পালানোর ইচ্ছা ছিল না ওসামার
পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনের ‘সহায়ক শক্তি’ ছিল। ওই সহায়ক শক্তির প্রতি বিন লাদেনের অগাধ আস্থা ছিল। এ কারণেই তিনি অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়ি থেকে প্রয়োজনে পালানোর কোনো পরিকল্পনা করেননি। বিন লাদেনের কম্পিউটারে সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা এ ধারণা করছেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গতকাল শুক্রবার সিএনএনের এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমনবিষয়ক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এপি জানিয়েছে, বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও বিন লাদেন তাঁর অনুসারীদের বিশেষ প্রক্রিয়ায় হাজার হাজার ই-মেইল করেছিলেন। তাঁর ই-মেইল চালাচালির এক বিশাল ভান্ডার উদ্ধার করা হয়েছে।
পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে বিন লাদেনের বাড়ি থেকে জব্দ করা কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বিশ্লেষণ শেষে ধারণা করা হচ্ছে, বিন লাদেন পালিয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনাই করেননি। এ ছাড়া কম্পিউটারের তথ্য-উপাত্ত নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি।
এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, লাদেনের গোপন আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি পাওয়া গেছে, যা কল্পনাতীত।
২ মে, অ্যাবোটাবাদ শহরের তিনতলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মার্কিন নেভি সিলের কমান্ডাররা বিন লাদেনকে হত্যা করেন। এই অভিযানের সময় বাড়িটিতে বিন লাদেন ছাড়া মাত্র তিনজন পুরুষ সদস্য ছিলেন। তিনজন মাত্র সঙ্গী নিয়ে লাদেন কীভাবে নিজেকে নিরাপদ বোধ করতেন, এ প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত কর্মকর্তাদের বিস্মিত করেছে।
হোয়াইট হাউস দাবি করে আসছে, বিন লাদেনকে পাকিস্তানি সরকার সহায়তা দিয়েছে। তবে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি ওবামা প্রশাসন। তবে গোয়েন্দারা মোটামুটি নিশ্চিত, দেশটির ভেতর আল-কায়েদার সহায়ক শক্তি ছিল।
অন্য এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, বিন লাদেন কীভাবে তাঁর আল-কায়েদা সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য আরও বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আরও কয়েক মাস লাগবে।
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে আল-কায়েদার প্রধান বিন লাদেন ঠিকই তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। বছরের পর বছর তিনি হাজার হাজার ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন। ই-মেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে বিন লাদেন অভিনব এক কৌশলের আশ্রয় নেন। তাঁর এ কৌশল নিয়মানুবর্তিতা ও বিশ্বাসের ভিতের ওপর গড়া ছিল।
বিন লাদেন তাঁর কম্পিউটারে বার্তা টাইপ করতেন। তারপর বৃদ্ধাঙ্গুলের সমান একটি ফ্ল্যাশ মেমোরি ড্রাইভে তা সংরক্ষণ করতেন। ওই ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বিশ্বস্ত বার্তাবাহককে দিতেন। বার্তাবাহক দূরের কোনো সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ওই ড্রাইভ থেকে বিন লাদেনের বার্তাটি কপি করতেন। পরে তা পাঠিয়ে দিতেন। কমান্ডোরা অন্তত ১০০ ফ্ল্যাশ মেমোরি ড্রাইভ উদ্ধার করেছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমনবিষয়ক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এপি জানিয়েছে, বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও বিন লাদেন তাঁর অনুসারীদের বিশেষ প্রক্রিয়ায় হাজার হাজার ই-মেইল করেছিলেন। তাঁর ই-মেইল চালাচালির এক বিশাল ভান্ডার উদ্ধার করা হয়েছে।
পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে বিন লাদেনের বাড়ি থেকে জব্দ করা কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বিশ্লেষণ শেষে ধারণা করা হচ্ছে, বিন লাদেন পালিয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনাই করেননি। এ ছাড়া কম্পিউটারের তথ্য-উপাত্ত নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি।
এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, লাদেনের গোপন আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি পাওয়া গেছে, যা কল্পনাতীত।
২ মে, অ্যাবোটাবাদ শহরের তিনতলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মার্কিন নেভি সিলের কমান্ডাররা বিন লাদেনকে হত্যা করেন। এই অভিযানের সময় বাড়িটিতে বিন লাদেন ছাড়া মাত্র তিনজন পুরুষ সদস্য ছিলেন। তিনজন মাত্র সঙ্গী নিয়ে লাদেন কীভাবে নিজেকে নিরাপদ বোধ করতেন, এ প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত কর্মকর্তাদের বিস্মিত করেছে।
হোয়াইট হাউস দাবি করে আসছে, বিন লাদেনকে পাকিস্তানি সরকার সহায়তা দিয়েছে। তবে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি ওবামা প্রশাসন। তবে গোয়েন্দারা মোটামুটি নিশ্চিত, দেশটির ভেতর আল-কায়েদার সহায়ক শক্তি ছিল।
অন্য এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, বিন লাদেন কীভাবে তাঁর আল-কায়েদা সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য আরও বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আরও কয়েক মাস লাগবে।
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে আল-কায়েদার প্রধান বিন লাদেন ঠিকই তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। বছরের পর বছর তিনি হাজার হাজার ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন। ই-মেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে বিন লাদেন অভিনব এক কৌশলের আশ্রয় নেন। তাঁর এ কৌশল নিয়মানুবর্তিতা ও বিশ্বাসের ভিতের ওপর গড়া ছিল।
বিন লাদেন তাঁর কম্পিউটারে বার্তা টাইপ করতেন। তারপর বৃদ্ধাঙ্গুলের সমান একটি ফ্ল্যাশ মেমোরি ড্রাইভে তা সংরক্ষণ করতেন। ওই ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বিশ্বস্ত বার্তাবাহককে দিতেন। বার্তাবাহক দূরের কোনো সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ওই ড্রাইভ থেকে বিন লাদেনের বার্তাটি কপি করতেন। পরে তা পাঠিয়ে দিতেন। কমান্ডোরা অন্তত ১০০ ফ্ল্যাশ মেমোরি ড্রাইভ উদ্ধার করেছেন।
No comments