দুহাত ভরিয়ে দিল চট্টগ্রাম
৯৯ দিনের দুঃসহ জিম্মি দশা থেকে মুক্তির পর পরই বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জাহান মণির কনিষ্ঠতম নাবিক ক্যাডেট শাহরিয়ার রাব্বির ফোন আসে মায়ের কাছে। বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন রাব্বি জানতে চান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খবর। মা বিলকিস রহমান তাঁকে আশ্বস্ত করেন, চট্টগ্রামে হল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিততে চলেছে। রাব্বি রাতেই হয়তো জেনে গেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিবও তাঁদের মুক্তিতে স্বস্তি পেয়েছেন।
চট্টগ্রামে হল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর সাকিব বলেন, ‘জাহান মণির ২৬ নাবিকের মুক্তি দারুণ একটা খবর।’
অসম্ভব এক সমীকরণ নিয়ে চট্টগ্রামে আসা সাকিব বাহিনী শতভাগ সাফল্য নিয়ে আজ ঢাকায় ফিরবেন। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ফিরবেন জাহান মণির মুক্ত নাবিকেরাও। নাবিক সদস্যদের পরিবারের মতো সাকিবও এখন অনেকটা নির্ভার ও স্বস্তিতে।
ঢাকায় ৫৮-র দুঃস্বপ্নের পর চট্টগ্রামে উষ্ণ সংবর্ধনা কিংবা মেয়রের দেওয়া নগরের চাবিটাই হয়তো তাঁদের অন্য রকম প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
ঢাকার তিন ম্যাচে জয় যেখানে মাত্র একটি, সেখানে চট্টগ্রামে সাফল্য শতভাগ। অথচ এই মাঠে বিশ্বকাপের ম্যাচ না-ও হতে পারত। বিশ্বকাপ সূচি হওয়ার আগে শোনা গিয়েছিল চট্টগ্রাম ম্যাচ না-ও পেতে পারে। তারপর শুরু হলো চাটগাঁবাসীর আন্দোলন, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
অভিষেক ম্যাচটি ছিল ক্রিকেট পরাশক্তি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ২ উইকেটে জয়ের পর সাকিবরা ফিরে পেলেন নিজেদের। কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া সেই সমর্থকেরাই জানাল ফুলেল সম্ভাষণ।
গতকাল এই ভেন্যুর শেষ ম্যাচটি শেষ হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগেই স্টেডিয়ামে সমর্থকদের মিছিল চলল, ‘জিতিব রে জিতিব বাংলাদেশ জিতিব, জয় বাংলা’ ইত্যাদি। জয় শেষে সেই মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলো। খেলা দেখে বেরিয়ে যাওয়ার পথে কলেজছাত্রী শারমিন বললেন, ‘চট্টগ্রাম আসলেই লাকি গ্রাউন্ড। আমরা দুটি জয় উপহার দিলাম।’ শুধু দুটিই বা কেন, এখানে ১২ ফেব্রুয়ারি কানাডার সঙ্গে অনুশীলন ম্যাচেও জিতেছে বাংলাদেশ!
