আলোচনা- বাংলাদেশের সমাজ : মধ্যবিত্ত সমাচার by আহমদ রফিক
মধ্যবিত্ত, বিশেষ করে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের দোদুল্যমান শ্রেণী হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। অন্তত সমাজবিজ্ঞানের বিশেষ কোনো ধারার বিচারে তো বটেই। কয়েক দশক ধরে বাঙালি মধ্যবিত্ত বিশেষ করে মুসলমান মধ্যবিত্তের বিকাশ। তবে স্বাধীন বাংলাদেশে অতি দ্রুত এই বিকাশ শিখর ছুঁতে চলেছে_যেমন শিক্ষিত পেশাজীবী, তেমনি ব্যবসায়ী-শিল্পপতি শ্রেণী। রাজধানীসহ বড় শহরগুলো ঢুঁড়ে পরিসংখ্যান-জরিপ চালানো উচিত, যাতে তুলনামূলক অবস্থাটা বোঝা যায়।
ঢাকা শহরকে মডেল হিসেবে নিয়ে এ কাজটা করা যেতে পারে। জরিপের সাহায্য না পেলেও সমাজমনস্ক বয়সী মানুষ চোখের অভিজ্ঞতা থেকেও একটা হিসাব পেতে পারেন, হিসাব না হলেও মোটামুটি ধারণা পাবেন। মহল্লাগুলোর দিকে তাকালে বিষয়টা আরো স্পষ্ট হবে। বোঝা যাবে, স্বাধীনতা-উত্তরকাল থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিকাশ কী দ্রুত হারে ঘটেছে। এটা দুই খাতে_প্রধানত বিত্তে, অংশত শিক্ষায়। অবশ্য শিক্ষার সঙ্গেও বিত্তের সম্পর্ক থাকে, তবে তা ব্যবসা ও শিল্প-বাণিজ্যের তুলনায় অনেক কম।
চোখের সামনে দেখছি_কেমন করে একজন সাদামাটা আমদানিকারক দ্রুত নানা খাতের শিল্পপতি হয়ে ওঠেন, দোকানি থেকে বড় ব্যবসায়ী, আর সম্পন্ন ব্যবসায়ী পণ্যবাজার হাতে নিয়ে দ্রব্যমূল্য অন্যায্যভাবে বাড়িয়ে বছর কয়েকের মধ্যে অন্যতম বাজার-নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেন। আটপৌরে প্রকাশকও কী জাদুমন্ত্রে গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়ে যান, ওমরাহ হজ পালন করে পাক-সাফ হয়ে আসেন। কোচিং ব্যবসায়ী শিক্ষক-অধ্যাপকদের কথা না-ই বা বললাম। তেমনি পেশাজীবী চিকিৎসক বা প্রকৌশলীদের কথা। তবে আমলারাও এ কাতারে।
তাঁদের সবাইকে কি মধ্যবিত্ত হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করা যাবে? কেউ হয়তো মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত বিভাজনে উৎসাহী হবেন। তবে তাঁদের অনেকেই বিত্তবান শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু শ্রেণী-বিচারে শুধু বিত্তবান শব্দটির সংজ্ঞা বা তাৎপর্যও অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ। তার চেয়ে ধনিক কথাটা স্পষ্ট। কত আর্থিক সঞ্চয়ে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত বা বিত্তবানের সংজ্ঞা নির্ধারিত হতে পারে, তার বিজ্ঞানভিত্তিক হিসাব আমাদের কাছে এখনো অচিহ্নিত। তেমনি ধনিক শ্রেণী। তবে একজন শিল্পপতি অবশ্যই ধনিক শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।
