পা মাটিতেই রাখছেন সিডন্স
ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে যদি ইংল্যান্ড জিতে যায়? কিংবা বাংলাদেশ যদি আজ হল্যান্ডকে হারিয়ে ১৯ মার্চ হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকেও! কাল্পনিক সমীকরণ মিলিয়ে বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলার স্বপ্ন দেখাই যায়। তবে জেমি সিডন্স এসব হিসাবের ফাঁদে পড়তে চান না। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর হল্যান্ডকে সামনে পেয়েও মাটিতেই পা রাখছেন বাংলাদেশের কোচ।
কাল সংবাদ সম্মেলনে প্রথম প্রশ্নটাই হলো বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনাল সম্ভাবনা নিয়ে। সিডন্স কোনো স্বপ্নই দেখালেন না, ‘ইংল্যান্ড যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারে...সে অনেক পরের কথা। আবার ইংল্যান্ড যদি জেতে আমাদের শুধু কালকের (আজ) ম্যাচ জিতলেই হবে না, বাকি ম্যাচটাও জিততে হবে। নয়তো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া।’ পরশু ভারতকে হারানো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ জেতাটাও মোটেই সহজ মনে করছেন না কোচ, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো কঠিন। আমি এখানে বসেই বলে দিতে পারি না যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা জিতব। পরের ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতলে আমাদের শুধু হল্যান্ডের বিপক্ষেই জিতলে হবে না, শেষ ম্যাচটাও জিততে হবে।’
পরিস্থিতি যখন এই, আগে থেকে বড় কোনো স্বপ্ন না দেখিয়ে কোচ হাঁটতে চান পুরোনো পথে, ম্যাচ ধরে ধরে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের আত্মতৃপ্তিতে তিনি বুঁদ নন। তাঁর চোখে এখন কেবলই আজকের ম্যাচ। বিশ্বকাপটাকে কোচের দৃষ্টিতে দেখারই চেষ্টা করছে দলের সব খেলোয়াড়ই। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আগেই বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কী করতে হবে সেটা পরের কথা, আগে জিততে হবে হল্যান্ড ম্যাচ।
কথা ঠিক। কিন্তু ইংল্যান্ড ম্যাচটা কি চাইলেই ভুলে থাকা যায়? বিশেষ করে ওই ম্যাচের জয়টা যখন হতে পারে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সবচেয়ে বড় টনিক! ব্যাটসম্যানদের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কোচ নিজেও তো বলছেন, ‘আমাদের বোলাররা ভালো করছে। ব্যাটসম্যানরাও বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটা দলের বিপক্ষে জয়ে বড় ভূমিকা রাখল। ভুলে গেলে হবে না, ইংল্যান্ডের এই দলটাই ভারতের সঙ্গে টাই করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে আর আমরা হারিয়েছি তাদের। এই জয় আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।’ তা ছাড়া ‘ক্লোজ’ ম্যাচগুলোতেও যে বাংলাদেশ এখন স্নায়ুর যুদ্ধে জিততে পারছে, সেটির ধারাবাহিকতাও তো ধরে রাখা গেল ইংল্যান্ড ম্যাচে! সিডন্স তো বলছেন, এটা বাংলাদেশ দলের চরিত্রেরই অংশ হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।
হল্যান্ড ছোট দল হলেও আজকের ম্যাচের আগে অন্তত পরিসংখ্যানের পাতায় তারাই এগিয়ে। বাংলাদেশ-হল্যান্ড আন্তর্জাতিক ওয়ানডে এর আগে হয়েছে একটাই এবং তাতে জিতেছিল হল্যান্ড। গত বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্য সফরের অংশ হিসেবে গ্লাসগোতে হওয়া দুই দলের একমাত্র ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। সেই স্মৃতি থেকেই কাল হল্যান্ডকে ‘বিপজ্জনক’ দল বললেন সিডন্স, ‘সর্বশেষ ম্যাচে ওরা আমাদের হারিয়ে দিয়েছিল। দলটা বিপজ্জনক। তবে ওই ম্যাচের দৈর্ঘ্য অনেক কমিয়ে (৩০ ওভার) আনা হয়েছিল। আমরা ২০০ (১৯৯) রান করেছিলাম, তারা সম্ভবত শেষ ওভারে ম্যাচ জিতেছিল। দলটা আসলেই বিপজ্জনক। তাদের সমীহ করতে হবে, হারাতে হলে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
