ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে বেনিতেজের হুমকি
রেওয়াজ অনুযায়ী আগে খেলোয়াড় হিসেবে পদক নেবেন, এরপর অধিনায়ক হিসেবে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে টুর্নামেন্টের ট্রফি। কিন্তু হাভিয়ের জানেত্তির বোধ হয় তর সইছিল না। পদক নিতে যাওয়ার সময়ই একবার পাশে সাজিয়ে রাখা ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফিটায় চুমু এঁকে দিলেন। সেপ ব্ল্যাটারের নজর এড়ায়নি ব্যাপারটা। প্রধান অতিথি হিসেবে আবুধাবিতে আসা ফিফা সভাপতি বেশি সময় নিলেন না। দ্রুতই জানেত্তির হাতে তুলে দিলেন চকচকে ট্রফিটা। ইন্টার মিলান অধিনায়কও ট্রফিটা হাতে নিয়েই ছুটে এলেন বিজয়মঞ্চে। উড়তে থাকা কনফেত্তির বর্ষণে উঁচিয়ে ধরলেন আরেকটি শিরোপা, এ বছর যেটি জানেত্তির হাতে ওঠা পঞ্চম ট্রফি।
ইতালিয়ান লিগ, ইতালিয়ান কাপ, ইতালিয়ান সুপার কাপ, চ্যাম্পিয়নস লিগের পর ২০১০ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এই মৌসুমে শুধু একটি ট্রফিই জিততে পারেনি ইন্টার—উয়েফা সুপার কাপ। ২০০৯ সালে বার্সেলোনার মতো শিরোপা-ষষ্ঠক পূর্ণ না হলেও পরশু মাজেম্বেকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা-পঞ্চক ঘরে তুলল ইন্টার, যে ট্রফি তাদের জন্য অতি জরুরি আত্মবিশ্বাসের সুবাতাস।
ঘরে-বাইরে নানামুখী চাপ নিয়ে আবুধাবিতে খেলতে এসেছিল ইন্টার। রাফায়েল বেনিতেজের জন্য তো এই টুর্নামেন্ট ছিল চাকরি বাঁচানোর মিশন। পরশু মাঠে অবশ্য ইন্টারের খেলায় চাপের ‘চ’ও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং ১৩ আর ১৭ মিনিটে গোরান পানদেভ আর স্যামুয়েল ইতোর দুই গোল তখনই ম্যাচের ফলাফল প্রায় ঠিক করে ফেলেছিল। খেলা শেষের ৫ মিনিট আগে জোনাথন বিয়াবিয়ানির গোল নিশ্চিত করেছিল সেটাই। ইতোর জন্য এই টুর্নামেন্টটাও কাটল দারুণ। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন এই ক্যামেরুনিয়ান স্ট্রাইকার।
লিভারপুল থেকে এই মৌসুমে ইন্টারে নাম লেখানো বেনিতেজও নিশ্চয়ই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। অবশ্য এই স্প্যানিশ কোচ মওকা বুঝে মনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ক্ষোভের খানিকটা উগরে দিয়েছেন। ক্লাবের প্রতি তাঁর সাফ কথা, হয় সহযোগিতা করুন, নয়তো ছাঁটাই করে দিন। মাঝামাঝি ঝুলিয়ে রাখবেন না।
‘ক্লাব চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। কিন্তু আমি ক্লাবের কাছ থেকে সহযোগিতা আর সম্মান প্রত্যাশা করি। গত গ্রীষ্মে তাঁরা আমাকে যেসব খেলোয়াড় কিনে দেবেন বলেছিলেন, তার কিছুই করেননি। আমার জন্য কাজটা তাই সহজ ছিল না।’
দলের অনেক তারকাই ৩০ পেরিয়ে গেছেন। তাঁদের ক্যারিয়ারে এখন সূর্যাস্তের সময়। ২৫ বছর ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বেনিতেজ বলেছেন, দলে তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে আসার এটাই সময়, ‘এখন তিনটা পথ খোলা। প্রথমত, নতুন চার-পাঁচজন খেলোয়াড় এনে দলটাকে আরও শক্তিশালী করে তোলা। দ্বিতীয়ত, যেভাবে চলছে সেভাবেই চলতে দেওয়া। তৃতীয়ত, (চাকরি ছাড়ার ব্যাপারে) আমার এজেন্টের সঙ্গে কথা বলা।’
