অভিজ্ঞতাই যা একটু কম
এর আগে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছি আমরা। এটি আমাদের চতুর্থ বিশ্বকাপ। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ বলে বিপুল প্রত্যাশা নিয়ে এসেছে এটি আমাদের কাছে। সুতরাং এই বিশ্বকাপের দল নির্বাচনটা একটু আলাদা হবেই। দল নিয়ে ভাবনা ছিল সবার মাথায়। দল কেমন হবে, কেমন হওয়া উচিত—এটা নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে অনেক।
দল ঘোষণার সময় একটা টিভিতে লাইভ অনুষ্ঠান করছিলাম। আর সবার মতো খুবই উত্তেজনায় কেটেছে আমার সময়টা। দল দেখার পর বলব না, খারাপ হয়েছে। এই দল নিয়ে আমি বেশ খুশি। আলাদা করে বলার খুব বেশি কিছু দেখতে পাইনি, যদিও মাঝখানে কিছু কথা শুনেছিলাম। সেটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত হয়নি।
তবে আমরা একটা সুযোগ নিতে পারতাম। সেটা নিলাম না। বুঝতেই পারছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা বলছি। মনে হয় না কোনো ম্যাচে দুজনের বেশি ফাস্ট বোলার খেলাব আমরা। এবং আমাদের প্রথম ম্যাচটা আজ থেকে এক মাস পর। তারপর আমাদের আরও পাঁচটি ম্যাচ থাকবে। সেই হিসাবে আমাদের হাতে এখনো দেড় মাস সময় আছে।
এ অবস্থায় মাশরাফির জন্য অপেক্ষা করা যেত। যদি বোঝা যেত, ও একদমই পারবে না, তখন অন্য কাউকে নেওয়া যেত। আমরা কোনো বিকল্প খোলা রাখলাম না। মোহাম্মদ আশরাফুলের ফিরে আসাটা ঠিকই আছে। শাহরিয়ার নাফীসের ফিরে আসাটাও ভালো দিক। ব্যাটিংয়ের গভীরতা আরও বাড়বে। বাকি যারা আছে, তারা ভালো করে আসছে। সোহরাওয়ার্দী শুভকে ব্যাকআপ স্পিনার হিসেবে নেওয়া হয়েছে। সব ঠিকই আছে।
অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন, আমরা বেশি স্পিনার নিয়ে খেলছি। আমি অবশ্য জানি না কজন স্পিনার নিয়ে খেলব, তবে বেশি স্পিনার রাখার অপশন অনেক সময় দলের জন্য ভালো হয় না। সবাইকে বল করানোর একটা চিন্তা অধিনায়কের মাথায় থাকে।
যা-ই হোক, দলটা যখন টুর্নামেন্টে ঢুকে যাবে, আশা করি, একাদশ যাঁদের করার কথা, তাঁরাই করবেন। অধিনায়ক-কোচ এবং টিম ম্যানেজমেন্টই সব দেখাশোনা করবে তখন। অসংখ্য মতামত-অনুরোধ থাকবে, দেশটা তো বাংলাদেশ! সবাই চায় তার মতটা থাকুক, সাধারণ দর্শকেরও দাবি থাকবে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারটা টিম ম্যানেজমেন্টের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত।
একটা ব্যাপার না বলেই পারছি না। পত্রিকায় ‘নির্বাচকদের দল’ ছাপা হয়েছে দুই দিন আগে। নির্বাচকদের দলটা আবার কী! নির্বাচকদের আলাদা কোনো দল হয় নাকি! দল তো একটাই হবে এবং সেটি হবে নির্বাচকদেরই। তো নির্বাচকদের দল বলতে যেটা ছাপা হয়েছে কাগজে, তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়।
