প্রোটিয়ারা আজ সাকিবদের মিত্র
অদ্ভুত এক সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েছে বিশ্বকাপ। এখানে কে কার শত্রু, কে কার মিত্র; তার কিছু সুনির্দিষ্ট নয়। বাংলাদেশকে লজ্জায় ডুবিয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও যেমন এখন ভাবা হচ্ছে মিত্র। শেষ ম্যাচে যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ; অন্তত পরের ম্যাচের জন্য মিত্র তারাও!
আজ বাংলাদেশ যেমন প্রার্থনা করবে আয়ারল্যান্ড যেন কোনো অঘটন না ঘটায়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আইরিশরা হারিয়ে দিলে আবারও জট পাকিয়ে যাবে। আয়ারল্যান্ডের পয়েন্ট হয়ে যাবে ৪। সে ক্ষেত্রে ১৮ মার্চ হল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলে তাদের পয়েন্টও হবে ৬। বাংলাদেশের তখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততেই হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিলেও বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হবে না।
আজ ১৬ কোটি বাংলাদেশির প্রার্থনার সঙ্গে তাই মিলে যাক পশ্চিমবঙ্গের ৯ কোটির সুর। ২৫ কোটির সম্মিলিত প্রার্থনা হোক, আইরিশরা যেন আজ কোনো রূপকথার জন্ম দিতে না পারে। আজকের ম্যাচটা যে ইডেন গার্ডেনে। এ ম্যাচ দিয়েই কলকাতায় বিশ্বকাপ ফিরল।
এই ইডেনে ম্যাচ হওয়া না-হওয়া নিয়ে কত নাটক। ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল এখানেই। স্টেডিয়ামটি সময়মতো প্রস্তুত না হওয়ায় সেটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গালুরুতে। যে ম্যাচটা নাটকীয় উত্তেজনায় শেষ হয় টাই-এ। ইডেনের এটি নিয়ে মোট তিনটি ম্যাচ আছে। কিন্তু একটিতেও ভারত নেই। ফলে ৯০ হাজার থেকে আসনসংখ্যা কমে ৬৫ হাজারে নেমে এলেও গ্যালারি খাঁ খাঁ করারই কথা। আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড অবশ্য বলছেন, তাঁর কাছে লর্ডসে খেলার মতোই রোমাঞ্চ জাগাচ্ছে।
এই রোমাঞ্চ নিয়েই মাঠে নামবে আয়ারল্যান্ড। টুর্নামেন্টের ছোট দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো খেলছে আইরিশরাই। বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেওয়া, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়, ভারতের ঘাম ছোটানোর পর গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও স্বস্তি না দেওয়া। পোর্টারফিল্ড বলছেন, ‘আমাদের হারানোর কিছুই নেই। ফলে আমরা খেলব চাপমুক্ত হয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা তো শিরোপারই দাবিদার। গত ম্যাচে ওরা ভারতকেও হারিয়েছে। আমরা তাই নির্ভার হয়ে খেলতে পারব।’
নির্ভার হয়ে খেলতে পারবে দক্ষিণ আফ্রিকাও। আসলেই ভারতের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়টি চাপ সরিয়ে দিয়েছে তাদের ওপর থেকে। প্রোটিয়া অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ ভারতেরই এক পত্রিকায় তাঁর কলামে লিখেছেন, ‘শনিবারের জয়টি আমাদের জন্য আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়ে বড় একটা ধাপ পেরিয়ে যাওয়া। এখন আমরা একটু নির্ভার হয়ে খেলতে পারব। তবে তার মানে এই নয়, আমরা ধরেই নিচ্ছি মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ডকে এমনিতেই হারিয়ে দেব। আয়ারল্যান্ডের অনেকেই কাউন্টিতে খেলে। পুরো দল হিসেবে তারা বিচক্ষণ। যেকোনো সময় ওরা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। তাই ওদের হালকা করে নেওয়ার সুযোগ নেই।’
নেই বলেই পুরো শক্তির দলও খেলার কথা ভাবছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য দারুণ ফর্মে থাকা এবি ডি ভিলিয়ার্স নাও খেলতে পারেন। ভারতের ম্যাচেই চোট পাওয়া ডি ভিলিয়ার্সের বাঁ ঊরুতে স্ক্যান করানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে পারেন চার ম্যাচে ১০৬ গড়ে ৩১৮ রান করা এই ডানহাতি। চোটের কারণে গত ম্যাচ না খেলা ইমরান তাহিরও ফিরবেন কি না, নিশ্চিত নয়। চোট আছে আইরিশ শিবিরেও। ট্রেন্ট জনস্টন আর আন্দ্রে বোথাকে আজ হয়তো পাবে না আয়ারল্যান্ড।
