শেষ দিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষায়
কোনটি বেশি সহজ—২৪৬ রান করা, না ১০ উইকেট তুলে নেওয়া?
প্রশ্নটার উত্তর দেওয়ার জন্য দুই দলের ব্যাটিং-বোলিং শক্তি অবশ্যই বড় বিবেচনা। সঙ্গে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা তথ্য মনে রাখাও জরুরি, এই সমীকরণ পাঁচ দিনের ম্যাচের পঞ্চম দিনের।
চতুর্থ দিন বিকেলেও উইকেটের আচরণে ‘শেষ দিনের উইকেট’ নিয়ে ব্যাটসম্যানদের কোনো দুশ্চিন্তার কারণ খুঁজে পাওয়া গেল না। এ কারণেই জাতীয় লিগ ফাইনালের শেষ অঙ্কের আগে মনে হচ্ছে ‘অ্যাডভান্টেজ রাজশাহী’। তবে পাঁচ দিনের ম্যাচের শেষ দিন অনেক অভাবিত নাটক জমা রাখে। শুধু তো আর উইকেট নয়, রান তাড়া করার চাপটাও বাড়তি যোগ হয়। নিরাপদ থাকতে চাইলে এটা বলাই ভালো—আজ শেষ দিনের প্রথম ঘণ্টাই নির্ধারণ করে দেবে ম্যাচের গতিপথ।
কাল শেষ বিকেলে রাজশাহীর ১০.৪ ওভারের দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত দুটি উইকেট তুলে নিতে পারলেও সম্ভাবনার দিক থেকে সমতায় থাকত ঢাকা। উল্টো রাজশাহীর দুই ওপেনার তুলে ফেললেন ৫১ রান। এর আগে তিন ইনিংসে সর্বোচ্চ রান রেট সোয়া তিন, এই ইনিংসে এখন পর্যন্ত তা পৌনে পাঁচেরও বেশি।
শরীফের বলে জুনায়েদ সিদ্দিকের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের একটি জোরালো আবেদন ছাড়া রাজশাহী ড্রেসিংরুমের অস্বস্তিতে পড়ারও কোনো কারণ ঘটেনি। ৩৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত জুনায়েদ বরং ঢাকার জন্য বড় এক অস্বস্তি হয়ে এখনো উইকেটে বিরাজমান।
অথচ অস্বস্তিতে পড়ার কথা ছিল রাজশাহীরই। মেহরাব জুনিয়র ও আনামুলের জুটিতে রান বাড়ছিল আর সমানুপাতিক হারে রাজশাহীর দুশ্চিন্তা। কিন্তু ঢাকার লেট অর্ডার একেবারে ধসে পড়ায় সেটি আর থাকেনি। মাত্র ৩৯ রানে পড়েছে ঢাকার শেষ ৬ উইকেট। এ কারণেই আমানুলের ১১৮ ও মেহরাব জুনিয়রের ১১৬-এর ম্যাচ নির্ধারক হওয়ার বদলে শুধুই ব্যক্তিগত অর্জন হয়ে থাকার সম্ভাবনা এমন প্রবল হয়ে গেল।
আগের দিন শফিউলের বলে চোট পেয়ে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলেন আনামুল। তখন রান ছিল ২০। কাল আবার নামলেন আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ২৮ রান যোগ হতেই মাহমুদউল্লাহ আউট হয়ে যাওয়ার পর। স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ১২৫। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ৩৪ রানের ঘাটতি থাকায় আসলে সেটি ৮৯/৪। সেখান থেকে ২৯১ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন দুজন। ৯০ রানে আনামুল রান আউট হওয়ার হাত থেকে প্রায় অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছেন, এ ছাড়া আউট হওয়ার আগে দুজনের ইনিংসেই কোনো খুঁত নেই। সাকলাইন সজীবের বলে আনামুল স্টাম্পড হওয়ার আগে হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ঢাকা ২৫৭ রানে এগিয়ে। অথচ এর মাত্র ৮ ওভার পরই ইনিংস শেষ, লিডটাও ২৯৬-এর বেশি হতে পারল না। সাকলাইনের ক্লান্তিহীন বোলিং করে যাওয়ার পুরস্কার ১০৯ রানে ৫ উইকেট। রাজশাহীর বাকি পাঁচ বোলার মিলে করেছেন ৫৯.৩ ওভার, সাকলাইন একাই ৪৬!
