হাজার হাজার বর্গাচাষির ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা
দেশের খাদ্যনিরাপত্তায় অবদান রাখায় প্রায় ১১ হাজার বর্গাচাষিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, বর্গাচাষিদের ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করে দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জন সম্ভব। আর সেটা করা গেলে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে হবে না। মন্ত্রী এ কাজে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি কৃষি খাতে এখনো যে ৫০ শতাংশ শ্রমিক রয়েছেন, তাঁদের সম্মান দেখানোর মানসিকতা গড়ে তুলতে পরামর্শ দেন।
রাজধানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে গতকাল বৃহস্পতিবার বর্গাচাষিদের এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
ব্র্যাক পরিচালনা পরিষদের সদস্য তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহ্র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এবং ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেন স্বাগত বক্তব্য দেন। এ ছাড়া বর্গাচাষিদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন পাবনার মোছাম্মত মর্জিনা বেগম, গাজীপুরের শাহীনুর রহমান ও সরিষাবাড়ীর নজরুল ইসলাম।
সংবর্ধনা উপলক্ষে সকাল থেকেই আর্মি স্টেডিয়াম ছিল উৎসবমুখর। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে শিল্পী ও সাংসদ মমতাজ বেগম, কিরণ চন্দ্র রায় প্রমুখ সংগীত পরিবেশন করেন।
বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে হাজার হাজার বর্গাচাষি রংবেরঙের পোশাক পরে উপস্থিত হন। কেন্দ্রীয়ভাবে এ জাতীয় সংবর্ধনা আগে কখনো কোনো কৃষক দেখেননি। অনেকে আবেগে আপ্লুতও হন। গর্বিত এক কৃষক বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামে ফসল ফলানো তাঁর কাজ। আর আজ (গতকাল) তিনি দেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের গান শুনছেন খোদ রাজধানীতে তাঁদের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। এ এক স্বপ্ন যেন তাঁর কাছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, শুধু খাদ্যনিরাপত্তা নয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখছেন বর্গাচাষিরা। অথচ নানাভাবে তাঁরা নিগৃহীত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে।
বর্গাচাষিদের অর্থায়নে তাগিদ দিলেও অর্থমন্ত্রী খেয়াল রাখতে বলেন, তাঁরা যেন অতীতের মতো ঋণের চোরাবালিতে হারিয়ে না যান।
মতিয়া চৌধুরী পানির ওপর মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে আউশ ও আমন ধান চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেন। তাঁর ভাষায়, ‘আউশ হলো বস্তির ছেলে, আমন গৃহস্থের আর বোরো ইংলিশদের।’ বস্তির ছেলে ও গৃহস্থের ছেলেকে ভালোভাবে পরিচর্যা করলে বোরোর চেয়েও ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।
আতিউর রহমান বলেন, বর্গাচাষিদের সম্মানিত করার উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে বাংলাদেশ ব্যাংক গর্বিত। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো সাধারণত জামানত ছাড়া ঋণ দিতে চায় না। জমির মালিকানা স্বত্ব না থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ পাওয়া বর্গাচাষিদের জন্য দুঃসাধ্যই। কিন্তু এ কাজে এগিয়ে এসেছে ব্র্যাক। ব্র্যাকের প্রস্তাব বর্গাচাষি-বান্ধব হওয়ায় ৫০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি চালু করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় ব্র্যাক দেশের ৩৬ জেলার ১৬০ উপজেলায় এক লাখ ২৪ হাজার ৩৬ জন বর্গাচাষিকে ১৪০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। তবে যথানিয়মে ঋণ বিতরণ দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা ৩৬টি জেলার ৩৫টি উপজেলায় সরেজমিনে ৭০০ জন বর্গাচাষির মাঝে সমীক্ষা করেছেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা প্রমাণ করেছেন সময়মতো তাঁদের অর্থায়ন জোগালে তারা তার প্রতিদান দিতে পারেন।
