড়ে ক্রিস ট্রেমলেটের? মনে পড়ারই কথা। একে তো ম্যাচটা ছিল তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেকের, তার ওপর সেই ম্যাচে কী নাটকীয় কাণ্ডটাই না হলো!
বাংলাদেশের কার্ডিফ-কাব্যের জন্য আলোচিত সেই ২০০৫ ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক প্রায় করেই ফেলেছিলেন ট্রেমলেট। পর পর দুই বলে শাহরিয়ার নাফীস ও তুষার ইমরানকে আউট করেছিলেন। আশরাফুলকে করা পরের বলটি বেলে গিয়ে আঘাতও করেছিল। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বেল পড়েনি। হ্যাটট্রিকও হয়নি! আর মুফতে ফিরে পাওয়া ‘জীবনে’ সেদিন আশরাফুল ছিনিমিনি খেলেছিলেন ইংলিশ বোলারদের নিয়ে। ৫২ বলে করেছিলেন ৯৪।
ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের পর দুই বছরের জন্য দলের বাইরে ছিটকে গিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে ফিরে ৪টি ওয়ানডে, তিনটি টেস্ট আর একটি টি-টোয়েন্টি খেলে আবারও বাদ। ২০০৮ সালে ফিরে একটি মাত্র ওয়ানডে খেলে বাদ পড়লেন আবারও। একের পর এক প্রত্যাবর্তন আর বাদ পড়ার চক্রে পড়া ট্রেমলেট আকস্মিকভাবে সুযোগ পেলেন গত অস্ট্রেলিয়া সফরে।
তিন বছর চার মাস পর টেস্ট দলে ফেরা ট্রেমলেট পার্থ টেস্টেই নিলেন ৮ উইকেট। সব মিলে ১৭ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ জয়ে রাখলেন ভূমিকা। এই পারফরম্যান্স আর স্টুয়ার্ট ব্রডের চোট বিশ্বকাপের দরজাও খুলে দিল তাঁর জন্য। বিশ্বকাপটা ভালো কাটেনি। দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়েও উইকেটশূন্য ছিলেন। কিন্তু তার পরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে জায়গা পেয়েছেন। কার্ডিফ আর লর্ডস টেস্টে সব মিলে ৮ উইকেট নিয়ে হয়তো অনেকেরই মনে এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল, ট্রেমলেট কি তবে আবারও বাদ পড়ার চক্রে ঢুকে যাচ্ছেন!
নিজের সাবেক হোমগ্রাউন্ড রোজ বোলে প্রথম ইনিংসেই দুর্দান্ত বোলিং করে সেই প্রশ্নটা ঘুচিয়ে দিলেন। সাউদাম্পটনের এই মাঠের ১০৫তম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেকটা শুধু বৃষ্টির কারণেই স্মৃতির সরণিতে না নেওয়ার প্রতিজ্ঞাই যেন করেছেন সাড়ে ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফাস্ট বোলার। প্রথম দিন শ্রীলঙ্কার পড়া ৪ উইকেটের দুটোই তুলে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ২৩.২ ওভার খেলা হলো। আরও ৫ উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা। এর ৪টি উইকেটই নিলেন ট্রেমলেট। ৪২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে গড়লেন নিজের নতুন ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
এতটাই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন, পরশু দিন শেষে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ ডেভিড সেকার। এই অস্ট্রেলীয় এতটাই মুগ্ধ, ট্রেমলেটকে তুলনা করলেন সাবেক ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ‘বিগ বার্ড’ জোয়েল গার্নারের সঙ্গে, ‘জোয়েল গার্নারের অনেক বৈশিষ্ট্যই ওর মধ্যে আছে, যেমন ধরুন উচ্চতা, ভালো বাউন্স দেওয়ার ক্ষমতা। ও দারুণ করছে। এই উন্নতি ওকে ধরে রাখতে হবে বটে, কিন্তু এরই মধ্যে দেখিয়ে দিয়েছে, টেস্ট খেলার জন্য ও যোগ্য।’
নতুন বোলিং কোচ হয়ে আসার কিছুদিনের মধ্যেই সেকারের নজরে পড়েন ট্রেমলেট, ‘মনে আছে ওকে সারেতে (কাউন্টি) খেলতে দেখেছিলাম। দুটি বল দেখার পরই আমি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের (ইংল্যান্ড কোচ) কাছে গিয়ে বললাম, এই ছেলেটা সত্যিকারের টেস্ট ক্রিকেটার।’ অতীতটা ভুলে গিয়ে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকেই ট্রেমলেটকে তাকাতে বলেছেন সেকার, ‘জানি না অতীতে কী হয়েছিল। তবে এটা জানি, ওকে যদি আমরা ধরে রাখতে পারি আর সেও যদি নিজের শরীরটা ঠিক রাখতে পারে, টেস্ট ক্রিকেটে ওর ভালো সম্ভাবনাই আছে।
