ম্যানচেস্টারে যুগল উৎসবের দিন?
পুরো ম্যানচেস্টার শহর আজ উৎসবের অপেক্ষায়। একদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১৯তম লিগ শিরোপা জয়ের অপেক্ষায়, তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিও ৩৫ বছরের শিরোপা-খরা মুছে ফেলার একদম কাছাকাছি। লিগে আজ ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের সঙ্গে ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হবে ম্যানইউ। আর মর্যাদার এফএ কাপ ফাইনালে ম্যান সিটির সামনে স্টোক সিটি। স্টোক সিটির জন্যও এটি একমাত্র লিগ কাপ শিরোপার বাইরে প্রথম বড় শিরোপা জেতার উপলক্ষ।
ম্যান সিটি নাকি ম্যানইউ—কারা বড় উৎসব করবে বলা মুশকিল। দুটো ট্রফিই দুই দলের জন্য হবে পরম পাওয়া। ওয়েম্বলিতে ফাইনাল জেতা ম্যান সিটির জন্য অনেক বড় গর্বের তো বটেই, ‘জাতে ওঠা’র যে চেষ্টা তারা করছে, সে পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়াও হবে। আর লিগ শিরোপা হবে ম্যানইউর, বিশেষ করে অ্যালেক্স ফার্গুসনের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ।
২৫ বছর আগে ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়ার সময়ই কোচ ফার্গুসন বলেছিলেন, একটা মিশন নিয়ে তিনি নামছেন, যে মিশনটা হলো লিভারপুলের রাজত্ব কেড়ে নেওয়া। ‘অল রেড’রা সেই সুদিন হারিয়ে ফেলেছে অনেক দিন হলো। কিন্তু এখনো ইংলিশ ফুটবলে সবচেয়ে বেশিবার লিগ জেতার রেকর্ডটায় নাম আছে তাদের। ১৮টি করে শিরোপা জিতেছে লিভারপুল ও ম্যানইউ। সিকি শতাব্দী আগে যে প্রতিজ্ঞা ফার্গুসন করেছিলেন, আজ বুঝি সেটি পূরণ হওয়ার দিন! এরপর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার হাতছানিও আছে, যেটি হবে ফার্গুসনের ইউরোপীয় মুকুটের তৃতীয় পালক।
তবে এই ঔজ্জ্বল্যের উল্টো পাশে আঁধারও আছে। বলা হচ্ছে, স্যার ফার্গির সব কটি চ্যাম্পিয়ন দলের মধ্যে এই দলটাই নাকি সবচেয়ে অনুজ্জ্বল। এবার লিগের অনেকটা পথ ম্যানইউ আসলেই পাড়ি দিয়েছে দাপটহীন সব জয় দিয়ে। সেটা রায়ান গিগস স্বীকারও করছেন। কিন্তু ফার্গুসনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এই সৈনিক এটা মানতে নারাজ—এই দলটা বিবর্ণ, ‘সত্যি বলতে কি, এসব কথা নিয়ে আমরা মাথাই ঘামাই না। এটা ঠিক, মৌসুমের প্রথমার্ধে আমরা ঠিক দুর্দান্ত না খেলেও জিতছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে, বিশেষ করে ক্রিসমাসের পর থেকে আমরা দুর্দান্ত খেলছি। পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ।’
পরিসংখ্যানও তা-ই বলবে। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ফার্গুসনের দলটা ট্রেবল (লিগ-কাপ-চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাত্রয়ী) জিতেছিল। সেই দুর্দান্ত দলটাও লিগে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করেছিল। দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই ফার্গুসনের এই দলের লিগে পয়েন্ট অর্জন ৭৬। শেষ দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেলেই ট্রেবলজয়ী দলটাকেও ছাপিয়ে যেতে পারবে তারা। ব্ল্যাকবার্নের পর প্রতিপক্ষ ব্ল্যাকপুল—সেটা খুবই সম্ভব মনে হচ্ছে।