মার্কসবাদীদের সমালোচিত দোদুল্যমান শ্রেণী হয়েও মধ্যবিত্ত একসময় সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে যেমন উপনিবেশবাদী শাসনের বিরুদ্ধে, তেমনি নব্য উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রকাশ ঘটিয়ে। সংস্কৃতিক্ষেত্রে তাদের হাত ধরে জাতীয়তাবাদী ও সমাজবাদী-প্রগতিবাদী চেতনার বিকাশ। সেসব ক্ষেত্রে সামাজিক মূল্যবোধের সুস্থ প্রকাশ ঘটানোর চেষ্টাও জড়িত ছিল। বিগত শতকের পঞ্চাশ থেকে ষাটের দশকের শেষাবধি এবং একাত্তরে এমনটাই দেখা গেছে। রাজনীতির ক্ষেত্রেও তাই।
কিন্তু মানতে হবে যে স্বাধীনতা-উত্তরকালে সমাজে বিত্তের অতি দ্রুত সঞ্চয়ে 'হঠাৎ নবাব' হয়ে ওঠা। ফলে সংগত কারণে সামাজিক মূল্যবোধ বিগত দশক-দুইয়ের মতো থাকেনি। দূষণ (হয়তো বলা যেতে পারে দুর্নীতি) সমাজের শ্রেণীবিশেষে ব্যাপক হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। একে অন্যের সহযোগী। তাই মধ্যবিত্ত-বিত্তবানের শ্রেণী-শাসনে ব্যবসা-বাণিজ্যের বাজার, সাধারণ মানুষের পণ্য-বাজার একই স্বার্থে নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে।
কথাটায় তাত্তি্বক ভাব থাকলেও এর বাস্তব দিক আমরা দেখতে পাই, প্রতিবছরই শাসনযন্ত্রের ন্যায়-নীতির হুমকি উপেক্ষা করে বিশেষ বিশেষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁতে থাকে। কর্তৃপক্ষ কিছুতেই তা স্বাভাবিক পর্যায়ে, বলা যেতে পারে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। কথিত 'সিন্ডিকেট'-এর (যদি তা থাকে) অশুভ প্রভাবে বাজার এমনই দুর্মূল্য যে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস উঠছে। এমনই শক্তিমান বাজার-নিয়ন্ত্রক ব্যবসায়ীকুল যে তাদের সঙ্গে পেরে উঠবে, সাধ্য কার? সদিচ্ছা থাকলেও সরকার যে তাদের দমন করতে অপারগ, তা তো আমরা হরহামেশা দেখছি।
সত্তরের দশকে স্বাধীন বাংলাদেশে বারবার একটি কথা উচ্চারিত হয়েছে যে সংক্ষিপ্ত পথে, সংক্ষিপ্ত সময়ে স্বাধীনতা অর্জন আমাদের জন্য শুভ ভবিষ্যৎ বয়ে আনেনি। কথাটা রাজনৈতিক অঙ্গনের চেয়েও সমাজের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রযোজ্য বলে কেউ কেউ মনে করতেন, এখনো করেন। কারণ ওই যে কথায় বলে, 'ধীরস্থিরই বাজি জেতে'। সামাজিক মূল্যবোধ ও পরিশীলিত মননচর্চার দিকে চোখ রেখেই এমন কথা বলা হয়ে থাকে।
উদাহরণ হিসেবে উনিশ শতক থেকে বিশের শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের শিক্ষিত মধ্যশ্রেণীর ধীরে-সুস্থে বেড়ে ওঠার মধ্য দিয়ে কিছু সুস্থ সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে উঠেছিল। যেমন শিক্ষায়, তেমনি নৈতিকতায়; যেমন দেশসেবায়, তেমনি সমাজসেবায় একটি সুস্থধারার বিকাশ ঘটেছিল। সময় সে ক্ষেত্রে পায়ের নিচে মাটির শক্ত ভিত তৈরি করে দেয়, তাড়াহুড়ো করে নয়; ধীরে, ক্রমান্বয়ে। সমাজে এর শুভ পরিণাম দেখা গিয়েছিল।
কিন্তু বাংলাদেশি সমাজ ওই-রকম পথ ধরে এগোয়নি। বিভাগোত্তরকালে (১৯৪৭) আন্দোলনে-সংগ্রামে বিকাশমান মধ্যশ্রেণী যে মূল্যবোধ ও সুস্থচেতনায় ভর দিয়ে হঠাৎ রণাঙ্গনে হাজির হয়েছিল, স্বাধীনতা-উত্তর বাঙালি সমাজ সে ধারায় পথ চলেনি_সেসবের বিকাশ ঘটানো তো দূরের কথা। হঠাৎ প্রাপ্তি, অভাবিত প্রাপ্তির উত্তেজনা এবং দেশ পরিচালনায় বিচক্ষণতার অভাব উলি্লখিত সম্ভাবনা কার্যকর ও ফলপ্রসূ করে তুলতে পারেনি। 'পারেনি' বলা বোধ হয় ভুল হবে। আসলে তেমন চেষ্টাই ছিল না।
