বোরেন-ডেসকাটদের অন্য লড়াই
হল্যান্ডের বিশ্বকাপটা তাহলে আজই শুরু হচ্ছে! ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ডের গ্রুপ থেকে শেষ আটে যাওয়ার চিন্তা করা তাদের জন্য ছিল বিলাসিতা। বিশ্বকাপে ডাচদের লক্ষ্য তাই সুযোগসন্ধানী হয়ে বসে থাকা। ঝোপ বুঝে কোপ মেরে যদি একটি-দুটি জয় তুলে নেওয়া যায়!
অঘটন ঘটতেই পারে, তবে বাস্তবতা চিন্তা করলে গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচই তাদের জন্য হতে পারে ঝোপ বুঝে কোপ মারার সেরা সুযোগ। চট্টগ্রামে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা, এরপর ১৮ মার্চ কলকাতায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। গ্রুপের অন্য দলগুলোর চেয়ে এই দুই দলের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখাটাই বেশি বাস্তবসম্মত ডাচদের জন্য।
তা ডাচরা সে স্বপ্ন দেখছেও। অধিনায়ক পিটার বোরেন কাল সংবাদ সম্মেলনে শোনালেন সেই আশার কথাই, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা ভালো খেলেছি এবং আমার মনে হয় ভারতের বিপক্ষেও খারাপ খেলিনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পারফরম্যান্সটা ছিল হতাশাজনক। এখন শেষ দুটি ম্যাচ জিততে পারলেই খুশি হব।’
আজকের ম্যাচে ডাচদের জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াতে পারে চট্টগ্রামের উইকেট। এমন কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা যে দলটার নেই বললেই চলে! টেলিভিশনে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচটা দেখলেও কালকের ম্যাচের আগে বোরেনও মানছেন চ্যালেঞ্জটা, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা একটা ম্যাচই খেলেছি। গত বছর গ্লাসগোতে সেই ম্যাচে জিতেছিও আমরা। তবে এখানকার কন্ডিশন একদমই ভিন্ন। মন্থর উইকেটে স্পিনারদের খেলার যে অনুশীলনটা এতদিন করে আসছি আমরা, কাল (আজ) সেটারই চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে।’
ডাচ অলরাউন্ডার রায়ান টেন ডেসকাটের জন্যও আজকের ম্যাচ একটা পরীক্ষা। কন্ডিশন জয় করার চ্যালেঞ্জ তো আছেই, আছে ছোট দলের বড় খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদও। ‘প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর দু-তিন ম্যাচে বাজেভাবে উইকেট দিয়ে এসেছি। তবে এই ম্যাচে ভালো করার ব্যাপারে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী’—বলেছেন আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর বর্ষসেরা ক্রিকেটার ডেসকাট। প্রতিপক্ষ হিসেবে বড় মানলেও বাংলাদেশের অধারাবাহিক পারফরম্যান্সকে পুঁজি করতে চান তিনি, ‘ভালো দল হলেও তাদের সময়টা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কাজেই আমাদের জেতার সুযোগ আছে।’
ডেসকাট যদি ছোট দলের বড় ক্রিকেটার হন, বাস জুইডারেন্ট অনভিজ্ঞ হল্যান্ডের অভিজ্ঞতম ক্রিকেটার। এ নিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলছেন, হল্যান্ডের পক্ষে অর্ধশতাধিক (৫৭টি) ওয়ানডে খেলা একমাত্র ক্রিকেটারও এই জুইডারেন্ট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা সত্ত্ব্বেও একটা আফসোস আছে এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানের। আফসোসের সঙ্গে মিশে আছে বিশ্বকাপে হল্যান্ডের হতাশাও, ‘বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণ, আমরা বড় দলগুলোর সঙ্গে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাই না। পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের বিপক্ষে আমরা সর্বশেষ ম্যাচটা খেলেছি গত বছর এই বাংলাদেশের বিপক্ষেই। তার আগের ম্যাচটা খেলেছি সম্ভবত আরও দুই বছর আগে।’
হল্যান্ডের মতো দলগুলোর জন্য আরও বড় দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে আইসিসির ছোট দলগুলোকে বিশ্বকাপের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত। জুইডারেন্ট প্রতিবাদই করলেন এমন সিদ্ধান্তের, ‘এটা খুবই লজ্জাজনক। সব দেশের মতো আমরাও বিশ্বকাপে খেলতে চাই। একসময় বাংলাদেশকেও বিশ্বকাপে খেলার জন্য লড়াই করতে হয়েছে। আইসিসি যদি আয়ারল্যান্ড, হল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো দলগুলোকে বিশ্বকাপে খেলতে না দেয়, সেটা হবে হতাশাজনক।’
শুধু মুখে বলে নয়, বাংলাদেশকে হারিয়ে মাঠেও আইসিসির সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় হল্যান্ড। অধিনায়ক বোরেন আজকের ম্যাচে সেটা করে দেখানোর খুব ভালো সম্ভাবনা দেখছেন। ডেসকাটের মতো তিনিও মনে করেন, বাংলাদেশের অধারাবাহিক পারফরম্যান্সটাই প্লাস পয়েন্ট তাদের জন্য, ‘বাংলাদেশকে হারাতে পারলে সেটা হবে আপসেট। আয়ারল্যান্ডের কথা জানি না, তবে বাংলাদেশ উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা অবশ্যই চাইব তাদের উৎসব মাটি করতে।’
ফুটবল আর হকির দেশ হল্যান্ডে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা নেই বললেই চলে। বিশ্বকাপ থেকে ভালো কিছু নিয়ে ফিরতে পারলে হয়তো কিছু মানুষ ফিরে তাকাবে ক্রিকেটের দিকে। ক্রুইফ-ফন বাস্তেনদের মতো বিশ্বতারকা না হতে পারেন, দেশের মানুষ তো অন্তত চিনবে তাঁদের!
