কেরালা ও পুদুচেরিতে ক্ষমতাসীনেরা পরাজিত
পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের চারটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে। এর মধ্য দিয়ে এই রাজ্যে বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের শাসনের অবসান হয়েছে।
কেরালা ও পুদুচেরিতে ক্ষমতাসীন জোট পরাজিত হয়েছে। তামিলনাড়ুতে ক্ষমতাসীনেরা পরাজয়ের মুখে রয়েছেন। তবে আসামে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈর নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস জয়লাভ করেছে। তিনি তৃতীয়বারের মতো আসামের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
কেরালা: পশ্চিমবঙ্গের মতো কেরালায় পরাজিত হয়েছে বাম জোট। জয়লাভ করেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোট। এই রাজ্যের বিধানসভার ১৪০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ৭২টি আসন। আর বাম দলগুলোর জোট এলডিএফ ৬৮টি আসন পেয়েছে। ২০০৬ সালে এলডিএফ ৯৮ আসনে জয়ী হয়েছিল। ইউডিএফ পেয়েছিল ৪২টি আসন।
বাম জোট হারলেও বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সিপিএম নেতা ভি এস অচ্যুতানন্দন হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের জয়ের ফলে এখানে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন ওমেন চণ্ডী, রমেশ চেন্নিথালা, কে মুরালিধরন, কে এম মানির মধ্যে যে কেউ।
তামিলনাড়ু: জয়ললিতার এআইএডিএমকের নেতৃত্বাধীন জোট জয়ী হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে জয়ললিতার জোট ১৬৫টি আসন পেয়েছে। এগিয়ে রয়েছে ৩৯টি আসনে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির দল ডিএমকের নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ২৩টি আসন। এগিয়ে রয়েছে সাতটি আসনে। তামিলনাড়ু বিধানসভায় মোট আসন ২৩৪টি।
এখানে এম করুণানিধির সরকারের পতনের মূল কারণ টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি। ওই দুর্নীতির কারণে ডিএমকে নেতা ও কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এ রাজা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে দুর্নীতির দায়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া করুণানিধির মেয়ে সাংসদ কানিমোঝিওর বিরুদ্ধেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মূলত এসব দুর্নীতির কারণেই করুণানিধির ভরাডুবি হয়েছে।
আসাম: আসামে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈর নেতৃত্বে কংগ্রেস ৭৬টি আসন পেয়ে জয়লাভ করেছে। ১২৬ আসনের আসাম বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে প্রয়োজন ৬৪ আসন। ফলে তরুণ গগৈ তৃতীয়বারের মতো আসামের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। এখানে এআইইউডিএফ ২০টি, বিওপিএফ ১৩টি আসন পেয়েছে। বাকি ১৩টি আসন পেয়েছে অন্যান্য দল।
পুদুচেরি: ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি। এখানে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এন রাঙ্গাস্বামীর নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া এনআর কংগ্রেস (এনআরসি) জোট জয়লাভ করেছে। ৩০ আসনের বিধানসভায় এনআরসি জোট ২০টি আসন পেয়েছে। এর প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ্যমন্ত্রী ভি ভাইতিলিঙ্গমের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস-ডিএমকে জোট পেয়েছে ১০টি আসন।
কেরালা ও পুদুচেরিতে ক্ষমতাসীন জোট পরাজিত হয়েছে। তামিলনাড়ুতে ক্ষমতাসীনেরা পরাজয়ের মুখে রয়েছেন। তবে আসামে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈর নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস জয়লাভ করেছে। তিনি তৃতীয়বারের মতো আসামের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
কেরালা: পশ্চিমবঙ্গের মতো কেরালায় পরাজিত হয়েছে বাম জোট। জয়লাভ করেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোট। এই রাজ্যের বিধানসভার ১৪০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ৭২টি আসন। আর বাম দলগুলোর জোট এলডিএফ ৬৮টি আসন পেয়েছে। ২০০৬ সালে এলডিএফ ৯৮ আসনে জয়ী হয়েছিল। ইউডিএফ পেয়েছিল ৪২টি আসন।
বাম জোট হারলেও বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সিপিএম নেতা ভি এস অচ্যুতানন্দন হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের জয়ের ফলে এখানে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন ওমেন চণ্ডী, রমেশ চেন্নিথালা, কে মুরালিধরন, কে এম মানির মধ্যে যে কেউ।
তামিলনাড়ু: জয়ললিতার এআইএডিএমকের নেতৃত্বাধীন জোট জয়ী হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে জয়ললিতার জোট ১৬৫টি আসন পেয়েছে। এগিয়ে রয়েছে ৩৯টি আসনে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির দল ডিএমকের নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ২৩টি আসন। এগিয়ে রয়েছে সাতটি আসনে। তামিলনাড়ু বিধানসভায় মোট আসন ২৩৪টি।
এখানে এম করুণানিধির সরকারের পতনের মূল কারণ টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি। ওই দুর্নীতির কারণে ডিএমকে নেতা ও কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এ রাজা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে দুর্নীতির দায়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া করুণানিধির মেয়ে সাংসদ কানিমোঝিওর বিরুদ্ধেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মূলত এসব দুর্নীতির কারণেই করুণানিধির ভরাডুবি হয়েছে।
আসাম: আসামে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈর নেতৃত্বে কংগ্রেস ৭৬টি আসন পেয়ে জয়লাভ করেছে। ১২৬ আসনের আসাম বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে প্রয়োজন ৬৪ আসন। ফলে তরুণ গগৈ তৃতীয়বারের মতো আসামের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। এখানে এআইইউডিএফ ২০টি, বিওপিএফ ১৩টি আসন পেয়েছে। বাকি ১৩টি আসন পেয়েছে অন্যান্য দল।
পুদুচেরি: ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি। এখানে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এন রাঙ্গাস্বামীর নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া এনআর কংগ্রেস (এনআরসি) জোট জয়লাভ করেছে। ৩০ আসনের বিধানসভায় এনআরসি জোট ২০টি আসন পেয়েছে। এর প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ্যমন্ত্রী ভি ভাইতিলিঙ্গমের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস-ডিএমকে জোট পেয়েছে ১০টি আসন।
No comments