দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম তিনি
ক্রিকেট-বিশ্বের সবচেয়ে চেনা এই দৃশ্য। তার পরও একটু আলাদা। এটি যে টেস্ট সেঞ্চুরির হাফ সেঞ্চুরি উদ্যাপন! |
চিরপরিচিত সেই উদ্যাপন। দুই হাত ওপরে তুলে ওপরের দিকে তাকিয়ে স্রস্টার কাছে কৃতজ্ঞতা জানানো কিংবা মেঘের মাঝে বাবাকে খোঁজা। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের মাঝখানে বাবা মারা যাওয়ার পর কেনিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি থেকেই এই উদ্যাপন দেখে আসছে ক্রিকেট-বিশ্ব। পরিচিত এই উদ্যাপনের মাঝেও কাল যেন থাকল একটু ভিন্নতা। ওপরে তাকানোর আগে দুই হাত বাতাসে ছুড়লেন। অন্য সময়ের চেয়ে একটু দীর্ঘস্থায়ীও হলো উদ্যাপন। টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরির হাফ সেঞ্চুরি—এটুকু ভিন্নতা তো থাকতেই হবে!
অপেক্ষা ছিল নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই। দুর্বল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতেই ৫০তম সেঞ্চুরিটা কি আর পাবেন না! কিন্তু সিরিজে ফিফটিই পেলেন মাত্র একটি। সেঞ্চুরিয়নের প্রথম ইনিংসে দারুণ শুরু করেছিলেন, কিন্তু থেমে যান মধ্য তিরিশেই। দ্বিতীয় ইনিংসের ১১৫তম ওভারে এল সেই মুহূর্ত। ৯৯ থেকে ডেল স্টেইনকে কাভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে ছুঁলেন মাইলফলক, প্রতীক্ষার অবসান হলো পুরো ভারতের। ক্রিকেট-বিশ্বেরও কি নয়?
এই টেস্ট ম্যাচটাও তো এখন টেন্ডুলকার বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা। টেন্ডুলকারের সঙ্গে অসাধারণ এক জুটি গড়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, কিন্তু ফিরে গেছেন তিনি নড়বড়ে নব্বইয়ে। ফিরে গেছেন নিউজিল্যান্ড সিরিজের ‘অলরাউন্ডার’ হরভজন সিংও। চারদিক কালো করে আসা হঠাৎ ঝড়ে দিনের খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার সময় টেন্ডুলকার মাঠ ছেড়েছেন মাথা উঁচু করেই। ইনিংস পরাজয় এড়াতে ভারতের দরকার আরও ৩০ রান। তবে ম্যাচটা যে পঞ্চম দিনে গেল বা জয়ের সমান এক ড্রয়ের জন্য ভারতীয়রা যে বৃষ্টিদেবতার সাহায্য কামনা করতে পারছে, সেটা তো টেন্ডুলকারের ইনিংসটার জন্যই। টেন্ডুলকারের ইতিহাস গড়ার দিনে একটা মাইলফলক ছুঁয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়ও, টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁয়েছেন ১২ হাজার রান।
আলাদা করে বলতে হয় ধোনির কথাও। যখন উইকেটে গিয়েছিলেন, ইনিংস পরাজয় এড়াতেই প্রয়োজন ছিল ২০৭ রান। লাঞ্চের আগেই ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে ফুঁসছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতকে চোখ রাঙাচ্ছে লজ্জাজনক পরাজয়। ভারতের অধিনায়ক নেমেই শুরু করলেন পাল্টা আক্রমণ। দ্বিতীয় সেশনে উইকেট পড়ল না একটিও, ওভারপ্রতি ৪.২৫ গড়ে রান এল ১১৭! জুটি ভাঙার জন্য দ্বিতীয় নতুন বল নিয়েছিলেন গ্রায়েম স্মিথ। ফল হলো উল্টো, নতুন বলে প্রথম ১০ ওভারেই ৫৯ রান! ১৭২ রানের অসাধারণ জুটিটা ভাঙতেও লেগেছে অসাধারণ এক বল। শরীর লক্ষ্য করে ছুটে আসা স্টেইনের গোলা ধোনির গ্লাভস ছুঁয়ে বাউচারের গ্লাভসে।
চার সেঞ্চুরির পাশাপাশি নড়বড়ে নব্বইয়েও কাটা পড়লেন চারবার। তার পরও নিজেকে যথেষ্ট ভাগ্যবান ভাবতে পারেন ধোনি। গত ফেব্রুয়ারিতে টেন্ডুলকারের ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরির ইতিহাস হওয়ার সময়ও উইকেটে সঙ্গী ছিলেন, এবারও তাই। মিলের শেষ নয় এখানেই, ওই ম্যাচেও প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, কালকের মতো সেদিনও স্টেইনকে কাভারে ঠেলেই উঠেছিলেন নতুন চূড়ায়। দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম টেন্ডুলকার বলতে হচ্ছে এখানেও!
