পন্টিংয়ের জন্মদিনের উপহার
বাঁ হাতের কনিষ্ঠায় ব্যান্ডেজ, স্লিপে ক্যাচ নিতে গিয়ে আগের দিন বিকেলে পাওয়া চোটটা যথেষ্টই যন্ত্রণা দেওয়ার কথা। এক্স-রেতে আঙুলে চিড় ধরা পড়েছে, সিরিজে আর মাঠে নামা নিয়েই সংশয় আছে। রিকি পন্টিংকে দেখে সেটা বোঝার উপায় কী! ফিজিওর কড়া নিষেধে কাল ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি, কিন্তু স্টিভেন ফিনের ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল আরেক স্টিভেনের (স্মিথ) তালুবন্দী হতেই মাঠে ছুটে গেলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। আনন্দ, আবেগ, স্বস্তি—সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল পন্টিংয়ের জয় উদ্যাপনে। খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাচ জয়ের সেঞ্চুরি হতে চলল (৯৯ জয়), অধিনায়ক হিসেবে হাফ সেঞ্চুরি (৪৮ জয়)—তবে পার্থ টেস্টে এই জয়টা আলাদা হয়েই থাকবে পন্টিংয়ের জন্য।
জয়টা এল ৩৬তম জন্মদিনে, এটা একটা কারণ। এর চেয়েও বড় কারণ, এই জয়ে সমতা ফিরল অ্যাশেজে। সবচেয়ে বড় কারণ তো অবশ্যই যে পরিস্থিতিতে জয়টা এল। নিজের ব্যাটে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভয়াবহ রান-খরা, অধিনায়কত্ব নিয়ে চারদিকে গুঞ্জন। অস্ট্রেলিয়া যে জিততে পারে, এটাই যেন ভুলে গিয়েছিল সবাই। সেই জুলাইয়ে লর্ডসে পাকিস্তানকে হারানোর পর আর জয়ের দেখা নেই। মাঝের ৫ টেস্টে একটিতে ড্র আর চারটিতে হার। পার্থে ২৬৭ রানের জয়টা শুধু সেই খরাই কাটায়নি, অস্ট্রেলীয়দের ফিরিয়ে দিয়েছে হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস। এই জয়টা বড় বেশি প্রয়োজন ছিল পন্টিংয়ের, অস্ট্রেলিয়ার।
আগের দিন ৫ উইকেট নিয়ে কাজ এগিয়ে রাখা অস্ট্রেলিয়া কাল আনুষ্ঠানিকতা সারতে সময় নিয়েছে মাত্র ৫০ মিনিট। টানা ১০ ওভার বোলিং করে ইংল্যান্ডকে শেষ করে দিয়েছেন হ্যারিস-জনসন। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ধ্বংসযজ্ঞের দুই নায়ক দ্বিতীয় ইনিংসেও ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯ উইকেট। তবে এবার হয়েছে উল্টো, ৬ উইকেট নিয়েছেন হ্যারিস, ৩টি জনসন। নাইটওয়াচম্যান অ্যান্ডারসনের অফ স্টাম্প ওড়ানোর পর এক ওভারে বেল-প্রিয়রকে আউট করে চতুর্থ টেস্টে এসে হ্যারিস পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট। পরের ওভারে সোয়ানের স্টাম্প উড়িয়েছেন জনসন। শেষ উইকেটটাও হ্যারিস নিয়ে নেওয়ায় ম্যাচে ১০ উইকেট হয়নি, তবে প্রথম ইনিংসে মহামূল্যবান ৬২ রানের সঙ্গে ৯ উইকেট, জনসনের রূপকথার মতো ফেরা পূর্ণতা পেয়েছে ম্যাচ-সেরা হয়ে।
জনসন অবশ্য এখনই উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন না, ‘আরও দুটি টেস্ট বাকি আছে, উন্নতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। ইংল্যান্ড ও ইংলিশ সমর্থকদের সঙ্গে আমার কিছু অসমাপ্ত হিসাব আছে। গত অ্যাশেজে ওভাল টেস্টের পর রিকি পন্টিং ড্রেসিংরুমে গিয়ে আমাদের পুরো দলকে বলেছিল বেরিয়ে এসে ইংল্যান্ডের উদ্যাপন দেখতে। সে চেয়েছিল যন্ত্রণাটা আমরা অনুভব করি। খুব কষ্টের ছিল ওই দৃশ্যটা দেখা। ওই অভিজ্ঞতা আর দ্বিতীয়বার পেতে চাই না।’