হল্যান্ড ম্যাচের প্রস্তুতি সাকিবের দল মাঠে যেমন নিয়েছে, নিয়েছে মাঠের বাইরেও। অনুশীলনের বাইরে অনেকটা সময়ই কেটেছে ডাচ খেলোয়াড়দের ভিডিও ফুটেজ দেখে। তার পরও যদি কোনো কিছু বাদ থেকে যায় সেই ভয়ে কাল বিকেলে টিম হোটেলে আরেকবার বসা হয়েছিল টেলিভিশনের সামনে। ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ দল থেকে যে দু-একজন ‘টার্গেট প্লেয়ার’ খুঁজে বের করা হয়, এবার সেটিও করা হচ্ছে মূলত ভিডিও ফুটেজ দেখেই। আজকের ম্যাচে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা যেমন সাবধানী হয়ে খেলবেন বাঁহাতি স্পিনার পিটার সিলারের বল, বোলাররা আটকে রাখতে চাইবেন টম কুপার ও রায়ান টেন ডেসকাটকে।
ক্রিকেটে চাপ-টাপ জাতীয় জিনিসগুলো বড় দলের চেয়ে ছোট দলের বিপক্ষেই বেশি থাকে। তবে এই চাপটাকে উড়িয়ে দিতে সিডন্স উল্টো দেখালেন পরিসংখ্যানের পাতা, ‘জেতার প্রত্যাশা থাকলে চাপটা সব সময়ই বেশি থাকে। সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে খেলার সময় এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে ছোট দলগুলোর বিপক্ষে আমাদের রেকর্ড খুব ভালো। আমরা আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছি এবং মাত্রই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ একটা ম্যাচ জিতলাম। এ ম্যাচ জেতার ব্যাপারেও আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
ম্যাচের আগে কোচের মুখে আশা-জাগানিয়া কথাই থাকে। তবে হল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে অন্তত বাংলাদেশের কোচ এসব কথা বিশ্বাস করেই বলবেন নিশ্চয়ই। পরিসংখ্যানে ডাচরা যতই এগিয়ে থাকুক, আজকের ছোটদের ম্যাচটার বড় দল তো বাংলাদেশই!
কাল সংবাদ সম্মেলনে প্রথম প্রশ্নটাই হলো বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনাল সম্ভাবনা নিয়ে। সিডন্স কোনো স্বপ্নই দেখালেন না, ‘ইংল্যান্ড যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারে...সে অনেক পরের কথা। আবার ইংল্যান্ড যদি জেতে আমাদের শুধু কালকের (আজ) ম্যাচ জিতলেই হবে না, বাকি ম্যাচটাও জিততে হবে। নয়তো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া।’ পরশু ভারতকে হারানো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ জেতাটাও মোটেই সহজ মনে করছেন না কোচ, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো কঠিন। আমি এখানে বসেই বলে দিতে পারি না যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা জিতব। পরের ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতলে আমাদের শুধু হল্যান্ডের বিপক্ষেই জিতলে হবে না, শেষ ম্যাচটাও জিততে হবে।’
পরিস্থিতি যখন এই, আগে থেকে বড় কোনো স্বপ্ন না দেখিয়ে কোচ হাঁটতে চান পুরোনো পথে, ম্যাচ ধরে ধরে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের আত্মতৃপ্তিতে তিনি বুঁদ নন। তাঁর চোখে এখন কেবলই আজকের ম্যাচ। বিশ্বকাপটাকে কোচের দৃষ্টিতে দেখারই চেষ্টা করছে দলের সব খেলোয়াড়ই। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আগেই বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কী করতে হবে সেটা পরের কথা, আগে জিততে হবে হল্যান্ড ম্যাচ।
