আজমলের জবাব বিশু
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধুঁকেছে স্পিনে। আর পাকিস্তান ধুঁকছে স্পিন-পেসের সম্মিলিত আক্রমণে। পাকিস্তানের তিন স্পিনার মিলে ৯ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুটিয়ে দিয়েছিল ২২৬ রানে। দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতির সময় এই স্কোরটাকেও মনে হচ্ছিল অনেক বড়। পাকিস্তান যে ৬ উইকেটে ১১৩!
প্রভিডেন্সের মন্থর, অসমান বাউন্সের উইকেটে ব্যাটিং সহজ হবে না, জানাই ছিল। তবে এই দুর্দশার জন্য পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের দায়ও কম নয়। ড্যারেন স্যামির নিখুঁত লাইন-লেন্থ আর একটু এদিক-সেদিক করা বলে হাঁসফাঁস করলেন তাঁরা, অভিষিক্ত দেবেন্দ্র বিশুর লেগ স্পিনের ভাষা পড়তেও অবস্থা তথৈবচ। দ্বিতীয় ওভারে হাফিজকে (৪) হারানোর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে তৌফিক উমর ও আজহার আলী গড়েছিলেন ৫২ রানের জুটি। কিন্তু স্যামি-বিশুর যৌথ আক্রমণে হঠাৎ ধ্বংসস্তূপ পাকিস্তান—১ উইকেটে ৫৭ থেকে ৫ উইকেটে ৬৬! ১৪ রানের ছোট্ট একটা জুটির পর সালমানকেও তুলে নিয়েছেন বিশু। দারুণ এক ফ্লিপারে মিসবাহকে এলবিডব্লু করে টেস্টে শিকারের খাতা খুলেছেন, বিশুর বাকি দুই উইকেটও এলবিডব্লু। স্যামি নিয়েছেন ২ উইকেট।
বিশুর সাফল্য আরেকটা প্রশ্নও তুলে দিচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশে কেন মাত্র একজন স্পিনার! হয়তো প্রভিডেন্সের উইকেট বেশি বিভ্রান্ত করেছিল স্বাগতিকদেরই। পাকিস্তান তো ঠিকই দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার আর একজন স্পিনিং-অলরাউন্ডারকে নিয়েছে। গত পরশু ইনিংস শুরুও করেছেন সেই অলরাউন্ডার—মোহাম্মদ হাফিজ। একটা ইতিহাসও সম্ভবত গড়ে ফেলেছে পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এর আগে একবার তবু স্পিনে আক্রমণের শুরু হয়েছিল, ১৯৬২ সালে ত্রিনিদাদ টেস্টের প্রথম দিনে নতুন বল হাতে নিয়েছিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার এম এল জয়সিমা। কিন্তু প্রথম দিন লাঞ্চের আগে ৩১ ওভারের ২৪ আর সারা দিনে ৯০ ওভারের ৬৮ ওভারই স্পিন—ক্যারিবিয়ানে আগে কখনো হয়নি বলায় ঝুঁকি মনে হয় খুব একটা নেই।
সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে সাঈদ আজমলের ‘লেগ স্পিন’। অবাক হচ্ছেন? তাঁর অফ স্পিন বাঁহাতিদের জন্য এমনিতেই লেগ স্পিন, ডান হাতিদেরও অফ ব্রেকের চেয়ে দুসরাই বেশি করেছেন। লাঞ্চের আগে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন, পরে প্রান্ত বদল করে রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে ক্রমাগত দুসরা করে গেছেন। আগের দিনের চারটির সঙ্গে কাল শেষ উইকেটটি নিয়ে করেছেন ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং। বিশু যে আজমলের জবাব হওয়ার জন্য তৈরি, তখন কে জানত!
প্রভিডেন্সের মন্থর, অসমান বাউন্সের উইকেটে ব্যাটিং সহজ হবে না, জানাই ছিল। তবে এই দুর্দশার জন্য পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের দায়ও কম নয়। ড্যারেন স্যামির নিখুঁত লাইন-লেন্থ আর একটু এদিক-সেদিক করা বলে হাঁসফাঁস করলেন তাঁরা, অভিষিক্ত দেবেন্দ্র বিশুর লেগ স্পিনের ভাষা পড়তেও অবস্থা তথৈবচ। দ্বিতীয় ওভারে হাফিজকে (৪) হারানোর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে তৌফিক উমর ও আজহার আলী গড়েছিলেন ৫২ রানের জুটি। কিন্তু স্যামি-বিশুর যৌথ আক্রমণে হঠাৎ ধ্বংসস্তূপ পাকিস্তান—১ উইকেটে ৫৭ থেকে ৫ উইকেটে ৬৬! ১৪ রানের ছোট্ট একটা জুটির পর সালমানকেও তুলে নিয়েছেন বিশু। দারুণ এক ফ্লিপারে মিসবাহকে এলবিডব্লু করে টেস্টে শিকারের খাতা খুলেছেন, বিশুর বাকি দুই উইকেটও এলবিডব্লু। স্যামি নিয়েছেন ২ উইকেট।
বিশুর সাফল্য আরেকটা প্রশ্নও তুলে দিচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশে কেন মাত্র একজন স্পিনার! হয়তো প্রভিডেন্সের উইকেট বেশি বিভ্রান্ত করেছিল স্বাগতিকদেরই। পাকিস্তান তো ঠিকই দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার আর একজন স্পিনিং-অলরাউন্ডারকে নিয়েছে। গত পরশু ইনিংস শুরুও করেছেন সেই অলরাউন্ডার—মোহাম্মদ হাফিজ। একটা ইতিহাসও সম্ভবত গড়ে ফেলেছে পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এর আগে একবার তবু স্পিনে আক্রমণের শুরু হয়েছিল, ১৯৬২ সালে ত্রিনিদাদ টেস্টের প্রথম দিনে নতুন বল হাতে নিয়েছিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার এম এল জয়সিমা। কিন্তু প্রথম দিন লাঞ্চের আগে ৩১ ওভারের ২৪ আর সারা দিনে ৯০ ওভারের ৬৮ ওভারই স্পিন—ক্যারিবিয়ানে আগে কখনো হয়নি বলায় ঝুঁকি মনে হয় খুব একটা নেই।
সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে সাঈদ আজমলের ‘লেগ স্পিন’। অবাক হচ্ছেন? তাঁর অফ স্পিন বাঁহাতিদের জন্য এমনিতেই লেগ স্পিন, ডান হাতিদেরও অফ ব্রেকের চেয়ে দুসরাই বেশি করেছেন। লাঞ্চের আগে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন, পরে প্রান্ত বদল করে রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে ক্রমাগত দুসরা করে গেছেন। আগের দিনের চারটির সঙ্গে কাল শেষ উইকেটটি নিয়ে করেছেন ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং। বিশু যে আজমলের জবাব হওয়ার জন্য তৈরি, তখন কে জানত!
No comments