বর্গাচাষিদের জন্য ঋণের পরিমাণ আরও বাড়ানো এবং তদারকি আরও জোরদার করার পরামর্শ দেন শাইখ সিরাজ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, বর্গাচাষিদের ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করে দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জন সম্ভব। আর সেটা করা গেলে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে হবে না। মন্ত্রী এ কাজে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি কৃষি খাতে এখনো যে ৫০ শতাংশ শ্রমিক রয়েছেন, তাঁদের সম্মান দেখানোর মানসিকতা গড়ে তুলতে পরামর্শ দেন।
রাজধানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে গতকাল বৃহস্পতিবার বর্গাচাষিদের এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
ব্র্যাক পরিচালনা পরিষদের সদস্য তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহ্র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এবং ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেন স্বাগত বক্তব্য দেন। এ ছাড়া বর্গাচাষিদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন পাবনার মোছাম্মত মর্জিনা বেগম, গাজীপুরের শাহীনুর রহমান ও সরিষাবাড়ীর নজরুল ইসলাম।
সংবর্ধনা উপলক্ষে সকাল থেকেই আর্মি স্টেডিয়াম ছিল উৎসবমুখর। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে শিল্পী ও সাংসদ মমতাজ বেগম, কিরণ চন্দ্র রায় প্রমুখ সংগীত পরিবেশন করেন।
বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে হাজার হাজার বর্গাচাষি রংবেরঙের পোশাক পরে উপস্থিত হন। কেন্দ্রীয়ভাবে এ জাতীয় সংবর্ধনা আগে কখনো কোনো কৃষক দেখেননি। অনেকে আবেগে আপ্লুতও হন। গর্বিত এক কৃষক বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামে ফসল ফলানো তাঁর কাজ। আর আজ (গতকাল) তিনি দেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের গান শুনছেন খোদ রাজধানীতে তাঁদের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। এ এক স্বপ্ন যেন তাঁর কাছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, শুধু খাদ্যনিরাপত্তা নয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখছেন বর্গাচাষিরা। অথচ নানাভাবে তাঁরা নিগৃহীত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে।
বর্গাচাষিদের অর্থায়নে তাগিদ দিলেও অর্থমন্ত্রী খেয়াল রাখতে বলেন, তাঁরা যেন অতীতের মতো ঋণের চোরাবালিতে হারিয়ে না যান।
মতিয়া চৌধুরী পানির ওপর মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে আউশ ও আমন ধান চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেন। তাঁর ভাষায়, ‘আউশ হলো বস্তির ছেলে, আমন গৃহস্থের আর বোরো ইংলিশদের।’ বস্তির ছেলে ও গৃহস্থের ছেলেকে ভালোভাবে পরিচর্যা করলে বোরোর চেয়েও ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।
আতিউর রহমান বলেন, বর্গাচাষিদের সম্মানিত করার উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে বাংলাদেশ ব্যাংক গর্বিত। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো সাধারণত জামানত ছাড়া ঋণ দিতে চায় না। জমির মালিকানা স্বত্ব না থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ পাওয়া বর্গাচাষিদের জন্য দুঃসাধ্যই। কিন্তু এ কাজে এগিয়ে এসেছে ব্র্যাক। ব্র্যাকের প্রস্তাব বর্গাচাষি-বান্ধব হওয়ায় ৫০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি চালু করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় ব্র্যাক দেশের ৩৬ জেলার ১৬০ উপজেলায় এক লাখ ২৪ হাজার ৩৬ জন বর্গাচাষিকে ১৪০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। তবে যথানিয়মে ঋণ বিতরণ দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা ৩৬টি জেলার ৩৫টি উপজেলায় সরেজমিনে ৭০০ জন বর্গাচাষির মাঝে সমীক্ষা করেছেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা প্রমাণ করেছেন সময়মতো তাঁদের অর্থায়ন জোগালে তারা তার প্রতিদান দিতে পারেন।
বর্গাচাষিদের জন্য ঋণের পরিমাণ আরও বাড়ানো এবং তদারকি আরও জোরদার করার পরামর্শ দেন শাইখ সিরাজ।
No comments