কথা ঠিক। কিন্তু ইংল্যান্ড ম্যাচটা কি চাইলেই ভুলে থাকা যায়? বিশেষ করে ওই ম্যাচের জয়টা যখন হতে পারে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সবচেয়ে বড় টনিক! ব্যাটসম্যানদের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কোচ নিজেও তো বলছেন, ‘আমাদের বোলাররা ভালো করছে। ব্যাটসম্যানরাও বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটা দলের বিপক্ষে জয়ে বড় ভূমিকা রাখল। ভুলে গেলে হবে না, ইংল্যান্ডের এই দলটাই ভারতের সঙ্গে টাই করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে আর আমরা হারিয়েছি তাদের। এই জয় আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।’ তা ছাড়া ‘ক্লোজ’ ম্যাচগুলোতেও যে বাংলাদেশ এখন স্নায়ুর যুদ্ধে জিততে পারছে, সেটির ধারাবাহিকতাও তো ধরে রাখা গেল ইংল্যান্ড ম্যাচে! সিডন্স তো বলছেন, এটা বাংলাদেশ দলের চরিত্রেরই অংশ হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।
হল্যান্ড ছোট দল হলেও আজকের ম্যাচের আগে অন্তত পরিসংখ্যানের পাতায় তারাই এগিয়ে। বাংলাদেশ-হল্যান্ড আন্তর্জাতিক ওয়ানডে এর আগে হয়েছে একটাই এবং তাতে জিতেছিল হল্যান্ড। গত বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্য সফরের অংশ হিসেবে গ্লাসগোতে হওয়া দুই দলের একমাত্র ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। সেই স্মৃতি থেকেই কাল হল্যান্ডকে ‘বিপজ্জনক’ দল বললেন সিডন্স, ‘সর্বশেষ ম্যাচে ওরা আমাদের হারিয়ে দিয়েছিল। দলটা বিপজ্জনক। তবে ওই ম্যাচের দৈর্ঘ্য অনেক কমিয়ে (৩০ ওভার) আনা হয়েছিল। আমরা ২০০ (১৯৯) রান করেছিলাম, তারা সম্ভবত শেষ ওভারে ম্যাচ জিতেছিল। দলটা আসলেই বিপজ্জনক। তাদের সমীহ করতে হবে, হারাতে হলে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
হল্যান্ড ম্যাচের প্রস্তুতি সাকিবের দল মাঠে যেমন নিয়েছে, নিয়েছে মাঠের বাইরেও। অনুশীলনের বাইরে অনেকটা সময়ই কেটেছে ডাচ খেলোয়াড়দের ভিডিও ফুটেজ দেখে। তার পরও যদি কোনো কিছু বাদ থেকে যায় সেই ভয়ে কাল বিকেলে টিম হোটেলে আরেকবার বসা হয়েছিল টেলিভিশনের সামনে। ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ দল থেকে যে দু-একজন ‘টার্গেট প্লেয়ার’ খুঁজে বের করা হয়, এবার সেটিও করা হচ্ছে মূলত ভিডিও ফুটেজ দেখেই। আজকের ম্যাচে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা যেমন সাবধানী হয়ে খেলবেন বাঁহাতি স্পিনার পিটার সিলারের বল, বোলাররা আটকে রাখতে চাইবেন টম কুপার ও রায়ান টেন ডেসকাটকে।
ক্রিকেটে চাপ-টাপ জাতীয় জিনিসগুলো বড় দলের চেয়ে ছোট দলের বিপক্ষেই বেশি থাকে। তবে এই চাপটাকে উড়িয়ে দিতে সিডন্স উল্টো দেখালেন পরিসংখ্যানের পাতা, ‘জেতার প্রত্যাশা থাকলে চাপটা সব সময়ই বেশি থাকে। সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে খেলার সময় এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে ছোট দলগুলোর বিপক্ষে আমাদের রেকর্ড খুব ভালো। আমরা আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছি এবং মাত্রই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ একটা ম্যাচ জিতলাম। এ ম্যাচ জেতার ব্যাপারেও আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
ম্যাচের আগে কোচের মুখে আশা-জাগানিয়া কথাই থাকে। তবে হল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে অন্তত বাংলাদেশের কোচ এসব কথা বিশ্বাস করেই বলবেন নিশ্চয়ই। পরিসংখ্যানে ডাচরা যতই এগিয়ে থাকুক, আজকের ছোটদের ম্যাচটার বড় দল তো বাংলাদেশই!
No comments