ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সান্ত্বনা
মাশরাফির চোখে যখন জল, একাডেমি মাঠের আরেক পাশে তখন রাজ্যের অন্ধকার সৈয়দ রাসেলের মুখে। কিট ব্যাগটা টানতে টানতে এমনভাবে মাঠ থেকে বের হচ্ছিলেন, যেন গন্তব্য জানা নেই।
গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুটো দৈত্য-বধেই বড় অবদান ছিল রাসেলের। ভারতের বিপক্ষে সেই স্মরণীয় জয়ে কোনো উইকেট পাননি, কিন্তু টানা ১০ ওভারের স্পেলটা রানে বেঁধে ফেলেছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। শেবাগ-সৌরভ-উথাপ্পাদের বিপক্ষে প্রথম ৫ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ৮! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কিপটে বোলিংয়ের পাশাপাশি নিয়েছিলেন সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত দুই উইকেট—গ্রায়েম স্মিথ ও জ্যাক ক্যালিস। পুরো টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচে উইকেট পেয়েছিলেন ৮টি, কিন্তু ওভারপ্রতি রান দিয়েছিলেন মাত্র ৩.৮৫!
গত বিশ্বকাপের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবার দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে ব্রাত্য। চোখে-মুখে যা-ই থাকুক, রাসেলের মুখে কিন্তু অন্য কথা, ‘দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ বলেই যা একটু খারাপ লাগছে। তা ছাড়া খুব বেশি হতাশ নই। একটা টুর্নামেন্টেরই তো ব্যাপার। আশা করি, আবার দলে ফিরব।’ কিন্তু মনের কষ্ট আর কতক্ষণ চেপে রাখা যায়? হতাশা আর ক্ষোভ বেরিয়ে এল একটু পরই, ‘আসলে জেমি কোচ হওয়ার পর তো আমি সেভাবে সুযোগই পাইনি। হয়তো আমাকে সে পছন্দ করে না।’ কিন্তু গত বছর ৬ ওয়ানডেতে যে মাত্র ২ উইকেট? এরও ব্যাখ্যা আছে, ‘অনেক দিন পরপর একটা ওয়ানডেতে নামালে ভালো পারফরম্যান্স করা যায়?’
রাসেলের মতো হতাশাটাকে ঢেকে রাখতে চাইলেন অলক কাপালিও। বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়ে গণভোট হলে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়াদের একজন হতেন অলক। গত দুই দিনে দল নিয়ে যা হলো, তাতে মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপ দিয়েই হয়তো বাংলাদেশ দলে ফিরছেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু বিশ্বকাপ তাঁর কাছে হতাশার আরেক নাম হয়ে থাকছে। বাংলাদেশের দুঃস্বপ্নের ২০০৩ বিশ্বকাপে ৫ ইনিংসে করেছিলেন ৮০। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে সুযোগই পাননি, হলো না এবারও। প্রতিভাবান অলরাউন্ডার তবু তাকিয়ে ভবিষ্যতের দিকে, ‘বিশ্বকাপই তো আর সব নয়। নির্বাচক কমিটি, টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই আমাকে বলেছে, আমি বিবেচনায় ভালোমতোই আছি। সামনে অনেক খেলা আছে। আশা করি, আমার সুযোগ আসবে।’
২৩ জনের দল থেকে বাদ পড়া খেলোয়াড়দের মধ্যে রাসেল-কাপালির দলে আছেন আর কেবল একজনই। ওই দুজনের মতো শাহাদাত হোসেনেরও আছে বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতা। বিশ্বকাপে একটাই ম্যাচ খেলেছেন, ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচটি তাঁর কাছে দুঃস্বপ্ন। ৯ ওভারে ৫১ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি, বাংলাদেশও হেরে বসে আয়ারল্যান্ডের কাছে। পরে বলেছিলেন, ওই ম্যাচটা এখনো পোড়ায় তাঁকে, সুযোগ পেলে পুষিয়ে দেবেন। সেই সুযোগ আর পাওয়া হলো না। গত ফেব্রুয়ারির পর আর ওয়ানডে খেলা হয়নি, তবু আশা ছিল এবারের ঢাকা লিগে ভালো করায়। মাত্র তিন পেসার নেওয়ার কারণেই হয়তো সুযোগ হলো না।
গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুটো দৈত্য-বধেই বড় অবদান ছিল রাসেলের। ভারতের বিপক্ষে সেই স্মরণীয় জয়ে কোনো উইকেট পাননি, কিন্তু টানা ১০ ওভারের স্পেলটা রানে বেঁধে ফেলেছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। শেবাগ-সৌরভ-উথাপ্পাদের বিপক্ষে প্রথম ৫ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ৮! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কিপটে বোলিংয়ের পাশাপাশি নিয়েছিলেন সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত দুই উইকেট—গ্রায়েম স্মিথ ও জ্যাক ক্যালিস। পুরো টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচে উইকেট পেয়েছিলেন ৮টি, কিন্তু ওভারপ্রতি রান দিয়েছিলেন মাত্র ৩.৮৫!