পন্টিং জয়টাকে বলছেন জন্মদিনের সেরা উপহার। তবে অধিনায়কের কথায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেল আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়াটাই, ‘খেলাধুলায় আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা স্রোতটাকে নিজেদের দিকে টেনে নিতে পেরেছি, এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ আমাদের বেশ কয়েকজন খেলছে নিজেদের সেরার কাছাকাছি। এ জন্যই আমি এই দল নিয়ে এত আত্মবিশ্বাসী।’ পন্টিং নিজেই পরের টেস্টে নিশ্চিত নন, তবে তিনি খেলতে মরিয়া। অস্ট্রেলিয়াও দল অপরিবর্তিত রেখেছে মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টের জন্য।
জয়টা এল ৩৬তম জন্মদিনে, এটা একটা কারণ। এর চেয়েও বড় কারণ, এই জয়ে সমতা ফিরল অ্যাশেজে। সবচেয়ে বড় কারণ তো অবশ্যই যে পরিস্থিতিতে জয়টা এল। নিজের ব্যাটে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভয়াবহ রান-খরা, অধিনায়কত্ব নিয়ে চারদিকে গুঞ্জন। অস্ট্রেলিয়া যে জিততে পারে, এটাই যেন ভুলে গিয়েছিল সবাই। সেই জুলাইয়ে লর্ডসে পাকিস্তানকে হারানোর পর আর জয়ের দেখা নেই। মাঝের ৫ টেস্টে একটিতে ড্র আর চারটিতে হার। পার্থে ২৬৭ রানের জয়টা শুধু সেই খরাই কাটায়নি, অস্ট্রেলীয়দের ফিরিয়ে দিয়েছে হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস। এই জয়টা বড় বেশি প্রয়োজন ছিল পন্টিংয়ের, অস্ট্রেলিয়ার।
আগের দিন ৫ উইকেট নিয়ে কাজ এগিয়ে রাখা অস্ট্রেলিয়া কাল আনুষ্ঠানিকতা সারতে সময় নিয়েছে মাত্র ৫০ মিনিট। টানা ১০ ওভার বোলিং করে ইংল্যান্ডকে শেষ করে দিয়েছেন হ্যারিস-জনসন। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ধ্বংসযজ্ঞের দুই নায়ক দ্বিতীয় ইনিংসেও ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯ উইকেট। তবে এবার হয়েছে উল্টো, ৬ উইকেট নিয়েছেন হ্যারিস, ৩টি জনসন। নাইটওয়াচম্যান অ্যান্ডারসনের অফ স্টাম্প ওড়ানোর পর এক ওভারে বেল-প্রিয়রকে আউট করে চতুর্থ টেস্টে এসে হ্যারিস পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট। পরের ওভারে সোয়ানের স্টাম্প উড়িয়েছেন জনসন। শেষ উইকেটটাও হ্যারিস নিয়ে নেওয়ায় ম্যাচে ১০ উইকেট হয়নি, তবে প্রথম ইনিংসে মহামূল্যবান ৬২ রানের সঙ্গে ৯ উইকেট, জনসনের রূপকথার মতো ফেরা পূর্ণতা পেয়েছে ম্যাচ-সেরা হয়ে।
জনসন অবশ্য এখনই উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন না, ‘আরও দুটি টেস্ট বাকি আছে, উন্নতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। ইংল্যান্ড ও ইংলিশ সমর্থকদের সঙ্গে আমার কিছু অসমাপ্ত হিসাব আছে। গত অ্যাশেজে ওভাল টেস্টের পর রিকি পন্টিং ড্রেসিংরুমে গিয়ে আমাদের পুরো দলকে বলেছিল বেরিয়ে এসে ইংল্যান্ডের উদ্যাপন দেখতে। সে চেয়েছিল যন্ত্রণাটা আমরা অনুভব করি। খুব কষ্টের ছিল ওই দৃশ্যটা দেখা। ওই অভিজ্ঞতা আর দ্বিতীয়বার পেতে চাই না।’
পন্টিং জয়টাকে বলছেন জন্মদিনের সেরা উপহার। তবে অধিনায়কের কথায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেল আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়াটাই, ‘খেলাধুলায় আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা স্রোতটাকে নিজেদের দিকে টেনে নিতে পেরেছি, এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ আমাদের বেশ কয়েকজন খেলছে নিজেদের সেরার কাছাকাছি। এ জন্যই আমি এই দল নিয়ে এত আত্মবিশ্বাসী।’ পন্টিং নিজেই পরের টেস্টে নিশ্চিত নন, তবে তিনি খেলতে মরিয়া। অস্ট্রেলিয়াও দল অপরিবর্তিত রেখেছে মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টের জন্য।
No comments