ভারতীয় ঋণে আশুগঞ্জ নদীবন্দর নির্মিত হচ্ছে
ভারতীয় ঋণে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ কনটেইনার নদীবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে এই বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করবে সরকার। ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা দিতে ভারতীয় পণ্য পরিবহনে এই বন্দর ব্যবহার করা হবে।ইতিমধ্যে আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার নদীবন্দর স্থাপন প্রকল্প প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য তথা ভারতীয় ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ২১৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা আর স্থানীয় মুদ্রায় জোগান দেওয়া হবে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা।
আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত হতে পারে।পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ভারতকে ট্রানজিট-সুবিধা দেওয়ার অংশ হিসেবে এই বন্দরটি স্থাপন করা হবে। মূলত কলকাতা থেকে নৌপথে আসা পণ্যবাহী কনটেইনার এই বন্দর দিয়ে আখাউড়া হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যাবে। এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে নৌপথে পরিবাহিত কনটেইনার ওঠানামা করতেও এই বন্দর ব্যবহার করা হবে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নদীতীরে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের কাজ ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০১৩ সালের জুন মাস নাগাদ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, আশুগঞ্জ বন্দর দিয়ে বছরে প্রায় চার লাখ টিইইউ (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের) কনটেইনার যাবে। এর প্রায় পুরোটাই ভারতীয় পণ্য। শুধু ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত নৌ প্রটোকলের আওতায় বন্দরটি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে প্রকল্প প্রস্তাবনায়।এই বন্দর নির্মাণে মোট ১৩ হেক্টর বা ৩২ একর জমি প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে আট হেক্টর বা পৌনে ২০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে আর বাকি ১২ একর জমি ইজারা নেওয়া হবে। এই প্রকল্পের আওতায় কনটেইনার জেটি, মাল্টিপারপাস জেটি ও ইয়ার্ড, ব্রিজসহ এক্সেস রোড, তীর সংরক্ষণ, ট্রানজিট শেড, কার্গো শেড, অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে।ইতিমধ্যে সরকার আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে ‘পোর্ট অব কল’ ঘোষণা করেছে। পোর্ট অব কল বলতে বোঝায় যেসব নৌবন্দরে সাধারণত পণ্যবাহী জাহাজের মালামাল ওঠানামা করা হয়।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়। গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে একটি যৌথ ঘোষণাও দেওয়া হয়। এতে ভারতকে পণ্য পরিবহনে ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ট্রানজিট বা ট্রানশিপমেন্ট দেওয়ার জন্য অবকাঠামো নির্মাণসহ বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত। এই ঋণের টাকাতেই আশুগঞ্জ কনটেইনার নদীবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় ঋণের অন্যতম শর্ত হলো ৮৫ শতাংশ ক্রয় কার্যক্রম ভারতের সঙ্গে হতে হবে। এটি মূলত সরবরাহকারী ঋণ।
আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত হতে পারে।পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ভারতকে ট্রানজিট-সুবিধা দেওয়ার অংশ হিসেবে এই বন্দরটি স্থাপন করা হবে। মূলত কলকাতা থেকে নৌপথে আসা পণ্যবাহী কনটেইনার এই বন্দর দিয়ে আখাউড়া হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যাবে। এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে নৌপথে পরিবাহিত কনটেইনার ওঠানামা করতেও এই বন্দর ব্যবহার করা হবে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নদীতীরে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের কাজ ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০১৩ সালের জুন মাস নাগাদ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, আশুগঞ্জ বন্দর দিয়ে বছরে প্রায় চার লাখ টিইইউ (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের) কনটেইনার যাবে। এর প্রায় পুরোটাই ভারতীয় পণ্য। শুধু ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত নৌ প্রটোকলের আওতায় বন্দরটি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে প্রকল্প প্রস্তাবনায়।এই বন্দর নির্মাণে মোট ১৩ হেক্টর বা ৩২ একর জমি প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে আট হেক্টর বা পৌনে ২০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে আর বাকি ১২ একর জমি ইজারা নেওয়া হবে। এই প্রকল্পের আওতায় কনটেইনার জেটি, মাল্টিপারপাস জেটি ও ইয়ার্ড, ব্রিজসহ এক্সেস রোড, তীর সংরক্ষণ, ট্রানজিট শেড, কার্গো শেড, অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে।ইতিমধ্যে সরকার আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে ‘পোর্ট অব কল’ ঘোষণা করেছে। পোর্ট অব কল বলতে বোঝায় যেসব নৌবন্দরে সাধারণত পণ্যবাহী জাহাজের মালামাল ওঠানামা করা হয়।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়। গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে একটি যৌথ ঘোষণাও দেওয়া হয়। এতে ভারতকে পণ্য পরিবহনে ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ট্রানজিট বা ট্রানশিপমেন্ট দেওয়ার জন্য অবকাঠামো নির্মাণসহ বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত। এই ঋণের টাকাতেই আশুগঞ্জ কনটেইনার নদীবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় ঋণের অন্যতম শর্ত হলো ৮৫ শতাংশ ক্রয় কার্যক্রম ভারতের সঙ্গে হতে হবে। এটি মূলত সরবরাহকারী ঋণ।
No comments