এই দল করা ছাড়া আমাদের হাতে আর বিকল্প ছিল না। আমরা অন্য কাউকে দেখিওনি। আমি নির্বাচক হলে যাদের নিয়ে বিশ্বকাপ খেলব, তাদের নিয়ে অনেক আগে থেকেই ভাবতাম এবং সুযোগ দিতাম। অলক কাপালির কথা শোনা যাচ্ছিল, তাকে নেওয়া হয়নি। অলক শেষ ওয়ানডে খেলেছে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে। এত দিন দলের বাইরে থাকা কাউকে বিশ্বকাপে নেওয়ার চিন্তাভাবনা আমি করলে আগেই এক-দুটি ম্যাচে সুযোগ দিয়ে দেখে নিতাম। বিশ্বকাপে একদম অভিজ্ঞতা ছাড়া অন্য কাউকে নেওয়ার পক্ষপাতী আমি নই।
গত বিশ্বকাপে আমি অধিনায়ক ছিলাম এবং সেই দলটি ছিল অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের খুব ভালো মিশেল। রফিক, জাভেদ, মাশরাফি ও আমার সঙ্গে যোগ হয়েছিল তরুণ সাকিব, তামিম, মুশফিকেরা। সেদিক থেকে এ দলটির অভিজ্ঞতাই যা একটু কম। আমাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়েরা তো চলে গেছে। পার্থক্য এটুকুই।
তবে এই দলের অলরাউন্ডার অনেক বেশি। এবং দলটির মূল বৈশিষ্ট্য কঠিন সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতা। এর প্রমাণ তারা রেখেছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজটায় তো অসাধারণ খেলল। জিম্বাবুয়ে সিরিজে প্রথম ম্যাচে হারের পরও দারুণভাবে ফিরে এসেছে। দুর্বল দিক তেমন নেই। তবে ভালো করতে চাইলে নতুন বলের বোলারদের অবশ্যই ভালো করতে হবে।
পরিশেষে সাকিবদের জন্য শুভকামনা রইল। সাকিবকে বলব, ভালো করার সব ক্ষমতা তোমাদের আছে। দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ভালো। দেশের মাটিতে খেলা, তোমরা উপভোগ করো। প্রত্যাশা অনেক, তবে চাপ নিয়ো না। সবকিছু সবার সঙ্গে শেয়ার করতে যেয়ো না। অনেক কিছু আছে নিজেদের মধ্যে রেখো।
দল ঘোষণার সময় একটা টিভিতে লাইভ অনুষ্ঠান করছিলাম। আর সবার মতো খুবই উত্তেজনায় কেটেছে আমার সময়টা। দল দেখার পর বলব না, খারাপ হয়েছে। এই দল নিয়ে আমি বেশ খুশি। আলাদা করে বলার খুব বেশি কিছু দেখতে পাইনি, যদিও মাঝখানে কিছু কথা শুনেছিলাম। সেটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত হয়নি।
তবে আমরা একটা সুযোগ নিতে পারতাম। সেটা নিলাম না। বুঝতেই পারছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা বলছি। মনে হয় না কোনো ম্যাচে দুজনের বেশি ফাস্ট বোলার খেলাব আমরা। এবং আমাদের প্রথম ম্যাচটা আজ থেকে এক মাস পর। তারপর আমাদের আরও পাঁচটি ম্যাচ থাকবে। সেই হিসাবে আমাদের হাতে এখনো দেড় মাস সময় আছে।
এ অবস্থায় মাশরাফির জন্য অপেক্ষা করা যেত। যদি বোঝা যেত, ও একদমই পারবে না, তখন অন্য কাউকে নেওয়া যেত। আমরা কোনো বিকল্প খোলা রাখলাম না। মোহাম্মদ আশরাফুলের ফিরে আসাটা ঠিকই আছে। শাহরিয়ার নাফীসের ফিরে আসাটাও ভালো দিক। ব্যাটিংয়ের গভীরতা আরও বাড়বে। বাকি যারা আছে, তারা ভালো করে আসছে। সোহরাওয়ার্দী শুভকে ব্যাকআপ স্পিনার হিসেবে নেওয়া হয়েছে। সব ঠিকই আছে।
অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন, আমরা বেশি স্পিনার নিয়ে খেলছি। আমি অবশ্য জানি না কজন স্পিনার নিয়ে খেলব, তবে বেশি স্পিনার রাখার অপশন অনেক সময় দলের জন্য ভালো হয় না। সবাইকে বল করানোর একটা চিন্তা অধিনায়কের মাথায় থাকে।
যা-ই হোক, দলটা যখন টুর্নামেন্টে ঢুকে যাবে, আশা করি, একাদশ যাঁদের করার কথা, তাঁরাই করবেন। অধিনায়ক-কোচ এবং টিম ম্যানেজমেন্টই সব দেখাশোনা করবে তখন। অসংখ্য মতামত-অনুরোধ থাকবে, দেশটা তো বাংলাদেশ! সবাই চায় তার মতটা থাকুক, সাধারণ দর্শকেরও দাবি থাকবে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারটা টিম ম্যানেজমেন্টের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত।
একটা ব্যাপার না বলেই পারছি না। পত্রিকায় ‘নির্বাচকদের দল’ ছাপা হয়েছে দুই দিন আগে। নির্বাচকদের দলটা আবার কী! নির্বাচকদের আলাদা কোনো দল হয় নাকি! দল তো একটাই হবে এবং সেটি হবে নির্বাচকদেরই। তো নির্বাচকদের দল বলতে যেটা ছাপা হয়েছে কাগজে, তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়।
এই দল করা ছাড়া আমাদের হাতে আর বিকল্প ছিল না। আমরা অন্য কাউকে দেখিওনি। আমি নির্বাচক হলে যাদের নিয়ে বিশ্বকাপ খেলব, তাদের নিয়ে অনেক আগে থেকেই ভাবতাম এবং সুযোগ দিতাম। অলক কাপালির কথা শোনা যাচ্ছিল, তাকে নেওয়া হয়নি। অলক শেষ ওয়ানডে খেলেছে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে। এত দিন দলের বাইরে থাকা কাউকে বিশ্বকাপে নেওয়ার চিন্তাভাবনা আমি করলে আগেই এক-দুটি ম্যাচে সুযোগ দিয়ে দেখে নিতাম। বিশ্বকাপে একদম অভিজ্ঞতা ছাড়া অন্য কাউকে নেওয়ার পক্ষপাতী আমি নই।
গত বিশ্বকাপে আমি অধিনায়ক ছিলাম এবং সেই দলটি ছিল অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের খুব ভালো মিশেল। রফিক, জাভেদ, মাশরাফি ও আমার সঙ্গে যোগ হয়েছিল তরুণ সাকিব, তামিম, মুশফিকেরা। সেদিক থেকে এ দলটির অভিজ্ঞতাই যা একটু কম। আমাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়েরা তো চলে গেছে। পার্থক্য এটুকুই।
তবে এই দলের অলরাউন্ডার অনেক বেশি। এবং দলটির মূল বৈশিষ্ট্য কঠিন সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতা। এর প্রমাণ তারা রেখেছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজটায় তো অসাধারণ খেলল। জিম্বাবুয়ে সিরিজে প্রথম ম্যাচে হারের পরও দারুণভাবে ফিরে এসেছে। দুর্বল দিক তেমন নেই। তবে ভালো করতে চাইলে নতুন বলের বোলারদের অবশ্যই ভালো করতে হবে।
পরিশেষে সাকিবদের জন্য শুভকামনা রইল। সাকিবকে বলব, ভালো করার সব ক্ষমতা তোমাদের আছে। দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ভালো। দেশের মাটিতে খেলা, তোমরা উপভোগ করো। প্রত্যাশা অনেক, তবে চাপ নিয়ো না। সবকিছু সবার সঙ্গে শেয়ার করতে যেয়ো না। অনেক কিছু আছে নিজেদের মধ্যে রেখো।
No comments