পাকিস্তানও শেষ আটে
পাল্লেকেলেতে কাল কত খেলা যে হলো! প্রথমে খেললেন শহীদ আফ্রিদি। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট বললেন, উমর আকমল ফিট, দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনাও নেই। দল ঘোষণার পর দেখা গেল, সেই উমর তো নেই-ই, সঙ্গে শোয়েব আখতারও নেই। বলেছিলেন ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনবেন না। কিন্তু রান তাড়ার সময় নিজেই উঠে এলেন চারে। ২৫তম জন্মদিনে টস জিতে জুয়া খেললেন এলটন চিগুম্বুরা। গোমড়া আকাশের নিচে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া জুয়া নয় তো কী!
আসল খেলাটা খেলল প্রকৃতি। দুই দফা বৃষ্টি, জিম্বাবুয়ে ইনিংসের ২৭.২ ওভার পর প্রথমবার। খেলা বন্ধ থাকল পৌনে দুই ঘণ্টা। ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে বৃষ্টিতে আরেক দফা বন্ধ ৩৯.৪ ওভার পর। জিম্বাবুয়ের রান তখন ৭ উইকেটে ১৫১। এবার বন্ধ থাকল এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিট, অনেক দিন পর ব্যাটের হাতটা খুঁজে পাওয়া চিগুম্বুরা আর ব্যাটিংয়েই নামতে পারলেন না। এই বিশ্বকাপে তাই প্রথমবার প্রয়োজন হলো ডাকওয়ার্থ-লুইস সাহেবদের আইনটার। লক্ষ্য ৩৮ ওভারে ১৬২, পাকিস্তান জিতেছে ৭ উইকেটে। নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার পর ‘এ’ গ্রুপ থেকে পাকিস্তানও নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম পার হলো গ্রুপ পর্ব।
সপ্তম ওয়ানডেতে এসে শিঙ্গিরাই মাসাকাদজার প্রথম মেডেন ওভার দিয়ে শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের রান তাড়া। দারুণ দুটো চারের পর আহমেদ শেহজাদের হঠাৎ খেয়াল হলো বলকে পাল্লেকেলে থেকে ক্যান্ডি শহরে পাঠানোর। চোখ-মুখ বুজে খেলা শট ব্যাটেই লাগল না, স্টাম্পিং। সম্ভাব্য শেষ সুযোগটাও হয়তো হারালেন শেহজাদ। আসাদ শফিক যেমন খেললেন, ছোটো আকমল ফিরলে শেহজাদের বাদ পড়া অনেকটা নিশ্চিতই বলা যায়। হাফিজের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে শফিকের ৮২ রানের জুটিতেই দূর হয়ে যায় অঘটনের শঙ্কা। হাফিজ ১ রানের জন্য না পারলেও বিশ্বকাপ অভিষেকে ফিফটি তুলে নিয়েছেন শফিক। ইউনুস খানকে নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন দলের জয়কে সঙ্গী করেই।
এক ম্যাচের ‘রেহমান-পরীক্ষা’ শেষে কাল আবার নতুন বল পেয়ে বিপজ্জনক ব্রেন্ডন টেলকে প্রথম ওভারে ফিরিয়েছেন রাজ্জাক। উমর গুলের সুইং-বাউন্সে থিতু হওয়ার সুযোগ পাননি রেজিস চাকাভা ও শন উইলিয়ামসের চোটের সুযোগে দলে আসা ভুসিমুজি সিবান্দা। ৩ উইকেটে ১৩—চিগুম্বুরার চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার আশা ওখানেই শেষ।
লড়াইটা করতে পারলেন আসলে দুজন—ক্রেইগ আরভিন আর চিগুম্বুরা নিজে। বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন ড্রাইভ খেলে আরভিন তুলে নিয়েছেন বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ফিফটি। তবে সতীর্থদের অনুসরণ করেই দৃষ্টিকটুভাবে আউট হলেন ফিফটি করেই। সাবেক অধিনায়ক প্রসপার উতসেয়াকে নিয়ে এরপর ইনিংসটাকে ধরে রেখেছিলেন চিগুম্বুরা। উতসেয়াকে আউট করে গুল এই জুটি ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টি, জিম্বাবুয়ে ইনিংসও শেষ। ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন চিগুম্বুরা, ৩০ রানের একটা ইনিংস সর্বশেষ খেলেছিলেন ১১ ইনিংস আগে!
