বিভিন্ন বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছাতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও বিভিন্ন বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানোর পথ অন্বেষণে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এক বৈঠকে তাঁরা এ অঙ্গীকার করেন।
বৈঠকে ওবামা বলেন, ‘কয়েকটি ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও আমরা অন্যান্য ক্ষেত্রে পরস্পরকে সহায়তা করতে পারি। আসুন, আমরা এ সুযোগকে কাজে লাগাই।’
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে এবং সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতেই তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন। তবে দুই দেশকে অবশ্যই একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ ও স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।
এ ছাড়া বৈঠকে তাইওয়ান, মানবাধিকার, বাণিজ্য ঘাটতি ও মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।
হু জিনতাও গত মঙ্গলবার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান। ওই দিনই তাঁর সম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে বিশেষ এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। নৈশভোজে চীনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা টম ডনিলন ও চীনা প্রতিনিধিদলের দুজন সদস্য অংশ নেন। হোয়াইট হাউসের ওল্ড ফ্যামিলি ডাইনিং রুমে আয়োজিত এই বিশেষ নৈশভোজ সম্পর্কে কর্মকর্তারা বিস্তারিত কিছু জানাননি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত তিন দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো শীর্ষ চীনা নেতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফর এটি।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের অ্যান্ড্রুজ বিমান ঘাঁটিতে চীনের প্রেসিডেন্টের বিশেষ বিমান অবতরণ করে। তাঁকে স্বাগত জানান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হু জিনতাওকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং তাঁর সম্মানে ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়।
চীনের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর উপলক্ষে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা চীনের তিব্বত নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। মানবাধিকার প্রসঙ্গে চীনের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বারাক ওবামার প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে চীনের ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবে পরিচিত উইঘুর সম্প্রদায়ের সদস্য ও নির্বাসিত তিব্বতিরা ছিলেন।
চীনা নাগরিকদের অধিকার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ক্রিস স্মিথ বলেন, ‘এটা অভাবনীয় একটি বিষয় যে, বারাক ওবামার মতো একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নেতা এমন এক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন, যিনি আরেক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যক্তিকে কারারুদ্ধ করে রেখেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিকার অর্থেই আশা করতে চাই, প্রেসিডেন্ট ওবামা ২০০৯ সালে তাঁকে দেওয়া নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা রাখবেন।’
বৈঠকে ওবামা বলেন, ‘কয়েকটি ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও আমরা অন্যান্য ক্ষেত্রে পরস্পরকে সহায়তা করতে পারি। আসুন, আমরা এ সুযোগকে কাজে লাগাই।’
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে এবং সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতেই তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন। তবে দুই দেশকে অবশ্যই একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ ও স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।
এ ছাড়া বৈঠকে তাইওয়ান, মানবাধিকার, বাণিজ্য ঘাটতি ও মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।
হু জিনতাও গত মঙ্গলবার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান। ওই দিনই তাঁর সম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে বিশেষ এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। নৈশভোজে চীনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা টম ডনিলন ও চীনা প্রতিনিধিদলের দুজন সদস্য অংশ নেন। হোয়াইট হাউসের ওল্ড ফ্যামিলি ডাইনিং রুমে আয়োজিত এই বিশেষ নৈশভোজ সম্পর্কে কর্মকর্তারা বিস্তারিত কিছু জানাননি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত তিন দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো শীর্ষ চীনা নেতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফর এটি।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের অ্যান্ড্রুজ বিমান ঘাঁটিতে চীনের প্রেসিডেন্টের বিশেষ বিমান অবতরণ করে। তাঁকে স্বাগত জানান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হু জিনতাওকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং তাঁর সম্মানে ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়।
চীনের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর উপলক্ষে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা চীনের তিব্বত নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। মানবাধিকার প্রসঙ্গে চীনের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বারাক ওবামার প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে চীনের ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবে পরিচিত উইঘুর সম্প্রদায়ের সদস্য ও নির্বাসিত তিব্বতিরা ছিলেন।
চীনা নাগরিকদের অধিকার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ক্রিস স্মিথ বলেন, ‘এটা অভাবনীয় একটি বিষয় যে, বারাক ওবামার মতো একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নেতা এমন এক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন, যিনি আরেক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যক্তিকে কারারুদ্ধ করে রেখেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিকার অর্থেই আশা করতে চাই, প্রেসিডেন্ট ওবামা ২০০৯ সালে তাঁকে দেওয়া নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা রাখবেন।’
No comments