আজ বাংলাদেশ যেমন প্রার্থনা করবে আয়ারল্যান্ড যেন কোনো অঘটন না ঘটায়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আইরিশরা হারিয়ে দিলে আবারও জট পাকিয়ে যাবে। আয়ারল্যান্ডের পয়েন্ট হয়ে যাবে ৪। সে ক্ষেত্রে ১৮ মার্চ হল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলে তাদের পয়েন্টও হবে ৬। বাংলাদেশের তখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততেই হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিলেও বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হবে না।
আজ ১৬ কোটি বাংলাদেশির প্রার্থনার সঙ্গে তাই মিলে যাক পশ্চিমবঙ্গের ৯ কোটির সুর। ২৫ কোটির সম্মিলিত প্রার্থনা হোক, আইরিশরা যেন আজ কোনো রূপকথার জন্ম দিতে না পারে। আজকের ম্যাচটা যে ইডেন গার্ডেনে। এ ম্যাচ দিয়েই কলকাতায় বিশ্বকাপ ফিরল।
এই ইডেনে ম্যাচ হওয়া না-হওয়া নিয়ে কত নাটক। ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল এখানেই। স্টেডিয়ামটি সময়মতো প্রস্তুত না হওয়ায় সেটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গালুরুতে। যে ম্যাচটা নাটকীয় উত্তেজনায় শেষ হয় টাই-এ। ইডেনের এটি নিয়ে মোট তিনটি ম্যাচ আছে। কিন্তু একটিতেও ভারত নেই। ফলে ৯০ হাজার থেকে আসনসংখ্যা কমে ৬৫ হাজারে নেমে এলেও গ্যালারি খাঁ খাঁ করারই কথা। আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড অবশ্য বলছেন, তাঁর কাছে লর্ডসে খেলার মতোই রোমাঞ্চ জাগাচ্ছে।
এই রোমাঞ্চ নিয়েই মাঠে নামবে আয়ারল্যান্ড। টুর্নামেন্টের ছোট দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো খেলছে আইরিশরাই। বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেওয়া, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়, ভারতের ঘাম ছোটানোর পর গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও স্বস্তি না দেওয়া। পোর্টারফিল্ড বলছেন, ‘আমাদের হারানোর কিছুই নেই। ফলে আমরা খেলব চাপমুক্ত হয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা তো শিরোপারই দাবিদার। গত ম্যাচে ওরা ভারতকেও হারিয়েছে। আমরা তাই নির্ভার হয়ে খেলতে পারব।’
নির্ভার হয়ে খেলতে পারবে দক্ষিণ আফ্রিকাও। আসলেই ভারতের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়টি চাপ সরিয়ে দিয়েছে তাদের ওপর থেকে। প্রোটিয়া অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ ভারতেরই এক পত্রিকায় তাঁর কলামে লিখেছেন, ‘শনিবারের জয়টি আমাদের জন্য আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়ে বড় একটা ধাপ পেরিয়ে যাওয়া। এখন আমরা একটু নির্ভার হয়ে খেলতে পারব। তবে তার মানে এই নয়, আমরা ধরেই নিচ্ছি মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ডকে এমনিতেই হারিয়ে দেব। আয়ারল্যান্ডের অনেকেই কাউন্টিতে খেলে। পুরো দল হিসেবে তারা বিচক্ষণ। যেকোনো সময় ওরা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। তাই ওদের হালকা করে নেওয়ার সুযোগ নেই।’
নেই বলেই পুরো শক্তির দলও খেলার কথা ভাবছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য দারুণ ফর্মে থাকা এবি ডি ভিলিয়ার্স নাও খেলতে পারেন। ভারতের ম্যাচেই চোট পাওয়া ডি ভিলিয়ার্সের বাঁ ঊরুতে স্ক্যান করানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে পারেন চার ম্যাচে ১০৬ গড়ে ৩১৮ রান করা এই ডানহাতি। চোটের কারণে গত ম্যাচ না খেলা ইমরান তাহিরও ফিরবেন কি না, নিশ্চিত নয়। চোট আছে আইরিশ শিবিরেও। ট্রেন্ট জনস্টন আর আন্দ্রে বোথাকে আজ হয়তো পাবে না আয়ারল্যান্ড।
No comments