লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে
লিবিয়ায় মুয়াম্মার গাদ্দাফি বাহিনীর বেপরোয়া বিমান হামলায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো একের পর এক হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। সেখানে দ্রুত নো ফ্লাই জোন আরোপের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি।
গাদ্দাফি বাহিনীর বেপরোয়া বিমান হামলা থেকে নিরীহ মানুষকে রক্ষায় দেশটির ওপর নো ফ্লাই জোন আরোপে মতৈক্যে পৌঁছাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। নো ফ্লাই জোন আরোপে জাতিসংঘের একটি খসড়া প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে ফ্র্যান্স ও ব্রিটেন তোড়জোড় শুরু করলেও তাতে তেমন সায় দিচ্ছে না ইতালি ও জার্মানি।
জার্মানি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, উত্তর আফ্রিকার গৃহযদ্ধে তারা নিজেদের জড়াতে চায় না। বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ারও মনোমালিন্য দেখা দিয়েছে।
প্যারিসে জি-৮ নেতারা গতকাল লিবিয়া নিয়ে যে বৈঠক শুরু করেছেন, তাতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের একটা বিরোধ দেখা দিয়েছে। রাশিয়া শিগগিরই সেখানে নো ফ্লাই জোন আরোপের ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
এদিকে ঘরে-বাইরে চাপ থাকা সত্ত্বেও জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া লিবিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে লিবিয়ার এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য গতকাল সোমবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস যাওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের। দুই দিনের এ সফরে হিলারি লিবিয়ার সরকারবিরোধীদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি হারম্যান ভন রমপাই বলেছেন, ‘আমরা লিবিয়ায় কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ চাই না। কেননা, আমরা এখন ঔপনিবেশিক যুগে বাস করি না যে যা খুশি তাই করব।’
এদিকে লিবিয়ায় যেকোনো সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করেছে ইউরোপীয় কাউন্সিল। দেশটির চলমান সংকট নিরসনে সহায়তার জন্য আফ্রিকান ইউনিয়ন একটি প্যানেল গঠনের যে ঘোষণা দিয়েছে, লিবিয়া কর্তৃপক্ষ সেটাকে স্বাগত জানিয়েছে। নো ফ্লাই জোন আরোপে আরব লিগের আহ্বানেরও নিন্দা করেছে দেশটি।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে সরকারি বাহিনীর ধরপাকড় ও গুম করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
লিবিয়ায় গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর বেপরোয়া বিমান হামলায় রণাঙ্গনে টিকে থাকতে পারছে না বিদ্রোহীরা। একের পর এক পতন ঘটছে তাদের নিয়ন্ত্রিত শহরগুলো। গত রোববার ব্যাপক বোমা বর্ষণের পর অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহীদের কাছ থেকে সরকারি সেনারা ব্রেগা শহরটি দখল করে নিয়েছে।
বিদ্রোহীরা ট্রাকের পর ট্রাক বোঝাই বিমানবিধ্বংসী কামান ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আজদাবিয়া শহরে চলে গেছে। এ শহরটিকে বলা হয় বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি বেনগাজির প্রবেশদ্বার। এর আগে সরকারি সেনারা তেলসমৃদ্ধ রাস লানুফসহ কয়েকটি শহর দখল করে নেয়।
রাজধানী ত্রিপোলিতে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল মিলাদ হোসাইন বলেছেন, তাঁদের অভিযানের মুখে বিদ্রোহীরা এখন পালিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা জাবিয়া, উজালা, রাস লানুফ ও ব্রেগা মুক্ত করেছেন। সেনাবাহিনী এখন অবশিষ্ট এলাকা মুক্ত করার জন্য অগ্রসর হচ্ছে। আরেক খবরে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত মিসরাত শহরটি গাদ্দাফি বাহিনী ঘিরে রেখেছে।
গাদ্দাফি বাহিনীর বেপরোয়া বিমান হামলা থেকে নিরীহ মানুষকে রক্ষায় দেশটির ওপর নো ফ্লাই জোন আরোপে মতৈক্যে পৌঁছাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। নো ফ্লাই জোন আরোপে জাতিসংঘের একটি খসড়া প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে ফ্র্যান্স ও ব্রিটেন তোড়জোড় শুরু করলেও তাতে তেমন সায় দিচ্ছে না ইতালি ও জার্মানি।
জার্মানি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, উত্তর আফ্রিকার গৃহযদ্ধে তারা নিজেদের জড়াতে চায় না। বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ারও মনোমালিন্য দেখা দিয়েছে।
প্যারিসে জি-৮ নেতারা গতকাল লিবিয়া নিয়ে যে বৈঠক শুরু করেছেন, তাতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের একটা বিরোধ দেখা দিয়েছে। রাশিয়া শিগগিরই সেখানে নো ফ্লাই জোন আরোপের ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
এদিকে ঘরে-বাইরে চাপ থাকা সত্ত্বেও জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া লিবিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে লিবিয়ার এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য গতকাল সোমবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস যাওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের। দুই দিনের এ সফরে হিলারি লিবিয়ার সরকারবিরোধীদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি হারম্যান ভন রমপাই বলেছেন, ‘আমরা লিবিয়ায় কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ চাই না। কেননা, আমরা এখন ঔপনিবেশিক যুগে বাস করি না যে যা খুশি তাই করব।’
এদিকে লিবিয়ায় যেকোনো সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করেছে ইউরোপীয় কাউন্সিল। দেশটির চলমান সংকট নিরসনে সহায়তার জন্য আফ্রিকান ইউনিয়ন একটি প্যানেল গঠনের যে ঘোষণা দিয়েছে, লিবিয়া কর্তৃপক্ষ সেটাকে স্বাগত জানিয়েছে। নো ফ্লাই জোন আরোপে আরব লিগের আহ্বানেরও নিন্দা করেছে দেশটি।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে সরকারি বাহিনীর ধরপাকড় ও গুম করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
লিবিয়ায় গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর বেপরোয়া বিমান হামলায় রণাঙ্গনে টিকে থাকতে পারছে না বিদ্রোহীরা। একের পর এক পতন ঘটছে তাদের নিয়ন্ত্রিত শহরগুলো। গত রোববার ব্যাপক বোমা বর্ষণের পর অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহীদের কাছ থেকে সরকারি সেনারা ব্রেগা শহরটি দখল করে নিয়েছে।
বিদ্রোহীরা ট্রাকের পর ট্রাক বোঝাই বিমানবিধ্বংসী কামান ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আজদাবিয়া শহরে চলে গেছে। এ শহরটিকে বলা হয় বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি বেনগাজির প্রবেশদ্বার। এর আগে সরকারি সেনারা তেলসমৃদ্ধ রাস লানুফসহ কয়েকটি শহর দখল করে নেয়।
রাজধানী ত্রিপোলিতে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল মিলাদ হোসাইন বলেছেন, তাঁদের অভিযানের মুখে বিদ্রোহীরা এখন পালিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা জাবিয়া, উজালা, রাস লানুফ ও ব্রেগা মুক্ত করেছেন। সেনাবাহিনী এখন অবশিষ্ট এলাকা মুক্ত করার জন্য অগ্রসর হচ্ছে। আরেক খবরে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত মিসরাত শহরটি গাদ্দাফি বাহিনী ঘিরে রেখেছে।
No comments