প্রথমার্ধে বাজেট-ব্যয় মাত্র ৩১.৪%
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বাজেটের মোট বরাদ্দের ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। তবে সার্বিক ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ।
এ সময় অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় হয়েছে বরাদ্দের ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ। আর উন্নয়ন বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) খাতে ব্যয় হয়েছে ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
চলতি বাজেটের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত বাস্তবায়ন, অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণসংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে সরকারি ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকাকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, এডিপি বাস্তবায়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে এ খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না।
চলতি অর্থবছর অনুন্নয়ন-ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১২ শতাংশ। এর মধ্যে ছয় মাসে ব্যয় হয়েছে ৩১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময় ব্যয় হয়েছিল ২৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে অনুন্নয়ন-ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এ বছর জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ২৯২ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময় ব্যয় হয়েছিল আট হাজার ৮১১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এডিপির সিংহভাগই ব্যয় হয় ১০টি বৃহৎ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাধ্যমে। চলতি বছর তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট এডিপির ৭৫ শতাংশ। অথচ ছয় মাসে এ মন্ত্রণালয়গুলো মোট বরাদ্দের ২২ শতাংশ এবং এডিপির ২৬ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে।
১০ বৃহৎ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাজেট-ব্যয়ের চিত্র প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নয় হাজার ৮৬৫ কোটি টাকার মধ্যে চার হাজার ৮৮২ কোটি টাকা ব্যয় করতে পেরেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৮ হাজার ৬২ কোটি টাকার মধ্যে ছয় মাসে ব্যয় করতে পেরেছে তিন হাজার ১৬৭ কোটি টাকা।
একইভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ মোট বরাদ্দ নয় হাজার ৬২২ কোটি টাকার ২২ দশমিক ১ শতাংশ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আট হাজার ১২৯ কোটি টাকার ৩০ দশমিক ৬ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয় ছয় হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার ২৩ দশমিক ২ শতাংশ, সড়ক ও রেলপথ বিভাগ ছয় হাজার ১৬৩ কোটি টাকার ২৪ দশমিক ২ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ পাঁচ হাজার কোটি টাকার ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দুই হাজার ৪৯ কোটি টাকার ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ, সেতু বিভাগ এক হাজার ২৭৭ কোটি টাকার ১৫ শতাংশ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক হাজার ১১৪ কোটি টাকার ২১ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে।
উল্লিখিত ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার ২৬ দশমিক ২ শতাংশ, যেখানে অন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ক্ষেত্রে এই হার ব্যয় বরাদ্দের ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
প্রকল্প সাহায্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে চলতি অর্থবছরের সার্বিক গড় অগ্রগতির হার ১৮ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ কম।
গতকাল জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বক্তব্যে এডিপি বাস্তবায়নে নিম্নহারের দায় স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘এডিপি বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। এরই অংশ হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নে আগাম পরিকল্পনা প্রণয়ন, একনেক সভায় এডিপি বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা, এডিপি বাস্তবায়নে পরিবীক্ষণ নিবিড় করতে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এডিপি বাস্তবায়নে প্রত্যাশিত গতি সঞ্চার করতে পারিনি।’
তবে সম্মিলিত এ কর্মতৎপরতার সুফল অচিরেই দেখা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আরও বলেছেন, ‘মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো আলাদা বাজেট ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ বা অধিশাখা সৃষ্টি করেছে। ফলে বাজেট ব্যবস্থাপনায় নবদিগন্তের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হবে।’
এ সময় অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় হয়েছে বরাদ্দের ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ। আর উন্নয়ন বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) খাতে ব্যয় হয়েছে ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
চলতি বাজেটের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত বাস্তবায়ন, অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণসংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে সরকারি ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকাকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, এডিপি বাস্তবায়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে এ খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না।
চলতি অর্থবছর অনুন্নয়ন-ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১২ শতাংশ। এর মধ্যে ছয় মাসে ব্যয় হয়েছে ৩১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময় ব্যয় হয়েছিল ২৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে অনুন্নয়ন-ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এ বছর জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ২৯২ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময় ব্যয় হয়েছিল আট হাজার ৮১১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এডিপির সিংহভাগই ব্যয় হয় ১০টি বৃহৎ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাধ্যমে। চলতি বছর তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট এডিপির ৭৫ শতাংশ। অথচ ছয় মাসে এ মন্ত্রণালয়গুলো মোট বরাদ্দের ২২ শতাংশ এবং এডিপির ২৬ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে।
১০ বৃহৎ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাজেট-ব্যয়ের চিত্র প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নয় হাজার ৮৬৫ কোটি টাকার মধ্যে চার হাজার ৮৮২ কোটি টাকা ব্যয় করতে পেরেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৮ হাজার ৬২ কোটি টাকার মধ্যে ছয় মাসে ব্যয় করতে পেরেছে তিন হাজার ১৬৭ কোটি টাকা।
একইভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ মোট বরাদ্দ নয় হাজার ৬২২ কোটি টাকার ২২ দশমিক ১ শতাংশ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আট হাজার ১২৯ কোটি টাকার ৩০ দশমিক ৬ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয় ছয় হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার ২৩ দশমিক ২ শতাংশ, সড়ক ও রেলপথ বিভাগ ছয় হাজার ১৬৩ কোটি টাকার ২৪ দশমিক ২ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ পাঁচ হাজার কোটি টাকার ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দুই হাজার ৪৯ কোটি টাকার ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ, সেতু বিভাগ এক হাজার ২৭৭ কোটি টাকার ১৫ শতাংশ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক হাজার ১১৪ কোটি টাকার ২১ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে।
উল্লিখিত ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার ২৬ দশমিক ২ শতাংশ, যেখানে অন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ক্ষেত্রে এই হার ব্যয় বরাদ্দের ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
প্রকল্প সাহায্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে চলতি অর্থবছরের সার্বিক গড় অগ্রগতির হার ১৮ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ কম।
গতকাল জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বক্তব্যে এডিপি বাস্তবায়নে নিম্নহারের দায় স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘এডিপি বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। এরই অংশ হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নে আগাম পরিকল্পনা প্রণয়ন, একনেক সভায় এডিপি বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা, এডিপি বাস্তবায়নে পরিবীক্ষণ নিবিড় করতে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এডিপি বাস্তবায়নে প্রত্যাশিত গতি সঞ্চার করতে পারিনি।’
তবে সম্মিলিত এ কর্মতৎপরতার সুফল অচিরেই দেখা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আরও বলেছেন, ‘মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো আলাদা বাজেট ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ বা অধিশাখা সৃষ্টি করেছে। ফলে বাজেট ব্যবস্থাপনায় নবদিগন্তের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হবে।’
No comments