আসল খেলাটা খেলল প্রকৃতি। দুই দফা বৃষ্টি, জিম্বাবুয়ে ইনিংসের ২৭.২ ওভার পর প্রথমবার। খেলা বন্ধ থাকল পৌনে দুই ঘণ্টা। ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে বৃষ্টিতে আরেক দফা বন্ধ ৩৯.৪ ওভার পর। জিম্বাবুয়ের রান তখন ৭ উইকেটে ১৫১। এবার বন্ধ থাকল এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিট, অনেক দিন পর ব্যাটের হাতটা খুঁজে পাওয়া চিগুম্বুরা আর ব্যাটিংয়েই নামতে পারলেন না। এই বিশ্বকাপে তাই প্রথমবার প্রয়োজন হলো ডাকওয়ার্থ-লুইস সাহেবদের আইনটার। লক্ষ্য ৩৮ ওভারে ১৬২, পাকিস্তান জিতেছে ৭ উইকেটে। নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার পর ‘এ’ গ্রুপ থেকে পাকিস্তানও নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম পার হলো গ্রুপ পর্ব।
সপ্তম ওয়ানডেতে এসে শিঙ্গিরাই মাসাকাদজার প্রথম মেডেন ওভার দিয়ে শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের রান তাড়া। দারুণ দুটো চারের পর আহমেদ শেহজাদের হঠাৎ খেয়াল হলো বলকে পাল্লেকেলে থেকে ক্যান্ডি শহরে পাঠানোর। চোখ-মুখ বুজে খেলা শট ব্যাটেই লাগল না, স্টাম্পিং। সম্ভাব্য শেষ সুযোগটাও হয়তো হারালেন শেহজাদ। আসাদ শফিক যেমন খেললেন, ছোটো আকমল ফিরলে শেহজাদের বাদ পড়া অনেকটা নিশ্চিতই বলা যায়। হাফিজের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে শফিকের ৮২ রানের জুটিতেই দূর হয়ে যায় অঘটনের শঙ্কা। হাফিজ ১ রানের জন্য না পারলেও বিশ্বকাপ অভিষেকে ফিফটি তুলে নিয়েছেন শফিক। ইউনুস খানকে নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন দলের জয়কে সঙ্গী করেই।
এক ম্যাচের ‘রেহমান-পরীক্ষা’ শেষে কাল আবার নতুন বল পেয়ে বিপজ্জনক ব্রেন্ডন টেলকে প্রথম ওভারে ফিরিয়েছেন রাজ্জাক। উমর গুলের সুইং-বাউন্সে থিতু হওয়ার সুযোগ পাননি রেজিস চাকাভা ও শন উইলিয়ামসের চোটের সুযোগে দলে আসা ভুসিমুজি সিবান্দা। ৩ উইকেটে ১৩—চিগুম্বুরার চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার আশা ওখানেই শেষ।
লড়াইটা করতে পারলেন আসলে দুজন—ক্রেইগ আরভিন আর চিগুম্বুরা নিজে। বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন ড্রাইভ খেলে আরভিন তুলে নিয়েছেন বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ফিফটি। তবে সতীর্থদের অনুসরণ করেই দৃষ্টিকটুভাবে আউট হলেন ফিফটি করেই। সাবেক অধিনায়ক প্রসপার উতসেয়াকে নিয়ে এরপর ইনিংসটাকে ধরে রেখেছিলেন চিগুম্বুরা। উতসেয়াকে আউট করে গুল এই জুটি ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টি, জিম্বাবুয়ে ইনিংসও শেষ। ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন চিগুম্বুরা, ৩০ রানের একটা ইনিংস সর্বশেষ খেলেছিলেন ১১ ইনিংস আগে!
No comments