গত বিশ্বকাপের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবার দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে ব্রাত্য। চোখে-মুখে যা-ই থাকুক, রাসেলের মুখে কিন্তু অন্য কথা, ‘দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ বলেই যা একটু খারাপ লাগছে। তা ছাড়া খুব বেশি হতাশ নই। একটা টুর্নামেন্টেরই তো ব্যাপার। আশা করি, আবার দলে ফিরব।’ কিন্তু মনের কষ্ট আর কতক্ষণ চেপে রাখা যায়? হতাশা আর ক্ষোভ বেরিয়ে এল একটু পরই, ‘আসলে জেমি কোচ হওয়ার পর তো আমি সেভাবে সুযোগই পাইনি। হয়তো আমাকে সে পছন্দ করে না।’ কিন্তু গত বছর ৬ ওয়ানডেতে যে মাত্র ২ উইকেট? এরও ব্যাখ্যা আছে, ‘অনেক দিন পরপর একটা ওয়ানডেতে নামালে ভালো পারফরম্যান্স করা যায়?’
রাসেলের মতো হতাশাটাকে ঢেকে রাখতে চাইলেন অলক কাপালিও। বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়ে গণভোট হলে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়াদের একজন হতেন অলক। গত দুই দিনে দল নিয়ে যা হলো, তাতে মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপ দিয়েই হয়তো বাংলাদেশ দলে ফিরছেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু বিশ্বকাপ তাঁর কাছে হতাশার আরেক নাম হয়ে থাকছে। বাংলাদেশের দুঃস্বপ্নের ২০০৩ বিশ্বকাপে ৫ ইনিংসে করেছিলেন ৮০। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে সুযোগই পাননি, হলো না এবারও। প্রতিভাবান অলরাউন্ডার তবু তাকিয়ে ভবিষ্যতের দিকে, ‘বিশ্বকাপই তো আর সব নয়। নির্বাচক কমিটি, টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই আমাকে বলেছে, আমি বিবেচনায় ভালোমতোই আছি। সামনে অনেক খেলা আছে। আশা করি, আমার সুযোগ আসবে।’
২৩ জনের দল থেকে বাদ পড়া খেলোয়াড়দের মধ্যে রাসেল-কাপালির দলে আছেন আর কেবল একজনই। ওই দুজনের মতো শাহাদাত হোসেনেরও আছে বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতা। বিশ্বকাপে একটাই ম্যাচ খেলেছেন, ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচটি তাঁর কাছে দুঃস্বপ্ন। ৯ ওভারে ৫১ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি, বাংলাদেশও হেরে বসে আয়ারল্যান্ডের কাছে। পরে বলেছিলেন, ওই ম্যাচটা এখনো পোড়ায় তাঁকে, সুযোগ পেলে পুষিয়ে দেবেন। সেই সুযোগ আর পাওয়া হলো না। গত ফেব্রুয়ারির পর আর ওয়ানডে খেলা হয়নি, তবু আশা ছিল এবারের ঢাকা লিগে ভালো করায়। মাত্র তিন পেসার নেওয়ার কারণেই হয়তো সুযোগ হলো না।
No comments