বেনিতেজ ক্লাব ফুটবলের বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার পর মাসিমো মোরাত্তি প্রথম পথে না হাঁটলে সেটিই হবে আশ্চর্যের।
ইতালিয়ান লিগ, ইতালিয়ান কাপ, ইতালিয়ান সুপার কাপ, চ্যাম্পিয়নস লিগের পর ২০১০ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এই মৌসুমে শুধু একটি ট্রফিই জিততে পারেনি ইন্টার—উয়েফা সুপার কাপ। ২০০৯ সালে বার্সেলোনার মতো শিরোপা-ষষ্ঠক পূর্ণ না হলেও পরশু মাজেম্বেকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা-পঞ্চক ঘরে তুলল ইন্টার, যে ট্রফি তাদের জন্য অতি জরুরি আত্মবিশ্বাসের সুবাতাস।
ঘরে-বাইরে নানামুখী চাপ নিয়ে আবুধাবিতে খেলতে এসেছিল ইন্টার। রাফায়েল বেনিতেজের জন্য তো এই টুর্নামেন্ট ছিল চাকরি বাঁচানোর মিশন। পরশু মাঠে অবশ্য ইন্টারের খেলায় চাপের ‘চ’ও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং ১৩ আর ১৭ মিনিটে গোরান পানদেভ আর স্যামুয়েল ইতোর দুই গোল তখনই ম্যাচের ফলাফল প্রায় ঠিক করে ফেলেছিল। খেলা শেষের ৫ মিনিট আগে জোনাথন বিয়াবিয়ানির গোল নিশ্চিত করেছিল সেটাই। ইতোর জন্য এই টুর্নামেন্টটাও কাটল দারুণ। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন এই ক্যামেরুনিয়ান স্ট্রাইকার।
লিভারপুল থেকে এই মৌসুমে ইন্টারে নাম লেখানো বেনিতেজও নিশ্চয়ই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। অবশ্য এই স্প্যানিশ কোচ মওকা বুঝে মনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ক্ষোভের খানিকটা উগরে দিয়েছেন। ক্লাবের প্রতি তাঁর সাফ কথা, হয় সহযোগিতা করুন, নয়তো ছাঁটাই করে দিন। মাঝামাঝি ঝুলিয়ে রাখবেন না।
‘ক্লাব চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। কিন্তু আমি ক্লাবের কাছ থেকে সহযোগিতা আর সম্মান প্রত্যাশা করি। গত গ্রীষ্মে তাঁরা আমাকে যেসব খেলোয়াড় কিনে দেবেন বলেছিলেন, তার কিছুই করেননি। আমার জন্য কাজটা তাই সহজ ছিল না।’
দলের অনেক তারকাই ৩০ পেরিয়ে গেছেন। তাঁদের ক্যারিয়ারে এখন সূর্যাস্তের সময়। ২৫ বছর ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বেনিতেজ বলেছেন, দলে তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে আসার এটাই সময়, ‘এখন তিনটা পথ খোলা। প্রথমত, নতুন চার-পাঁচজন খেলোয়াড় এনে দলটাকে আরও শক্তিশালী করে তোলা। দ্বিতীয়ত, যেভাবে চলছে সেভাবেই চলতে দেওয়া। তৃতীয়ত, (চাকরি ছাড়ার ব্যাপারে) আমার এজেন্টের সঙ্গে কথা বলা।’
বেনিতেজ ক্লাব ফুটবলের বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার পর মাসিমো মোরাত্তি প্রথম পথে না হাঁটলে সেটিই হবে আশ্চর্যের।
No comments