মায়ের জন্য ভালোবাসা
বয়স মাত্র ১০ বছর। সদ্য কারামুক্ত মাকে দেখতে আকুল বলিভিয়ার এই বালক কোচাবাম্বায় যাওয়ার উদ্দেশে গোপনে খনিজ পদার্থবাহী একটি ট্রাকে চড়ে বসে। কিন্তু কে জানত, এই ট্রাক তাকে নিয়ে যাবে ভিন দেশে। মাকে দেখতে কোচাবাম্বায় যেতে বলিভিয়ার অরুরো শহর থেকে ট্রাকে উঠেছিল ফ্রাঙ্কলিন ভিলসা।
তিন দিন তিন রাত এক ফোঁটা পানি, খাবার না খেয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার মিটার উঁচু দুর্গম আন্দিজ পর্বত পাড়ি দিয়ে ফ্রাঙ্কলিন যখন নামে, তখন আরেক দেশ, চিলি। এ সময়ে সে পাড়ি দিয়েছে ৫০০ কিলোমিটার দুর্গম পাহাড়ি পথ। ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর ফ্রাঙ্কলিন চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে এক হাজার ১০০ মাইল উত্তরে ইকুইকিউয়ের উপকণ্ঠে আলতো হোস পিসিও শহরের রাস্তায় নেমে হতবিহ্বল। কী করবে বুঝতে পারছে না।
পরে ইকুইকিউ কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে স্থানীয় একটি পরিবারের সঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। পরিবারের কর্ত্রী মার্গারিতা ফ্লরস শিশুটিকে নেওয়ার আগে প্রচারমাধ্যমগুলোকে বলেন, ‘আমি একজন মা এবং হতে পারে, শিশুটির মা দুর্দশা ভোগ করছেন।’
চিলির টিভিএনকে ফ্রাঙ্কলিন বলেছে, ‘আমি আর কিছুই চাইনি। শুধু মাকে দেখতে চেয়েছিলাম।’ শিশুটির এই আকুতি নাড়া দিয়ে গেছে দুই দেশের মানুষের হূদয়কে। দুই দেশের কর্তৃপক্ষই মা ও ছেলের মিলন ঘটাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। ফ্রাঙ্কলিনের মায়ের দেশ ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই ছেলেটিকেই ফিরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে চিলি গেছেন বলিভিয়ার এক কর্মকর্তা। চিলির এটিবি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মা ও ছেলের মধ্যে কথা বলা ও পর্দায় দুজনের দেখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ছেলে মাকে বলছিল, ‘আমি তোমাকে দেখতে চাই। আমি কেবল কোচাবাম্বায় যেতে চেয়েছিলাম। তুমি দ্রুত এসে আমাকে নিয়ে যাও মা।’ কাঁদতে কাঁদতে মা বললেন, ‘আমি কারাগারে ছিলাম। এখন আমি মুক্ত। আর আমি তোমাকে তোমার বাবা বা ভাইদের কাছে রেখে কোথাও যাব না। তুমি আমার কাছেই থাকবে।
তিন দিন তিন রাত এক ফোঁটা পানি, খাবার না খেয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার মিটার উঁচু দুর্গম আন্দিজ পর্বত পাড়ি দিয়ে ফ্রাঙ্কলিন যখন নামে, তখন আরেক দেশ, চিলি। এ সময়ে সে পাড়ি দিয়েছে ৫০০ কিলোমিটার দুর্গম পাহাড়ি পথ। ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর ফ্রাঙ্কলিন চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে এক হাজার ১০০ মাইল উত্তরে ইকুইকিউয়ের উপকণ্ঠে আলতো হোস পিসিও শহরের রাস্তায় নেমে হতবিহ্বল। কী করবে বুঝতে পারছে না।
পরে ইকুইকিউ কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে স্থানীয় একটি পরিবারের সঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। পরিবারের কর্ত্রী মার্গারিতা ফ্লরস শিশুটিকে নেওয়ার আগে প্রচারমাধ্যমগুলোকে বলেন, ‘আমি একজন মা এবং হতে পারে, শিশুটির মা দুর্দশা ভোগ করছেন।’
চিলির টিভিএনকে ফ্রাঙ্কলিন বলেছে, ‘আমি আর কিছুই চাইনি। শুধু মাকে দেখতে চেয়েছিলাম।’ শিশুটির এই আকুতি নাড়া দিয়ে গেছে দুই দেশের মানুষের হূদয়কে। দুই দেশের কর্তৃপক্ষই মা ও ছেলের মিলন ঘটাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। ফ্রাঙ্কলিনের মায়ের দেশ ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই ছেলেটিকেই ফিরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে চিলি গেছেন বলিভিয়ার এক কর্মকর্তা। চিলির এটিবি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মা ও ছেলের মধ্যে কথা বলা ও পর্দায় দুজনের দেখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ছেলে মাকে বলছিল, ‘আমি তোমাকে দেখতে চাই। আমি কেবল কোচাবাম্বায় যেতে চেয়েছিলাম। তুমি দ্রুত এসে আমাকে নিয়ে যাও মা।’ কাঁদতে কাঁদতে মা বললেন, ‘আমি কারাগারে ছিলাম। এখন আমি মুক্ত। আর আমি তোমাকে তোমার বাবা বা ভাইদের কাছে রেখে কোথাও যাব না। তুমি আমার কাছেই থাকবে।
No comments