বাংলাদেশের কার্ডিফ-কাব্যের জন্য আলোচিত সেই ২০০৫ ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক প্রায় করেই ফেলেছিলেন ট্রেমলেট। পর পর দুই বলে শাহরিয়ার নাফীস ও তুষার ইমরানকে আউট করেছিলেন। আশরাফুলকে করা পরের বলটি বেলে গিয়ে আঘাতও করেছিল। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বেল পড়েনি। হ্যাটট্রিকও হয়নি! আর মুফতে ফিরে পাওয়া ‘জীবনে’ সেদিন আশরাফুল ছিনিমিনি খেলেছিলেন ইংলিশ বোলারদের নিয়ে। ৫২ বলে করেছিলেন ৯৪।
ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের পর দুই বছরের জন্য দলের বাইরে ছিটকে গিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে ফিরে ৪টি ওয়ানডে, তিনটি টেস্ট আর একটি টি-টোয়েন্টি খেলে আবারও বাদ। ২০০৮ সালে ফিরে একটি মাত্র ওয়ানডে খেলে বাদ পড়লেন আবারও। একের পর এক প্রত্যাবর্তন আর বাদ পড়ার চক্রে পড়া ট্রেমলেট আকস্মিকভাবে সুযোগ পেলেন গত অস্ট্রেলিয়া সফরে।
তিন বছর চার মাস পর টেস্ট দলে ফেরা ট্রেমলেট পার্থ টেস্টেই নিলেন ৮ উইকেট। সব মিলে ১৭ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ জয়ে রাখলেন ভূমিকা। এই পারফরম্যান্স আর স্টুয়ার্ট ব্রডের চোট বিশ্বকাপের দরজাও খুলে দিল তাঁর জন্য। বিশ্বকাপটা ভালো কাটেনি। দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়েও উইকেটশূন্য ছিলেন। কিন্তু তার পরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে জায়গা পেয়েছেন। কার্ডিফ আর লর্ডস টেস্টে সব মিলে ৮ উইকেট নিয়ে হয়তো অনেকেরই মনে এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল, ট্রেমলেট কি তবে আবারও বাদ পড়ার চক্রে ঢুকে যাচ্ছেন!
নিজের সাবেক হোমগ্রাউন্ড রোজ বোলে প্রথম ইনিংসেই দুর্দান্ত বোলিং করে সেই প্রশ্নটা ঘুচিয়ে দিলেন। সাউদাম্পটনের এই মাঠের ১০৫তম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেকটা শুধু বৃষ্টির কারণেই স্মৃতির সরণিতে না নেওয়ার প্রতিজ্ঞাই যেন করেছেন সাড়ে ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফাস্ট বোলার। প্রথম দিন শ্রীলঙ্কার পড়া ৪ উইকেটের দুটোই তুলে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ২৩.২ ওভার খেলা হলো। আরও ৫ উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা। এর ৪টি উইকেটই নিলেন ট্রেমলেট। ৪২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে গড়লেন নিজের নতুন ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
এতটাই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন, পরশু দিন শেষে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ ডেভিড সেকার। এই অস্ট্রেলীয় এতটাই মুগ্ধ, ট্রেমলেটকে তুলনা করলেন সাবেক ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ‘বিগ বার্ড’ জোয়েল গার্নারের সঙ্গে, ‘জোয়েল গার্নারের অনেক বৈশিষ্ট্যই ওর মধ্যে আছে, যেমন ধরুন উচ্চতা, ভালো বাউন্স দেওয়ার ক্ষমতা। ও দারুণ করছে। এই উন্নতি ওকে ধরে রাখতে হবে বটে, কিন্তু এরই মধ্যে দেখিয়ে দিয়েছে, টেস্ট খেলার জন্য ও যোগ্য।’
নতুন বোলিং কোচ হয়ে আসার কিছুদিনের মধ্যেই সেকারের নজরে পড়েন ট্রেমলেট, ‘মনে আছে ওকে সারেতে (কাউন্টি) খেলতে দেখেছিলাম। দুটি বল দেখার পরই আমি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের (ইংল্যান্ড কোচ) কাছে গিয়ে বললাম, এই ছেলেটা সত্যিকারের টেস্ট ক্রিকেটার।’ অতীতটা ভুলে গিয়ে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকেই ট্রেমলেটকে তাকাতে বলেছেন সেকার, ‘জানি না অতীতে কী হয়েছিল। তবে এটা জানি, ওকে যদি আমরা ধরে রাখতে পারি আর সেও যদি নিজের শরীরটা ঠিক রাখতে পারে, টেস্ট ক্রিকেটে ওর ভালো সম্ভাবনাই আছে।
No comments