শিশুর শরীরে কৃত্রিম ফুসফুস
যুক্তরাষ্ট্রের দুই বছরের এক শিশুকে কৃত্রিম ফুসফুসের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। এ সাফল্যের দাবি করেছেন মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুই চিলড্রেনস হাসপাতালের চিকিৎসক ও ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেন, বিশ্বে এটাই কোনো শিশুর দেহে প্রথম কৃত্রিম ফুসফুস সংযোজন। এ বিষয়ক একটি নিবন্ধ দ্য জার্নাল অব থোরাসিক অ্যান্ড কার্ডিওভাসকুলার সার্জারির জুন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
২০১০ সালের জুলাইয়ে ওয়েন স্টার্ক নামের শিশুটিকে ওই হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। একে তো হূৎপিণ্ডে তার জটিল সমস্যা, তার ওপর ফুসফুসে বিপজ্জনক রক্তচাপ। চিকিৎসকদের ভাষায়, সমস্যাটি ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি হাইপারটেনশন বলে পরিচিত।
রক্তনালি খুব বেশি সরু হয়ে যাওয়ায় ফুসফুসে রক্ত যেতে পারছিল না। চিকিৎসকেরা ধরেই নিলেন, শিশুটি বাঁচবে না। এর পরও ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিয়ে একটা উদ্যোগ নিলেন তাঁরা। কৃত্রিম ফুসফুসের মাধ্যমে তাকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
জার্মানির নোভালাংয়ের তৈরি ওই কৃত্রিম ফুসফুস রোগীর শরীরের বাইরে স্থাপিত একটি যন্ত্রের সাহায্যে শ্বাসপ্রশ্বাস চালায়। কৃত্রিম এই ফুসফুস সংকোচন ও প্রসারণ ছাড়াই রোগীর স্বাভাবিক হূদ্স্পন্দন ব্যবহার করে রক্ত সঞ্চালন করে। এই কৃত্রিম ফুসফুস শুধু বড়দের বেলায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত। কারণ, এতে সংক্রমণ দেখা দেওয়ার খুব বেশি ঝুঁকি রয়েছে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ আভিহু জেড. গ্যাজিট জানান, ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহে ওয়েনের শরীরে প্রথমে ভেন্টিলেটর স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এতে উন্নতি না হওয়ায় অস্ত্রোপচারের ২৪ ঘণ্টা পর ওয়েনের দেহে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাসপ্রশ্বাস চালানোর যন্ত্র (ইসিএমও) বসানো হয়। ইসিএমও বসানোর পর ওয়েনের হূদ্যন্ত্র ও ফুসফুস কাজ করতে সময় নেয়। তবে এই সময়ে রক্তক্ষরণ, রক্তচাপ, সংক্রমণ ও স্ট্রোকের মতো অনেক জটিলতা দেখা দেয়।
ইসিএমও বসানোর ১৬ দিন পর অবশেষে ওয়েনের হূদ্যন্ত্র কাজ করতে শুরু করে। কিন্তু ফুসফুস তখনো কাজ করেনি। এমনকি প্রতিস্থাপনের জন্য কোনো ফুসফুসও তখন পাওয়া যাচ্ছিল না। ওয়েনকে বাঁচাতে চিকিৎসকেরা তখন কৃত্রিম ফুসফুস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন।
গ্যাজিত বলেন, ‘আমরা কখনোই ভাবিনি যে নতুন ফুসফুস প্রতিস্থাপনের আগে কৃত্রিম ফুসফুস ছাড়াই ওয়েন বেঁচে থাকতে পারবে। এতে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, ওয়েনের চিকিৎসায় আমরা যা করেছি, তা ঠিকই করেছি।’
২০১০ সালের জুলাইয়ে ওয়েন স্টার্ক নামের শিশুটিকে ওই হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। একে তো হূৎপিণ্ডে তার জটিল সমস্যা, তার ওপর ফুসফুসে বিপজ্জনক রক্তচাপ। চিকিৎসকদের ভাষায়, সমস্যাটি ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি হাইপারটেনশন বলে পরিচিত।
রক্তনালি খুব বেশি সরু হয়ে যাওয়ায় ফুসফুসে রক্ত যেতে পারছিল না। চিকিৎসকেরা ধরেই নিলেন, শিশুটি বাঁচবে না। এর পরও ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিয়ে একটা উদ্যোগ নিলেন তাঁরা। কৃত্রিম ফুসফুসের মাধ্যমে তাকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
জার্মানির নোভালাংয়ের তৈরি ওই কৃত্রিম ফুসফুস রোগীর শরীরের বাইরে স্থাপিত একটি যন্ত্রের সাহায্যে শ্বাসপ্রশ্বাস চালায়। কৃত্রিম এই ফুসফুস সংকোচন ও প্রসারণ ছাড়াই রোগীর স্বাভাবিক হূদ্স্পন্দন ব্যবহার করে রক্ত সঞ্চালন করে। এই কৃত্রিম ফুসফুস শুধু বড়দের বেলায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত। কারণ, এতে সংক্রমণ দেখা দেওয়ার খুব বেশি ঝুঁকি রয়েছে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ আভিহু জেড. গ্যাজিট জানান, ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহে ওয়েনের শরীরে প্রথমে ভেন্টিলেটর স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এতে উন্নতি না হওয়ায় অস্ত্রোপচারের ২৪ ঘণ্টা পর ওয়েনের দেহে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাসপ্রশ্বাস চালানোর যন্ত্র (ইসিএমও) বসানো হয়। ইসিএমও বসানোর পর ওয়েনের হূদ্যন্ত্র ও ফুসফুস কাজ করতে সময় নেয়। তবে এই সময়ে রক্তক্ষরণ, রক্তচাপ, সংক্রমণ ও স্ট্রোকের মতো অনেক জটিলতা দেখা দেয়।
ইসিএমও বসানোর ১৬ দিন পর অবশেষে ওয়েনের হূদ্যন্ত্র কাজ করতে শুরু করে। কিন্তু ফুসফুস তখনো কাজ করেনি। এমনকি প্রতিস্থাপনের জন্য কোনো ফুসফুসও তখন পাওয়া যাচ্ছিল না। ওয়েনকে বাঁচাতে চিকিৎসকেরা তখন কৃত্রিম ফুসফুস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন।
গ্যাজিত বলেন, ‘আমরা কখনোই ভাবিনি যে নতুন ফুসফুস প্রতিস্থাপনের আগে কৃত্রিম ফুসফুস ছাড়াই ওয়েন বেঁচে থাকতে পারবে। এতে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, ওয়েনের চিকিৎসায় আমরা যা করেছি, তা ঠিকই করেছি।’
No comments