ফলে সমাজ এবং রাজনীতিতে অস্থিরতা, উত্তেজনা, হানাহানি ও রক্তপাত নিত্যদিনের বিষয় হয়ে উঠেছিল। বিশ্বাস না হলে বয়সীরা একবার সে সময়কার সামাজিক নৈরাজ্যের ছবিটা স্মরণে আনার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। দীর্ঘ সময় পর এখন সে ছবি দেখে অবাক লাগবে। রাজনৈতিক হানাহানির মধ্য দিয়ে গোটা দুই-তিন দশক পার হওয়ার পর ছবিটা আরো ভয়াবহ। পরিবর্তনের কোনো সুবাতাস সেখানে বইছে না।
একজন কলাম লেখকের ভাষায়ই বলি : 'বর্তমান রাজনীতি পঙ্কিল। প্রতিহিংসাপরায়ণ, আখের গোছানোর রাজনীতি। নিজের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির রাজনীতি।' কথাগুলো শতভাগ সত্য। তবে প্রশ্ন থাকে, এ রাজনীতিতে কারা সংশ্লিষ্ট? উত্তর, অবশ্যই মধ্যবিত্ত_যে মধ্যবিত্ত রাজনীতির কল্যাণে উচ্চ-মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত শ্রেণীতে উত্তীর্ণ। কেউ কেউ সেখান থেকে ধনিক শ্রেণীর অন্তর্গত; কিন্তু তাদেরও শেকড়টা বা শেকড়ের চরিত্র খাঁটি মধ্যবিত্তের। এবং তা পূর্বোক্ত আদর্শবাদী, সেবাব্রতী বা দেশপ্রেমী মধ্যবিত্ত নয়_যে মধ্যবিত্ত আন্দোলন-সংগ্রামে অনায়াসে সর্বস্ব ত্যাগ করতে পারে, এমনকি অকাতরে প্রাণ দিতে পারে। বরং এ মধ্যবিত্ত সুবিধাবাদী, সুযোগসন্ধানী, লোভী, আদর্শবিচ্যুত আপসবাদী_যে নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছু বোঝে না, বিত্তের পাহাড় তৈরি করেও তার আকাঙ্ক্ষা শেষ হয় না। সে নিজেও জানে না, পথের শেষ কোথায়? যুক্তরাষ্ট্র সফররত ম্যাঙ্মি গোর্কির কথিত 'সোপ কিং'-এর মতো তার অবস্থা, যে বিত্তের অশেষ সঞ্চয় ছাড়া আর কিছু বোঝে না।
এখনকার অবস্থা অবশ্য সে সময়কার তুলনায় ভিন্ন। বর্তমান ভোগবাদী সমাজে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে সর্ববিধ ভোগলিপ্সার নিবারণ একমাত্র কাম্য, যেখানে প্রয়োজন অঢেল বিত্তের। তাই বিত্তের সঞ্চয় নেশায় পরিণত, সেখানে ন্যায়-নীতির কোনো বালাই নেই। বরং দুর্নীতি সেখানে আরাধ্য। আজকাল প্রত্যেকে কথায় কথায় বলে থাকেন, দুর্নীতিতে দেশটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। 'দেশটা' মানে সমাজটা।
ফলে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত সমাজ_এ সমাজে সামান্য সংখ্যক ব্যতিক্রম বাদে শিল্পপতি, ধনিক শ্রেণী তো বটেই; শিক্ষিত পেশাজীবী, কথিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীও ব্যাপক হারে ওই দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্ট যেমন লোভের টানে স্বেচ্ছায়; তেমনি সামাজিক বাধ্যবাধকতার টানে। যে পারে বা যারা পারে, তার বাইরে অপারগ জনগোষ্ঠীর পতন অর্থনৈতিক বিবেচনায় নিচের দিকে। অর্থাৎ মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে অবতরণ।