প্রশ্নটার উত্তর দেওয়ার জন্য দুই দলের ব্যাটিং-বোলিং শক্তি অবশ্যই বড় বিবেচনা। সঙ্গে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা তথ্য মনে রাখাও জরুরি, এই সমীকরণ পাঁচ দিনের ম্যাচের পঞ্চম দিনের।
চতুর্থ দিন বিকেলেও উইকেটের আচরণে ‘শেষ দিনের উইকেট’ নিয়ে ব্যাটসম্যানদের কোনো দুশ্চিন্তার কারণ খুঁজে পাওয়া গেল না। এ কারণেই জাতীয় লিগ ফাইনালের শেষ অঙ্কের আগে মনে হচ্ছে ‘অ্যাডভান্টেজ রাজশাহী’। তবে পাঁচ দিনের ম্যাচের শেষ দিন অনেক অভাবিত নাটক জমা রাখে। শুধু তো আর উইকেট নয়, রান তাড়া করার চাপটাও বাড়তি যোগ হয়। নিরাপদ থাকতে চাইলে এটা বলাই ভালো—আজ শেষ দিনের প্রথম ঘণ্টাই নির্ধারণ করে দেবে ম্যাচের গতিপথ।
কাল শেষ বিকেলে রাজশাহীর ১০.৪ ওভারের দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত দুটি উইকেট তুলে নিতে পারলেও সম্ভাবনার দিক থেকে সমতায় থাকত ঢাকা। উল্টো রাজশাহীর দুই ওপেনার তুলে ফেললেন ৫১ রান। এর আগে তিন ইনিংসে সর্বোচ্চ রান রেট সোয়া তিন, এই ইনিংসে এখন পর্যন্ত তা পৌনে পাঁচেরও বেশি।
শরীফের বলে জুনায়েদ সিদ্দিকের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের একটি জোরালো আবেদন ছাড়া রাজশাহী ড্রেসিংরুমের অস্বস্তিতে পড়ারও কোনো কারণ ঘটেনি। ৩৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত জুনায়েদ বরং ঢাকার জন্য বড় এক অস্বস্তি হয়ে এখনো উইকেটে বিরাজমান।
অথচ অস্বস্তিতে পড়ার কথা ছিল রাজশাহীরই। মেহরাব জুনিয়র ও আনামুলের জুটিতে রান বাড়ছিল আর সমানুপাতিক হারে রাজশাহীর দুশ্চিন্তা। কিন্তু ঢাকার লেট অর্ডার একেবারে ধসে পড়ায় সেটি আর থাকেনি। মাত্র ৩৯ রানে পড়েছে ঢাকার শেষ ৬ উইকেট। এ কারণেই আমানুলের ১১৮ ও মেহরাব জুনিয়রের ১১৬-এর ম্যাচ নির্ধারক হওয়ার বদলে শুধুই ব্যক্তিগত অর্জন হয়ে থাকার সম্ভাবনা এমন প্রবল হয়ে গেল।
আগের দিন শফিউলের বলে চোট পেয়ে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলেন আনামুল। তখন রান ছিল ২০। কাল আবার নামলেন আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ২৮ রান যোগ হতেই মাহমুদউল্লাহ আউট হয়ে যাওয়ার পর। স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ১২৫। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ৩৪ রানের ঘাটতি থাকায় আসলে সেটি ৮৯/৪। সেখান থেকে ২৯১ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন দুজন। ৯০ রানে আনামুল রান আউট হওয়ার হাত থেকে প্রায় অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছেন, এ ছাড়া আউট হওয়ার আগে দুজনের ইনিংসেই কোনো খুঁত নেই। সাকলাইন সজীবের বলে আনামুল স্টাম্পড হওয়ার আগে হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ঢাকা ২৫৭ রানে এগিয়ে। অথচ এর মাত্র ৮ ওভার পরই ইনিংস শেষ, লিডটাও ২৯৬-এর বেশি হতে পারল না। সাকলাইনের ক্লান্তিহীন বোলিং করে যাওয়ার পুরস্কার ১০৯ রানে ৫ উইকেট। রাজশাহীর বাকি পাঁচ বোলার মিলে করেছেন ৫৯.৩ ওভার, সাকলাইন একাই ৪৬!
No comments