টুর্নামেন্টে চট্টগ্রামের উপহার দেওয়া এই দুটি জয়েই বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনাল সম্ভাবনাটা পেয়েছে বাস্তবভিত্তি।
আরেকটু পেছনে তাকান। ২০০৫ সালে এই চট্টগ্রামে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় নুরুল আবেদীন নোবেল সেই স্মৃতির জের টেনে বললেন, ‘চট্টগ্রাম বাংলাদেশ দলের জন্য সৌভাগ্যই বয়ে এনেছে। আমার মনে হয়, এখান থেকে জয়ের ধারায় ফিরেই কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে তারা।’
যে চট্টগ্রাম বাংলাদেশ দলকে দুহাত ভরিয়ে দিল, কাল শেষ বিকেল থেকেই সেখানে একধরনের শূন্যতা এসে ভিড় করেছে। সহ-আয়োজক বলে দেশে বিশ্বকাপের বাঁশি বাজবে ২ এপ্রিল ফাইনাল পর্যন্ত। সরাসরি উৎসবের রেশ থাকবে ২৫ মার্চ তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। কিন্তু সেই উৎসব তো হবে ঢাকায়। তাই চট্টগ্রামে বিশ্বকাপের মেলা ভেঙে গেল কাল বিকেলেই।
চট্টগ্রামে হল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর সাকিব বলেন, ‘জাহান মণির ২৬ নাবিকের মুক্তি দারুণ একটা খবর।’
অসম্ভব এক সমীকরণ নিয়ে চট্টগ্রামে আসা সাকিব বাহিনী শতভাগ সাফল্য নিয়ে আজ ঢাকায় ফিরবেন। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ফিরবেন জাহান মণির মুক্ত নাবিকেরাও। নাবিক সদস্যদের পরিবারের মতো সাকিবও এখন অনেকটা নির্ভার ও স্বস্তিতে।
ঢাকায় ৫৮-র দুঃস্বপ্নের পর চট্টগ্রামে উষ্ণ সংবর্ধনা কিংবা মেয়রের দেওয়া নগরের চাবিটাই হয়তো তাঁদের অন্য রকম প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
ঢাকার তিন ম্যাচে জয় যেখানে মাত্র একটি, সেখানে চট্টগ্রামে সাফল্য শতভাগ। অথচ এই মাঠে বিশ্বকাপের ম্যাচ না-ও হতে পারত। বিশ্বকাপ সূচি হওয়ার আগে শোনা গিয়েছিল চট্টগ্রাম ম্যাচ না-ও পেতে পারে। তারপর শুরু হলো চাটগাঁবাসীর আন্দোলন, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
অভিষেক ম্যাচটি ছিল ক্রিকেট পরাশক্তি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ২ উইকেটে জয়ের পর সাকিবরা ফিরে পেলেন নিজেদের। কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া সেই সমর্থকেরাই জানাল ফুলেল সম্ভাষণ।
গতকাল এই ভেন্যুর শেষ ম্যাচটি শেষ হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগেই স্টেডিয়ামে সমর্থকদের মিছিল চলল, ‘জিতিব রে জিতিব বাংলাদেশ জিতিব, জয় বাংলা’ ইত্যাদি। জয় শেষে সেই মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলো। খেলা দেখে বেরিয়ে যাওয়ার পথে কলেজছাত্রী শারমিন বললেন, ‘চট্টগ্রাম আসলেই লাকি গ্রাউন্ড। আমরা দুটি জয় উপহার দিলাম।’ শুধু দুটিই বা কেন, এখানে ১২ ফেব্রুয়ারি কানাডার সঙ্গে অনুশীলন ম্যাচেও জিতেছে বাংলাদেশ!
টুর্নামেন্টে চট্টগ্রামের উপহার দেওয়া এই দুটি জয়েই বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনাল সম্ভাবনাটা পেয়েছে বাস্তবভিত্তি।
আরেকটু পেছনে তাকান। ২০০৫ সালে এই চট্টগ্রামে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় নুরুল আবেদীন নোবেল সেই স্মৃতির জের টেনে বললেন, ‘চট্টগ্রাম বাংলাদেশ দলের জন্য সৌভাগ্যই বয়ে এনেছে। আমার মনে হয়, এখান থেকে জয়ের ধারায় ফিরেই কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে তারা।’
যে চট্টগ্রাম বাংলাদেশ দলকে দুহাত ভরিয়ে দিল, কাল শেষ বিকেল থেকেই সেখানে একধরনের শূন্যতা এসে ভিড় করেছে। সহ-আয়োজক বলে দেশে বিশ্বকাপের বাঁশি বাজবে ২ এপ্রিল ফাইনাল পর্যন্ত। সরাসরি উৎসবের রেশ থাকবে ২৫ মার্চ তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। কিন্তু সেই উৎসব তো হবে ঢাকায়। তাই চট্টগ্রামে বিশ্বকাপের মেলা ভেঙে গেল কাল বিকেলেই।
No comments