ইদানীং অনেককেই বলতে শুনি, দুর্নীতির বদৌলতে সমাজের নিম্নস্তরেও নাকি অসচ্ছলতা খুব একটা নেই, বিশেষ করে রাজধানীতে এবং নগর-বন্দরে। এসব স্থানে অর্থের প্রবাহ যথেষ্ট। স্বভাবতই ভাগ-বাটোয়ারার গুণে প্রাপ্তি কিছু না কিছু থাকেই। তাহলে বলতে হয়, অসচ্ছলতা শুধু গ্রামে কৃষক-শ্রমজীবী-দিনমজুর শ্রেণীতে। এবং কিছু পরিমাণে হলেও তা দেখা যাবে এদেরই নগর-অভিবাসী বস্তিবাসীর মধ্যে। রাজনীতি তাদের সাহায্য করে না, ব্যবহার করে মাত্র। ভোটের রাজনীতি, তথাকথিত গণতান্ত্রিক রাজনীতি তাদের জন্য কোনো সৌভাগ্য বয়ে আনে না। নির্দিষ্ট সময় অন্তে ভোট দেওয়ার তৃপ্তি লালন করেই এরা খুশি থাকে।
ফিরে আসি মধ্যবিত্তের কথায়_দেশের যে শ্রেণী নিয়ে এ আলোচনা, তাঁদের কথায়। তাঁদের মধ্যে যেমন আছেন আটপৌরে থেকে শাঁসালো পেশাজীবী (অধ্যাপক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংবাদিক ও আমরা প্রমুখ। ইদানীং প্রকাশকদের একাংশকেও এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা যায়)_তেমনি আছেন মাঝারি ব্যবসায়ী, যাঁদের অনেকেরই রয়েছে সাদামাটা গাড়ি-বাড়ি। কেউ তাঁদের উচ্চ-মধ্যবিত্ত হিসেবে চিহ্নিত করলেও আপত্তির বড় একটা সুযোগ নেই। তাঁদের সবচেয়ে বড় চরিত্র-বৈশিষ্ট্য, তাঁদের অধিকাংশই সুবিধাবাদী এবং আপসবাদী। এবং তা তাঁদের মেধা ও মননশীলতা সত্ত্বেও।
এ শ্রেণীর বিকাশ ও প্রসারও স্বাধীনতার বদৌলতে, এতে সন্দেহ নেই। এখন কেউ যদি মনে করেন বা লেখেন যে এই শ্রেণীর দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি দেশের রাজনীতিতে সুস্থ বা ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে, সে ক্ষেত্রে ওই ধারণার সঙ্গে একমত হওয়া কঠিন। কারণ অনেক। তাঁদের আদর্শবাদী সময়টা অনেক পিছিয়ে পড়েছে। তাঁদের মেধাবী অংশ রাজনীতিতে আগ্রহী নন; বরং নিজের পেশায় আখের গুছিয়ে নিয়ে খুশি_কারণ সেখানে প্রাপ্তি নেহাত কম নয়_কেন মিছে জেল-জুলুম-হাজতবাসের ঝুঁকি নিতে যাওয়া?
তাঁদের আরেক অংশ কিংবা অধিকতর মেধাবী অংশ দেশের সামাজিক পরিবেশ নিয়ে ভীষণ অখুশি_তাই উন্নত বিশ্ব তাঁদের লক্ষ্য। সেখানে সামাজিক দিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বিবেচিত হলেও নিরুপদ্রব জীবন অনেক শ্রেয় ও কাম্য। মেধার এই অভিবাসন বাংলাদেশের সমাজকে আরো দুর্বল, আরো দূষিত হতে সাহায্য করছে। রাজনৈতিক আদর্শবাদ যেমন বিদেশগামীদের আকৃষ্ট করছে না, তেমনি করছে না স্থানীয় মেধাবী পেশাজীবীদেরও।
