আফগান যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাদের ভূমিকার সমালোচনায় যুক্তরাষ্ট্র
উইকিলিকসের সদ্য ফাঁস করা নথির তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সেনাদের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সেনারা হেলমান্দ প্রদেশে এককভাবে দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। কাবুলে নিযুক্ত একজন মার্কিন প্রতিনিধি আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে ‘দিশেহারা’ ও ‘দুর্বল’ নেতা বলে অভিহিত করেন বলেও এসব নথিতে উল্লেখ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার আফগান সরকার এসব তথ্যের সত্যতা ‘অবান্তর’ বলে নাকচ করেন।
নথির তথ্য অনুযায়ী, হেলমান্দ প্রদেশের শান্তি রক্ষা এবং সেখানে মাদক চোরাচালান রোধে নিয়োজিত ব্রিটিশ সেনাদের ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান উভয় দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে। ব্রিটিশ সেনাদের সহায়তা করতে মার্কিন সেনারা যোগ দেয়। মার্কিন সেনারা ওই প্রদেশে পৌঁছার পর হামিদ কারজাই আশ্বস্ত হন। একটি নথিতে ২০০৭ সালে আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মার্কিন সেনা কর্মকর্তা জেনারেল ড্যান ম্যাকনিল ব্রিটিশ সেনাদের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন বলে তথ্য রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে তৎপরতা চালানোর বিষয়ে ব্রিটিশ সেনাদের তৎপরতায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ম্যাকনিল। তিনি বলেছিলেন, ভুল কৌশল অবলম্বন করে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ব্রিটিশ সেনারা হেলমান্দে ‘জগাখিচুড়ি পাকিয়ে’ ফেলেছিল।
২০০৮ সালে কাবুলের মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা ও প্রেসিডেন্ট কারজাই এ ব্যাপারে একমত, মার্কিন সেনাদের সমর্থন ছাড়া হেলমান্দে ব্রিটিশ সেনাদের একার পক্ষে পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব নয়।’
অন্য নথিতে দেখা গেছে, কাবুলে মার্কিন প্রতিনিধি কার্ল একেনবেরি প্রেসিডেন্ট কারজাইকে ‘দিশেহারা’ ও ‘দুর্বল’ রাষ্ট্রনায়ক বলে আখ্যা দেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের কাছে তাঁর জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে তিনি বলেন, তিনি মনে করেন যে রাষ্ট্র গঠনের প্রাথমিক ও মৌলিক নীতি অনুসরণের জন্য যে সক্ষমতা ও আদর্শিক শক্তি থাকা দরকার, কারজাইয়ের তা নেই। একেনবেরি বলেন, স্বয়ং প্রেসিডেন্টের সৎভাই ও কান্দাহারের প্রাদেশিক পরিষদের নেতা আহমাদ ওয়ালি কারজাই দুর্নীতি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত। তাঁর মতো সরকারের বহু শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এসব কাজে জড়িত জেনেও কারজাই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। তিনি বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো নৈতিক মনোবল কারজাইয়ের নেই।
২০০৯ সালের জুলাইয়ের ওই নথির তথ্য অনুযায়ী একেনবেরি বলেন, সম্প্রতি চারবার কারজাইয়ের সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠক থেকে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ইরানের মতো যুক্তরাষ্ট্রও কারজাইয়ের বিরোধীদের সমর্থন দেবে বলে তিনি মনে করছিলেন।
একেনবেরি বলেন, তাঁর মনে হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে কারজাইয়ের বর্তমানে যে ধারণা রয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের সম্পর্ককে একটি উদ্বেগজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে। তবে গতকাল কারজাই সরকারের কর্মকর্তা হামেদ এলমি একেনবেরির এসব কথাকে ‘অবান্তর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
কারজাই সরকারের অপর কর্মকর্তা সিমাক হিরাবি বলেছেন, এ বিষয়ে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট কারজাই শনিবার (আজ) সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন।
নথির তথ্য অনুযায়ী, হেলমান্দ প্রদেশের শান্তি রক্ষা এবং সেখানে মাদক চোরাচালান রোধে নিয়োজিত ব্রিটিশ সেনাদের ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান উভয় দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে। ব্রিটিশ সেনাদের সহায়তা করতে মার্কিন সেনারা যোগ দেয়। মার্কিন সেনারা ওই প্রদেশে পৌঁছার পর হামিদ কারজাই আশ্বস্ত হন। একটি নথিতে ২০০৭ সালে আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মার্কিন সেনা কর্মকর্তা জেনারেল ড্যান ম্যাকনিল ব্রিটিশ সেনাদের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন বলে তথ্য রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে তৎপরতা চালানোর বিষয়ে ব্রিটিশ সেনাদের তৎপরতায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ম্যাকনিল। তিনি বলেছিলেন, ভুল কৌশল অবলম্বন করে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ব্রিটিশ সেনারা হেলমান্দে ‘জগাখিচুড়ি পাকিয়ে’ ফেলেছিল।
২০০৮ সালে কাবুলের মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা ও প্রেসিডেন্ট কারজাই এ ব্যাপারে একমত, মার্কিন সেনাদের সমর্থন ছাড়া হেলমান্দে ব্রিটিশ সেনাদের একার পক্ষে পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব নয়।’
অন্য নথিতে দেখা গেছে, কাবুলে মার্কিন প্রতিনিধি কার্ল একেনবেরি প্রেসিডেন্ট কারজাইকে ‘দিশেহারা’ ও ‘দুর্বল’ রাষ্ট্রনায়ক বলে আখ্যা দেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের কাছে তাঁর জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে তিনি বলেন, তিনি মনে করেন যে রাষ্ট্র গঠনের প্রাথমিক ও মৌলিক নীতি অনুসরণের জন্য যে সক্ষমতা ও আদর্শিক শক্তি থাকা দরকার, কারজাইয়ের তা নেই। একেনবেরি বলেন, স্বয়ং প্রেসিডেন্টের সৎভাই ও কান্দাহারের প্রাদেশিক পরিষদের নেতা আহমাদ ওয়ালি কারজাই দুর্নীতি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত। তাঁর মতো সরকারের বহু শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এসব কাজে জড়িত জেনেও কারজাই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। তিনি বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো নৈতিক মনোবল কারজাইয়ের নেই।
২০০৯ সালের জুলাইয়ের ওই নথির তথ্য অনুযায়ী একেনবেরি বলেন, সম্প্রতি চারবার কারজাইয়ের সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠক থেকে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ইরানের মতো যুক্তরাষ্ট্রও কারজাইয়ের বিরোধীদের সমর্থন দেবে বলে তিনি মনে করছিলেন।
একেনবেরি বলেন, তাঁর মনে হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে কারজাইয়ের বর্তমানে যে ধারণা রয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের সম্পর্ককে একটি উদ্বেগজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে। তবে গতকাল কারজাই সরকারের কর্মকর্তা হামেদ এলমি একেনবেরির এসব কথাকে ‘অবান্তর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
কারজাই সরকারের অপর কর্মকর্তা সিমাক হিরাবি বলেছেন, এ বিষয়ে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট কারজাই শনিবার (আজ) সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন।
No comments