ব্যাংকের সুষ্ঠু তহবিল-ব্যবস্থাপনা জরুরি-মুদ্রাবাজার যখন অস্থির
দেশের মুদ্রাবাজারে গত সপ্তাহে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের দৈনন্দিন লেনদেনের চাহিদা মেটাতে গিয়ে একে অন্যের কাছ থেকে অত্যন্ত চড়া সুদে দৈনিক ভিত্তিতে ঋণ নিয়েছে। এর ফলে কলমানি বলে পরিচিত আন্তব্যাংক ঋণের সুদের হার একপর্যায়ে ১৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়, যা মুদ্রাবাজারে নগদ অর্থের বড় ঘাটতি প্রমাণ করে। বিষয়টি ব্যাংকের সুষ্ঠু তহবিল-ব্যবস্থাপনার সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বস্তুত, কয়েক মাস ধরেই দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাত্রাতিরিক্তভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে চলেছিল। এটা একদিকে যেমন শেয়ারবাজারকে কৃত্রিমভাবে স্ফীত করে তুলতে ভূমিকা রেখেছে, অন্যদিকে এই ফাটকাবাজিমূলক স্ফীতি বাজারে অতিসংশ্লিষ্টতা ব্যাংকের ঝুঁকির মাত্রাও উঁচুতে নিয়ে গেছে। কৃষি ও শিল্পসহ বিভিন্ন উৎপাদনশীল খাতে ঋণ দেওয়ার চেয়ে অনুৎপাদনশীল শেয়ারে বিনিয়োগ করায় ব্যাংকের উৎসাহের পেছনে বাড়তি মুনাফার তাগিদ কাজ করেছে। তবে তা বহুলাংশে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলার পরিপন্থী।
সর্বোপরি মূল্যস্ফীতিজনিত চাপ বাড়তে শুরু করায় বাজারে মুদ্রার জোগান নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতিকে নিয়ন্ত্রণমূলক করে বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলোর বিধিবদ্ধ নগদ জমার হার। সংগত কারণেই ব্যাংকগুলো বাধ্য হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে। পাশাপাশি বছর শেষ হয়ে আসায় বার্ষিক হিসাব প্রস্তুত এবং একই সময়ে আমদানি-ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের চেয়ে বেশি অর্থ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ব্যাংকগুলোর। ফলে তারা মুদ্রাবাজার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অধিক ঋণ নেওয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। শেয়ারে খাটানো অর্থও তুলে আনতে হচ্ছে, যা আবার শেয়ারবাজারে সামগ্রিক বিক্রির চাপ বাড়িয়ে বাজারকে নিম্নমুখী করেছে।
কিন্তু সিআরআর বাড়ানোয় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে গেলেও গত বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা জোগান দিয়েছে। তার পরও কলমানির হার এত চড়া হওয়া ব্যাংকগুলোর তহবিল ব্যবস্থাপনার অদক্ষতারই প্রতিফলন। তাই ব্যাংকগুলোকে বরং এখন তাদের তহবিল ব্যবস্থাপনায় আরও সতর্ক ও দক্ষ হতে হবে। বিশেষত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন কয়েক মাস ধরেই মুদ্রার জোগান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একের পর এক আভাস দিচ্ছিল, তখনই তা বিবেচনায় নিয়ে আগামী দিনের তহবিল ব্যবহারের সুপরিকল্পনা করা প্রয়োজন ছিল। শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করার দোহাই পেড়ে এই শিক্ষাকে অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই।
বস্তুত, কয়েক মাস ধরেই দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাত্রাতিরিক্তভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে চলেছিল। এটা একদিকে যেমন শেয়ারবাজারকে কৃত্রিমভাবে স্ফীত করে তুলতে ভূমিকা রেখেছে, অন্যদিকে এই ফাটকাবাজিমূলক স্ফীতি বাজারে অতিসংশ্লিষ্টতা ব্যাংকের ঝুঁকির মাত্রাও উঁচুতে নিয়ে গেছে। কৃষি ও শিল্পসহ বিভিন্ন উৎপাদনশীল খাতে ঋণ দেওয়ার চেয়ে অনুৎপাদনশীল শেয়ারে বিনিয়োগ করায় ব্যাংকের উৎসাহের পেছনে বাড়তি মুনাফার তাগিদ কাজ করেছে। তবে তা বহুলাংশে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলার পরিপন্থী।
সর্বোপরি মূল্যস্ফীতিজনিত চাপ বাড়তে শুরু করায় বাজারে মুদ্রার জোগান নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতিকে নিয়ন্ত্রণমূলক করে বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলোর বিধিবদ্ধ নগদ জমার হার। সংগত কারণেই ব্যাংকগুলো বাধ্য হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে। পাশাপাশি বছর শেষ হয়ে আসায় বার্ষিক হিসাব প্রস্তুত এবং একই সময়ে আমদানি-ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের চেয়ে বেশি অর্থ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ব্যাংকগুলোর। ফলে তারা মুদ্রাবাজার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অধিক ঋণ নেওয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। শেয়ারে খাটানো অর্থও তুলে আনতে হচ্ছে, যা আবার শেয়ারবাজারে সামগ্রিক বিক্রির চাপ বাড়িয়ে বাজারকে নিম্নমুখী করেছে।
কিন্তু সিআরআর বাড়ানোয় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে গেলেও গত বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা জোগান দিয়েছে। তার পরও কলমানির হার এত চড়া হওয়া ব্যাংকগুলোর তহবিল ব্যবস্থাপনার অদক্ষতারই প্রতিফলন। তাই ব্যাংকগুলোকে বরং এখন তাদের তহবিল ব্যবস্থাপনায় আরও সতর্ক ও দক্ষ হতে হবে। বিশেষত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন কয়েক মাস ধরেই মুদ্রার জোগান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একের পর এক আভাস দিচ্ছিল, তখনই তা বিবেচনায় নিয়ে আগামী দিনের তহবিল ব্যবহারের সুপরিকল্পনা করা প্রয়োজন ছিল। শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করার দোহাই পেড়ে এই শিক্ষাকে অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই।
No comments