ফার্গুসন অবশ্য শিষ্যদের এই বলে সতর্ক করছেন, ‘ব্ল্যাকবার্ন আর ব্ল্যাকপুল দুটো দলই দুর্দান্ত। তাদের হালকাভাবে নিলে চলবে না। এতদূর আসার পর সেই ভুলটা করা বোকামি।’ এই সতর্কতার কারণ গাণিতিক সমীকরণে এখনো চেলসির আশা বেঁচে আছে। শেষ দুই ম্যাচে ম্যানইউয়ের হার আর চেলসির জয় এলে দুই দলের পয়েন্ট হয়ে যাবে সমান। সে ক্ষেত্রে শিরোপা নির্ধারক হয়ে দাঁড়াবে গোল ব্যবধান। হারলে যে গোল ব্যবধানে ম্যানইউর পিছিয়ে পড়ারই কথা।
ম্যান সিটি নাকি ম্যানইউ—কারা বড় উৎসব করবে বলা মুশকিল। দুটো ট্রফিই দুই দলের জন্য হবে পরম পাওয়া। ওয়েম্বলিতে ফাইনাল জেতা ম্যান সিটির জন্য অনেক বড় গর্বের তো বটেই, ‘জাতে ওঠা’র যে চেষ্টা তারা করছে, সে পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়াও হবে। আর লিগ শিরোপা হবে ম্যানইউর, বিশেষ করে অ্যালেক্স ফার্গুসনের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ।
২৫ বছর আগে ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়ার সময়ই কোচ ফার্গুসন বলেছিলেন, একটা মিশন নিয়ে তিনি নামছেন, যে মিশনটা হলো লিভারপুলের রাজত্ব কেড়ে নেওয়া। ‘অল রেড’রা সেই সুদিন হারিয়ে ফেলেছে অনেক দিন হলো। কিন্তু এখনো ইংলিশ ফুটবলে সবচেয়ে বেশিবার লিগ জেতার রেকর্ডটায় নাম আছে তাদের। ১৮টি করে শিরোপা জিতেছে লিভারপুল ও ম্যানইউ। সিকি শতাব্দী আগে যে প্রতিজ্ঞা ফার্গুসন করেছিলেন, আজ বুঝি সেটি পূরণ হওয়ার দিন! এরপর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার হাতছানিও আছে, যেটি হবে ফার্গুসনের ইউরোপীয় মুকুটের তৃতীয় পালক।
তবে এই ঔজ্জ্বল্যের উল্টো পাশে আঁধারও আছে। বলা হচ্ছে, স্যার ফার্গির সব কটি চ্যাম্পিয়ন দলের মধ্যে এই দলটাই নাকি সবচেয়ে অনুজ্জ্বল। এবার লিগের অনেকটা পথ ম্যানইউ আসলেই পাড়ি দিয়েছে দাপটহীন সব জয় দিয়ে। সেটা রায়ান গিগস স্বীকারও করছেন। কিন্তু ফার্গুসনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এই সৈনিক এটা মানতে নারাজ—এই দলটা বিবর্ণ, ‘সত্যি বলতে কি, এসব কথা নিয়ে আমরা মাথাই ঘামাই না। এটা ঠিক, মৌসুমের প্রথমার্ধে আমরা ঠিক দুর্দান্ত না খেলেও জিতছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে, বিশেষ করে ক্রিসমাসের পর থেকে আমরা দুর্দান্ত খেলছি। পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ।’
পরিসংখ্যানও তা-ই বলবে। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ফার্গুসনের দলটা ট্রেবল (লিগ-কাপ-চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাত্রয়ী) জিতেছিল। সেই দুর্দান্ত দলটাও লিগে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করেছিল। দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই ফার্গুসনের এই দলের লিগে পয়েন্ট অর্জন ৭৬। শেষ দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেলেই ট্রেবলজয়ী দলটাকেও ছাপিয়ে যেতে পারবে তারা। ব্ল্যাকবার্নের পর প্রতিপক্ষ ব্ল্যাকপুল—সেটা খুবই সম্ভব মনে হচ্ছে।
ফার্গুসন অবশ্য শিষ্যদের এই বলে সতর্ক করছেন, ‘ব্ল্যাকবার্ন আর ব্ল্যাকপুল দুটো দলই দুর্দান্ত। তাদের হালকাভাবে নিলে চলবে না। এতদূর আসার পর সেই ভুলটা করা বোকামি।’ এই সতর্কতার কারণ গাণিতিক সমীকরণে এখনো চেলসির আশা বেঁচে আছে। শেষ দুই ম্যাচে ম্যানইউয়ের হার আর চেলসির জয় এলে দুই দলের পয়েন্ট হয়ে যাবে সমান। সে ক্ষেত্রে শিরোপা নির্ধারক হয়ে দাঁড়াবে গোল ব্যবধান। হারলে যে গোল ব্যবধানে ম্যানইউর পিছিয়ে পড়ারই কথা।
No comments