বরাদ্দ স্থগিত করার অঙ্গীকার যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ব্যয় নির্বাহ করতে নিজেদের কোষাগার থেকে আগামী নয় বছরের জন্য অর্থ বরাদ্দ ছাড় স্থগিতের অঙ্গীকার করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি। গত শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই অঙ্গীকার করেন তাঁরা। এতে নেদারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের নেতারাও স্বাক্ষর করেন।
ওই যৌথ বিবৃতিতে ইইউর নেতারা বলেন, ইইউর ব্যয় বৃদ্ধির রাস টেনে ধরতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ২০১৪ সাল নাগাদ খরচ বাড়া পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই উদ্যোগ চলতে থাকবে। ইতিমধ্যেই খরচ বৃদ্ধির হার ৬ থেকে ২ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর জাতীয় সরকার ইইউর এই ব্যয় বৃদ্ধিতে নাখোশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশগুলোর নেতারা এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশির ভাগ দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে বড় ধরনের ব্যয় সংকোচনের নীতি গ্রহণ করা হয়। এতে ওই সব দেশের সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। কিন্তু ইউরোপজুড়ে এই ব্যয় সংকোচনের প্রভাব পড়েনি পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া রাজনীতিকদের ওপর।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা টেলিগ্রাফ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্যামেরন, মেরকেল ও সারকোজির প্রতিশ্রুতি ঘোষণার পরও ইইউতে ‘অপ্রয়োজনীয়’ পররাষ্ট্র শাখা যুক্ত হতে যাচ্ছে। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ওই শাখার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) নামের এই শাখার দায়িত্বে থাকছেন ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারনেস অ্যাশটন। এই শাখায় ঊর্ধ্বতন পদে ২০ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হবে, যাঁদের পেছনে আগামী নয় বছরে খরচ হবে কমপক্ষে দেড় কোটি পাউন্ড।
এ ছাড়া ইইউর প্রেসিডেন্ট হারমান ফন রুম্পেই সম্প্রতি নিজের অফিসের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেছেন, যদিও তাঁর জন্য দুই কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড ব্যয়ের বিশাল অফিস বানানো রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া রাজনীতিকদের অন্যতম রুম্পেইর বার্ষিক বেতন দুই লাখ ৬৩ হাজার পাউন্ড, যা ডেভিড ক্যামেরনের চেয়ে এক লাখ ২০ হাজার ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেয়ে পাঁচ হাজার পাউন্ড বেশি। ইইউতে চাকরিরত অন্য রাজনীতিকদের বেতনও তুলনামূলক বেশি। যেমন, অ্যাশটন পান বছরে দুই লাখ ৩০ হাজার ৭০২ পাউন্ড। ইইএএসের শীর্ষ ৫০ কর্মকর্তার বেতন এক লাখ ৫৭ হাজার পাউন্ড থেকে এক লাখ ৭১ হাজার পাউন্ডের মধ্যে, যা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি।
আগামী জানুয়ারিতে চালু হতে যাওয়া ইইএএসের ব্যয় নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। ইইউর অনেক সদস্যদেশের কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা এ ধরনের শাখা স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ ব্যাপারে ইইউর নেতাদের স্বাক্ষরিত শনিবারের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যয় অবশ্যই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে হবে।
ওই যৌথ বিবৃতিতে ইইউর নেতারা বলেন, ইইউর ব্যয় বৃদ্ধির রাস টেনে ধরতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ২০১৪ সাল নাগাদ খরচ বাড়া পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই উদ্যোগ চলতে থাকবে। ইতিমধ্যেই খরচ বৃদ্ধির হার ৬ থেকে ২ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর জাতীয় সরকার ইইউর এই ব্যয় বৃদ্ধিতে নাখোশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশগুলোর নেতারা এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশির ভাগ দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে বড় ধরনের ব্যয় সংকোচনের নীতি গ্রহণ করা হয়। এতে ওই সব দেশের সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। কিন্তু ইউরোপজুড়ে এই ব্যয় সংকোচনের প্রভাব পড়েনি পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া রাজনীতিকদের ওপর।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা টেলিগ্রাফ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্যামেরন, মেরকেল ও সারকোজির প্রতিশ্রুতি ঘোষণার পরও ইইউতে ‘অপ্রয়োজনীয়’ পররাষ্ট্র শাখা যুক্ত হতে যাচ্ছে। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ওই শাখার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) নামের এই শাখার দায়িত্বে থাকছেন ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারনেস অ্যাশটন। এই শাখায় ঊর্ধ্বতন পদে ২০ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হবে, যাঁদের পেছনে আগামী নয় বছরে খরচ হবে কমপক্ষে দেড় কোটি পাউন্ড।
এ ছাড়া ইইউর প্রেসিডেন্ট হারমান ফন রুম্পেই সম্প্রতি নিজের অফিসের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেছেন, যদিও তাঁর জন্য দুই কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড ব্যয়ের বিশাল অফিস বানানো রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া রাজনীতিকদের অন্যতম রুম্পেইর বার্ষিক বেতন দুই লাখ ৬৩ হাজার পাউন্ড, যা ডেভিড ক্যামেরনের চেয়ে এক লাখ ২০ হাজার ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেয়ে পাঁচ হাজার পাউন্ড বেশি। ইইউতে চাকরিরত অন্য রাজনীতিকদের বেতনও তুলনামূলক বেশি। যেমন, অ্যাশটন পান বছরে দুই লাখ ৩০ হাজার ৭০২ পাউন্ড। ইইএএসের শীর্ষ ৫০ কর্মকর্তার বেতন এক লাখ ৫৭ হাজার পাউন্ড থেকে এক লাখ ৭১ হাজার পাউন্ডের মধ্যে, যা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি।
আগামী জানুয়ারিতে চালু হতে যাওয়া ইইএএসের ব্যয় নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। ইইউর অনেক সদস্যদেশের কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা এ ধরনের শাখা স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ ব্যাপারে ইইউর নেতাদের স্বাক্ষরিত শনিবারের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যয় অবশ্যই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে হবে।
No comments