অঘটন ঘটতেই পারে, তবে বাস্তবতা চিন্তা করলে গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচই তাদের জন্য হতে পারে ঝোপ বুঝে কোপ মারার সেরা সুযোগ। চট্টগ্রামে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা, এরপর ১৮ মার্চ কলকাতায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। গ্রুপের অন্য দলগুলোর চেয়ে এই দুই দলের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখাটাই বেশি বাস্তবসম্মত ডাচদের জন্য।
তা ডাচরা সে স্বপ্ন দেখছেও। অধিনায়ক পিটার বোরেন কাল সংবাদ সম্মেলনে শোনালেন সেই আশার কথাই, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা ভালো খেলেছি এবং আমার মনে হয় ভারতের বিপক্ষেও খারাপ খেলিনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পারফরম্যান্সটা ছিল হতাশাজনক। এখন শেষ দুটি ম্যাচ জিততে পারলেই খুশি হব।’
আজকের ম্যাচে ডাচদের জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াতে পারে চট্টগ্রামের উইকেট। এমন কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা যে দলটার নেই বললেই চলে! টেলিভিশনে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচটা দেখলেও কালকের ম্যাচের আগে বোরেনও মানছেন চ্যালেঞ্জটা, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা একটা ম্যাচই খেলেছি। গত বছর গ্লাসগোতে সেই ম্যাচে জিতেছিও আমরা। তবে এখানকার কন্ডিশন একদমই ভিন্ন। মন্থর উইকেটে স্পিনারদের খেলার যে অনুশীলনটা এতদিন করে আসছি আমরা, কাল (আজ) সেটারই চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে।’
ডাচ অলরাউন্ডার রায়ান টেন ডেসকাটের জন্যও আজকের ম্যাচ একটা পরীক্ষা। কন্ডিশন জয় করার চ্যালেঞ্জ তো আছেই, আছে ছোট দলের বড় খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদও। ‘প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর দু-তিন ম্যাচে বাজেভাবে উইকেট দিয়ে এসেছি। তবে এই ম্যাচে ভালো করার ব্যাপারে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী’—বলেছেন আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর বর্ষসেরা ক্রিকেটার ডেসকাট। প্রতিপক্ষ হিসেবে বড় মানলেও বাংলাদেশের অধারাবাহিক পারফরম্যান্সকে পুঁজি করতে চান তিনি, ‘ভালো দল হলেও তাদের সময়টা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কাজেই আমাদের জেতার সুযোগ আছে।’
ডেসকাট যদি ছোট দলের বড় ক্রিকেটার হন, বাস জুইডারেন্ট অনভিজ্ঞ হল্যান্ডের অভিজ্ঞতম ক্রিকেটার। এ নিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলছেন, হল্যান্ডের পক্ষে অর্ধশতাধিক (৫৭টি) ওয়ানডে খেলা একমাত্র ক্রিকেটারও এই জুইডারেন্ট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা সত্ত্ব্বেও একটা আফসোস আছে এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানের। আফসোসের সঙ্গে মিশে আছে বিশ্বকাপে হল্যান্ডের হতাশাও, ‘বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণ, আমরা বড় দলগুলোর সঙ্গে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাই না। পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের বিপক্ষে আমরা সর্বশেষ ম্যাচটা খেলেছি গত বছর এই বাংলাদেশের বিপক্ষেই। তার আগের ম্যাচটা খেলেছি সম্ভবত আরও দুই বছর আগে।’
হল্যান্ডের মতো দলগুলোর জন্য আরও বড় দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে আইসিসির ছোট দলগুলোকে বিশ্বকাপের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত। জুইডারেন্ট প্রতিবাদই করলেন এমন সিদ্ধান্তের, ‘এটা খুবই লজ্জাজনক। সব দেশের মতো আমরাও বিশ্বকাপে খেলতে চাই। একসময় বাংলাদেশকেও বিশ্বকাপে খেলার জন্য লড়াই করতে হয়েছে। আইসিসি যদি আয়ারল্যান্ড, হল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো দলগুলোকে বিশ্বকাপে খেলতে না দেয়, সেটা হবে হতাশাজনক।’
শুধু মুখে বলে নয়, বাংলাদেশকে হারিয়ে মাঠেও আইসিসির সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় হল্যান্ড। অধিনায়ক বোরেন আজকের ম্যাচে সেটা করে দেখানোর খুব ভালো সম্ভাবনা দেখছেন। ডেসকাটের মতো তিনিও মনে করেন, বাংলাদেশের অধারাবাহিক পারফরম্যান্সটাই প্লাস পয়েন্ট তাদের জন্য, ‘বাংলাদেশকে হারাতে পারলে সেটা হবে আপসেট। আয়ারল্যান্ডের কথা জানি না, তবে বাংলাদেশ উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা অবশ্যই চাইব তাদের উৎসব মাটি করতে।’
ফুটবল আর হকির দেশ হল্যান্ডে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা নেই বললেই চলে। বিশ্বকাপ থেকে ভালো কিছু নিয়ে ফিরতে পারলে হয়তো কিছু মানুষ ফিরে তাকাবে ক্রিকেটের দিকে। ক্রুইফ-ফন বাস্তেনদের মতো বিশ্বতারকা না হতে পারেন, দেশের মানুষ তো অন্তত চিনবে তাঁদের!
No comments