তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা চলছে: কারজাই
আফগানিস্তানে এক দশক ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। গতকাল শনিবার আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই রাজধানী কাবুলে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তালেবান দমনে এত দিন সামরিক শক্তি প্রয়োগের কৌশল অবলম্বন করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক সময়ে নেপথ্যে রাজনৈতিকভাবে এ সংকট মোকাবিলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার কথা এই প্রথম আফগানিস্তানের সরকারি পর্যায় থেকে নিশ্চিত করা হলো।
কারজাই বলেন, তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে এবং তা ভালোভাবেই এগিয়ে চলেছে। বিদেশি সেনা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এ সমঝোতার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এ বছরের শুরুর দিকে আফগান তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং সংঘাতের পথ পরিহার করে সে দেশের সংবিধান মেনে নেয় ও সমাজের সঙ্গে একীভূত হয়।
তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরুর সত্যতা নিশ্চিত করে পশ্চিমা কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলছে, দুই পক্ষের এ আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তালেবান নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
কারজাই বলেন, তাঁর দেশের ইতিহাসে চলতি বছরের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, এ বছর তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। এক দশক ধরে চলা সংকট রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার প্রক্রিয়া চলছে। আফগান সেনাদের কাছে নিরাপত্তার ভার অর্পণের প্রক্রিয়াও চলছে। এ ছাড়া আগামী ডিসেম্বরে জার্মানির বনে আফগান-বিষয়ক সম্মেলনও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অস্ত্র সমর্পণ করে ও দেশের সংবিধান মেনে নিতে তালেবান নেতাদের রাজি করাতে কারজাই গত বছর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে শান্তি কাউন্সিল গঠন করেন।
আফগান সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দেয়। শর্তগুলোর মধ্যে ছিল তালেবানকে আফগানিস্তানের সংবিধানের স্বীকৃতি দিতে হবে, গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে এবং সংঘাতের পথ পরিহার ও আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
তবে তালেবান এসব পূর্বশর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০০১ সালে মার্কিন অভিযানে তালেবান শাসনের পতন ঘটে। এর পর থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে তালেবান লড়াই চালিয়ে আসছে।
তালেবান দমনে এত দিন সামরিক শক্তি প্রয়োগের কৌশল অবলম্বন করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক সময়ে নেপথ্যে রাজনৈতিকভাবে এ সংকট মোকাবিলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার কথা এই প্রথম আফগানিস্তানের সরকারি পর্যায় থেকে নিশ্চিত করা হলো।
কারজাই বলেন, তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে এবং তা ভালোভাবেই এগিয়ে চলেছে। বিদেশি সেনা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এ সমঝোতার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এ বছরের শুরুর দিকে আফগান তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং সংঘাতের পথ পরিহার করে সে দেশের সংবিধান মেনে নেয় ও সমাজের সঙ্গে একীভূত হয়।
তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরুর সত্যতা নিশ্চিত করে পশ্চিমা কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলছে, দুই পক্ষের এ আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তালেবান নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
কারজাই বলেন, তাঁর দেশের ইতিহাসে চলতি বছরের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, এ বছর তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। এক দশক ধরে চলা সংকট রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার প্রক্রিয়া চলছে। আফগান সেনাদের কাছে নিরাপত্তার ভার অর্পণের প্রক্রিয়াও চলছে। এ ছাড়া আগামী ডিসেম্বরে জার্মানির বনে আফগান-বিষয়ক সম্মেলনও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অস্ত্র সমর্পণ করে ও দেশের সংবিধান মেনে নিতে তালেবান নেতাদের রাজি করাতে কারজাই গত বছর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে শান্তি কাউন্সিল গঠন করেন।
আফগান সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দেয়। শর্তগুলোর মধ্যে ছিল তালেবানকে আফগানিস্তানের সংবিধানের স্বীকৃতি দিতে হবে, গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে এবং সংঘাতের পথ পরিহার ও আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
তবে তালেবান এসব পূর্বশর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০০১ সালে মার্কিন অভিযানে তালেবান শাসনের পতন ঘটে। এর পর থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে তালেবান লড়াই চালিয়ে আসছে।
No comments