পারমাণবিক বোমা ফেললেও লিবিয়া ছাড়ব না: গাদ্দাফি
আবারও লিবিয়া না ছাড়ার অঙ্গীকার করেছেন দেশটির নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। এমনকি সামরিক জোট ন্যাটো পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করলেও তিনি লিবিয়া ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিবিয়া অভিযানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ দুজন সরকারি আইনজীবীর মত নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গত শুক্রবার গাদ্দাফির ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ত্রিপোলির গ্রিন স্কয়ারে হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে ওই ভাষণে গাদ্দাফি বলেন, ‘ন্যাটো অবশ্যই পরাজিত হবে। দেশের কোনো কিছুতে পরিবর্তন না আনার ব্যাপারে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। যা করব, নিজেদের ইচ্ছাতেই করব... আমরা আছি, থাকব। যুদ্ধ চালিয়ে যাব। ন্যাটো পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করলেও আমি লিবিয়া ছাড়ব না।’ সরকারি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া বিদ্রোহীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘কাপুরুষ’ বলে আখ্যা দেন তিনি। গাদ্দাফির এই ভাষণ গ্রিন স্কয়ারে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে শোনানো হয়।
গাদ্দাফির এই ভাষণের কয়েক ঘণ্টা আগে কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে ত্রিপোলি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এ সময় ন্যাটোর যুদ্ধবিমান ত্রিপোলির আকাশে উড়তে দেখা যায়। বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিক জানান, গতকাল ত্রিপোলির বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের রকেট হামলায় মিসরাতায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৪০ জন। বিদ্রোহীদের মুখপাত্র আহমেদ হাসান এসব তথ্য জানান। তিনি দাবি করেন, হতাহত ব্যক্তিরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। হাসান অভিযোগ করেন, গাদ্দাফির সেনারা প্রায় প্রতিদিনই মিসরাতায় বোমা হামলা চালাচ্ছে।
নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ওবামা লিবিয়া অভিযান প্রসঙ্গে মার্কিন সরকারের শীর্ষ দুই আইনজীবী জেহ জনসন ও ক্যারোলিন ক্রাসের মত নাকচ করে দিয়েছেন। এই দুই আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের লিবিয়া অভিযানে জড়ানোকে ‘বৈরিতা’ বলে মত দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৭৩ সালের ওয়ার পাওয়ারস রেজুলেশন (ডব্লিউপিআর) অনুযায়ী ৬০ দিনের বেশি দীর্ঘ বৈরিতার ক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে। ৬০ দিনের মধ্যে অনুমোদন নিতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিবিয়া অভিযানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ দুজন সরকারি আইনজীবীর মত নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গত শুক্রবার গাদ্দাফির ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ত্রিপোলির গ্রিন স্কয়ারে হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে ওই ভাষণে গাদ্দাফি বলেন, ‘ন্যাটো অবশ্যই পরাজিত হবে। দেশের কোনো কিছুতে পরিবর্তন না আনার ব্যাপারে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। যা করব, নিজেদের ইচ্ছাতেই করব... আমরা আছি, থাকব। যুদ্ধ চালিয়ে যাব। ন্যাটো পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করলেও আমি লিবিয়া ছাড়ব না।’ সরকারি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া বিদ্রোহীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘কাপুরুষ’ বলে আখ্যা দেন তিনি। গাদ্দাফির এই ভাষণ গ্রিন স্কয়ারে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে শোনানো হয়।
গাদ্দাফির এই ভাষণের কয়েক ঘণ্টা আগে কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে ত্রিপোলি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এ সময় ন্যাটোর যুদ্ধবিমান ত্রিপোলির আকাশে উড়তে দেখা যায়। বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিক জানান, গতকাল ত্রিপোলির বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের রকেট হামলায় মিসরাতায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৪০ জন। বিদ্রোহীদের মুখপাত্র আহমেদ হাসান এসব তথ্য জানান। তিনি দাবি করেন, হতাহত ব্যক্তিরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। হাসান অভিযোগ করেন, গাদ্দাফির সেনারা প্রায় প্রতিদিনই মিসরাতায় বোমা হামলা চালাচ্ছে।
নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ওবামা লিবিয়া অভিযান প্রসঙ্গে মার্কিন সরকারের শীর্ষ দুই আইনজীবী জেহ জনসন ও ক্যারোলিন ক্রাসের মত নাকচ করে দিয়েছেন। এই দুই আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের লিবিয়া অভিযানে জড়ানোকে ‘বৈরিতা’ বলে মত দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৭৩ সালের ওয়ার পাওয়ারস রেজুলেশন (ডব্লিউপিআর) অনুযায়ী ৬০ দিনের বেশি দীর্ঘ বৈরিতার ক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে। ৬০ দিনের মধ্যে অনুমোদন নিতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
No comments