হিথ্রো ও গ্যাটউইক বিমানবন্দরে হাজার হাজার যাত্রী আটকা
যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অধিকাংশ দেশে প্রচণ্ড তুষারপাতের কারণে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত থেকে লন্ডনের হিথ্রো ও গ্যাটউইক বিমানবন্দরে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছে। ব্রিটেন ছাড়াও ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানিসহ ইউরোপভুক্ত দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পূর্ব স্কটল্যান্ড ও উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হয়েছে। গতকাল ইংল্যান্ডের বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তুষারপাতের কারণে গত শনিবার রাতে তাদের নির্ধারিত সব ফ্লাইট বাতিল করে দেয়। ফলে হাজার হাজার যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়ে। রাতে সেখানে তাদের অবস্থানের জন্য বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে কম্বল ও খাবার সরবরাহ করা হয়। হিথ্রো কর্তৃপক্ষ শনিবারই জানিয়ে দেয় রোববার বাইরে থেকে আসা কোনো ফ্লাইট সেখানে নামবে না। তবে কয়েকটি জরুরি ফ্লাইট হিথ্রো থেকে ছেড়ে যাবে। গ্যাটউইক বিমানবন্দরে গতকাল হাতেগোনা কয়েকটি ফ্লাইট ওঠানামা করেছে। স্ট্যানসটেড, লুটন, এক্সেটার, লন্ডন সিটি, অ্যাবারডিন, বার্মিংহাম, ব্রিস্টল ও সাউদাম্পটনের বিমানবন্দরগুলোতেও ফ্লাইটের ওঠানামা ছিল সীমিতসংখ্যক। এসব বিমানবন্দরের বহু ফ্লাইট বিলম্বিত অথবা বাতিল হয়েছে।
হিথ্রো বিমানবন্দরের অপারেটর সংস্থা বিএএর কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু টিচার বলেছেন, আটকে পড়া যাত্রীদের যাতে খাওয়া ও বিশ্রামের কষ্ট না হয়, সে জন্য তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, তুষারপাতের ব্যাপকতা খুব বেশি হওয়ায় তাঁরা কৃত্রিমভাবে রানওয়ে পরিষ্কার করে বিমান চালানোর চেষ্টা করছেন না। একদিকে পরিষ্কার করলে অন্যদিক আবার তুষারাচ্ছাদিত হয়ে পড়ছে।
ব্রিটেনের আবহাওয়া দপ্তর গতকাল পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং স্কটল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্কটল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে। বিরূপ আবহাওয়াজনিত দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দর ইতিমধ্যেই তাদের এক হাজার ৩০০ ফ্লাইটের মধ্যে ৫০০ ফ্লাইট বাতিল করেছে। ব্রাসেলস বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে চার হাজার যাত্রী। ইতালির ফ্লোরেন্সে প্রধান বিমানবন্দর গতকাল দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ছিল। সেখানকার দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রোমের প্রধান রেলস্টেশনে প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রী গতকাল আটকা পড়ে।
প্রচণ্ড তুষারপাতের কারণে ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের দেশগুলোয় বহু জায়গায় সড়ক পথ বন্ধ হয়ে গেছে। উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের ল্যাংকাশায়ারে রাস্তায় শত শত লোক গাড়ি নিয়ে আটকা পড়েছে।
যুক্তরাজ্য মৃদু শীতের দেশ হলেও ৩০ বছরের মধ্যে ২০০৯ সালে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ মাসের শেষ দিকেও প্রথমার্ধের মতো তাপমাত্রা বিরাজ করলে ১৯১০ সালের পর এ ডিসেম্বরই হবে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শীতের মাস।
কর্মকর্তারা বলেছেন, হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তুষারপাতের কারণে গত শনিবার রাতে তাদের নির্ধারিত সব ফ্লাইট বাতিল করে দেয়। ফলে হাজার হাজার যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়ে। রাতে সেখানে তাদের অবস্থানের জন্য বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে কম্বল ও খাবার সরবরাহ করা হয়। হিথ্রো কর্তৃপক্ষ শনিবারই জানিয়ে দেয় রোববার বাইরে থেকে আসা কোনো ফ্লাইট সেখানে নামবে না। তবে কয়েকটি জরুরি ফ্লাইট হিথ্রো থেকে ছেড়ে যাবে। গ্যাটউইক বিমানবন্দরে গতকাল হাতেগোনা কয়েকটি ফ্লাইট ওঠানামা করেছে। স্ট্যানসটেড, লুটন, এক্সেটার, লন্ডন সিটি, অ্যাবারডিন, বার্মিংহাম, ব্রিস্টল ও সাউদাম্পটনের বিমানবন্দরগুলোতেও ফ্লাইটের ওঠানামা ছিল সীমিতসংখ্যক। এসব বিমানবন্দরের বহু ফ্লাইট বিলম্বিত অথবা বাতিল হয়েছে।
হিথ্রো বিমানবন্দরের অপারেটর সংস্থা বিএএর কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু টিচার বলেছেন, আটকে পড়া যাত্রীদের যাতে খাওয়া ও বিশ্রামের কষ্ট না হয়, সে জন্য তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, তুষারপাতের ব্যাপকতা খুব বেশি হওয়ায় তাঁরা কৃত্রিমভাবে রানওয়ে পরিষ্কার করে বিমান চালানোর চেষ্টা করছেন না। একদিকে পরিষ্কার করলে অন্যদিক আবার তুষারাচ্ছাদিত হয়ে পড়ছে।
ব্রিটেনের আবহাওয়া দপ্তর গতকাল পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং স্কটল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্কটল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে। বিরূপ আবহাওয়াজনিত দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দর ইতিমধ্যেই তাদের এক হাজার ৩০০ ফ্লাইটের মধ্যে ৫০০ ফ্লাইট বাতিল করেছে। ব্রাসেলস বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে চার হাজার যাত্রী। ইতালির ফ্লোরেন্সে প্রধান বিমানবন্দর গতকাল দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ছিল। সেখানকার দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রোমের প্রধান রেলস্টেশনে প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রী গতকাল আটকা পড়ে।
প্রচণ্ড তুষারপাতের কারণে ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের দেশগুলোয় বহু জায়গায় সড়ক পথ বন্ধ হয়ে গেছে। উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের ল্যাংকাশায়ারে রাস্তায় শত শত লোক গাড়ি নিয়ে আটকা পড়েছে।
যুক্তরাজ্য মৃদু শীতের দেশ হলেও ৩০ বছরের মধ্যে ২০০৯ সালে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ মাসের শেষ দিকেও প্রথমার্ধের মতো তাপমাত্রা বিরাজ করলে ১৯১০ সালের পর এ ডিসেম্বরই হবে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শীতের মাস।
No comments