অপেক্ষা ছিল নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই। দুর্বল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতেই ৫০তম সেঞ্চুরিটা কি আর পাবেন না! কিন্তু সিরিজে ফিফটিই পেলেন মাত্র একটি। সেঞ্চুরিয়নের প্রথম ইনিংসে দারুণ শুরু করেছিলেন, কিন্তু থেমে যান মধ্য তিরিশেই। দ্বিতীয় ইনিংসের ১১৫তম ওভারে এল সেই মুহূর্ত। ৯৯ থেকে ডেল স্টেইনকে কাভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে ছুঁলেন মাইলফলক, প্রতীক্ষার অবসান হলো পুরো ভারতের। ক্রিকেট-বিশ্বেরও কি নয়?
এই টেস্ট ম্যাচটাও তো এখন টেন্ডুলকার বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা। টেন্ডুলকারের সঙ্গে অসাধারণ এক জুটি গড়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, কিন্তু ফিরে গেছেন তিনি নড়বড়ে নব্বইয়ে। ফিরে গেছেন নিউজিল্যান্ড সিরিজের ‘অলরাউন্ডার’ হরভজন সিংও। চারদিক কালো করে আসা হঠাৎ ঝড়ে দিনের খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার সময় টেন্ডুলকার মাঠ ছেড়েছেন মাথা উঁচু করেই। ইনিংস পরাজয় এড়াতে ভারতের দরকার আরও ৩০ রান। তবে ম্যাচটা যে পঞ্চম দিনে গেল বা জয়ের সমান এক ড্রয়ের জন্য ভারতীয়রা যে বৃষ্টিদেবতার সাহায্য কামনা করতে পারছে, সেটা তো টেন্ডুলকারের ইনিংসটার জন্যই। টেন্ডুলকারের ইতিহাস গড়ার দিনে একটা মাইলফলক ছুঁয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়ও, টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁয়েছেন ১২ হাজার রান।
আলাদা করে বলতে হয় ধোনির কথাও। যখন উইকেটে গিয়েছিলেন, ইনিংস পরাজয় এড়াতেই প্রয়োজন ছিল ২০৭ রান। লাঞ্চের আগেই ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে ফুঁসছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতকে চোখ রাঙাচ্ছে লজ্জাজনক পরাজয়। ভারতের অধিনায়ক নেমেই শুরু করলেন পাল্টা আক্রমণ। দ্বিতীয় সেশনে উইকেট পড়ল না একটিও, ওভারপ্রতি ৪.২৫ গড়ে রান এল ১১৭! জুটি ভাঙার জন্য দ্বিতীয় নতুন বল নিয়েছিলেন গ্রায়েম স্মিথ। ফল হলো উল্টো, নতুন বলে প্রথম ১০ ওভারেই ৫৯ রান! ১৭২ রানের অসাধারণ জুটিটা ভাঙতেও লেগেছে অসাধারণ এক বল। শরীর লক্ষ্য করে ছুটে আসা স্টেইনের গোলা ধোনির গ্লাভস ছুঁয়ে বাউচারের গ্লাভসে।
চার সেঞ্চুরির পাশাপাশি নড়বড়ে নব্বইয়েও কাটা পড়লেন চারবার। তার পরও নিজেকে যথেষ্ট ভাগ্যবান ভাবতে পারেন ধোনি। গত ফেব্রুয়ারিতে টেন্ডুলকারের ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরির ইতিহাস হওয়ার সময়ও উইকেটে সঙ্গী ছিলেন, এবারও তাই। মিলের শেষ নয় এখানেই, ওই ম্যাচেও প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, কালকের মতো সেদিনও স্টেইনকে কাভারে ঠেলেই উঠেছিলেন নতুন চূড়ায়। দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম টেন্ডুলকার বলতে হচ্ছে এখানেও!
No comments