এই শ্রেণীর মধ্যবিত্ত (এবং সমাজের শান্তিকামী মানুষ মাত্রই) ঠিকই চায়, রাজনীতি কলুষমুক্ত হোক, সত্যিকার অর্থে আইনের শাসন চালু হোক, দেশের বিত্ত কয়েকটি কোটরে বন্দি না থেকে সমাজের সর্বস্তরে ব্যাপ্ত হোক ইত্যাদি; কিন্তু সে চাওয়া নিজেকে সংশ্লিষ্ট না করে। এমন ধারণা বা চিন্তা নেতিবাদী, সন্দেহ নেই। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। তাই রাজনীতিতে তাঁদের অনুপ্রবেশ লক্ষ করা যাচ্ছে না। 'অনুপ্রবেশ' এ জন্য যে দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিকগোষ্ঠী তাঁদের আগমনকে স্বাগত জানাবে না, মেনে নেবে না, 'অনুপ্রবেশ'ই বিবেচনা করবে। অন্যদিকে প্রশ্ন : সামরিক-বেসারিক আমলাদের রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্তি কি অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পেরেছে? পারেনি।
রাজনৈতিক অঙ্গনে মাঝেমধ্যে একাধিক দলে যে গুটিকয় ভিন্নমতের বা সুস্থ চেতনার মানুষ দেখা যায়, তাদের কোণঠাসা অবস্থা থেকেই রাজনীতির চরিত্র অনুধাবন করা যায়। আর এসব কারণেই কয়েক দশকেও নেতিবাচক সামাজিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাব ঘটেনি। মাঝেমধ্যে চেষ্টা যে চলেনি এমন নয়; কিন্তু তাতে কোনো সুফল মেলেনি। দুর্নীতিগ্রস্ত, সুবিধাবাদী রাজনীতির অচলায়তনে চিড় ধরানো সম্ভব হয়নি। অবস্থাদৃষ্টে অদূর ভবিষ্যতেও 'সম্ভব হবে' বলে মনে হয় না।
আশাবাদী হয়তো বলবেন, এমন অচলাবস্থা কি স্থায়ী রূপ নিতে পারে, সমাজবিজ্ঞান তো তা বলে না। কিন্তু আমাদের সমাজ আপাতত সমাজবিজ্ঞানের রীতি-নীতির বাইরে চলতে পেরে খুশি। কী সামিরক শাসন, কী জরুরি অবস্থার শাসন, কী কথিত গণতান্ত্রিক শাসন অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়নি বা ঘটাতে চায়নি। বড় একটা হঠাৎ-উপপ্লব ছাড়া বর্তমান রাজনীতির পাষাণ অচলায়তন ভেঙে ফেলা যাবে না। আপাত তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বিধায় অপেক্ষা বিনে গতি নেই।
=========================
গল্প- দূর গাঁয়ের গল্প সাহিত্যালোচনা- কবিতার হয়ে ওঠা সাহিত্যালোচনা- কবিতার হয়ে ওঠাই কবির তপস্যা পাঁচ গাড়িসহ দুই ছেলের মালপত্র বুঝে নেওয়া হলো আজ বাকিগুলো গল্প- 'কোনো এক গাঁয়ের বিয়ে' গল্প- মৌরস ভৌরস শিল্পি- ড্রয়িং, স্কেচ না পূর্ণাঙ্গ চিত্রকর্ম গল্পসল্প- নারী শিক্ষা মন্দির স্মৃতি ও গল্প- ছিন্নস্মৃতি স্মৃতি ও গল্প- স্কুল জীবনে বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি ও যশোর ফিচার- তাঁহাদের দান ফিচার- ডায়ানার আংটি গল্প- 'অভিমান' গল্প- 'মাটির ব্যাংক' গল্পসল্প- 'সাগরকে যাঁরা পোষ মানালেন' স্মরণ- 'আমাদের সেলিনা আপা' আলোচনা- 'বেতন-ভাতা না নেওয়ার ‘নীতিগত’ সিদ্ধান্ত নয় কেন? ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরীক্ষা করছে নরওয়ে খালেদার মালপত্র আজ বুঝিয়ে দেওয়া হবে আলোচনা- 'পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও অশান্তির মনস্তত্ত্ব' সাক্ষাৎকার- পাহাড়ে পাহাড়িদের সংখ্যালঘু করা হচ্ছে আলোচনা- 'শান্তিচুক্তির ১৩ বছর' রাজনৈতিক আলোচনা- 'উন্মত্ত নৈরাজ্যের শক্তি বনাম সোনালি সম্ভাবনা' আলোচনা- ''ট্রানজিট' না 'করিডোর' না 'কানেকটিভিটি' আলোচনা- 'ওরাও মানুষ আছে ওদের অধিকার' আন্তর্জাতিক- অং সান সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্রের পথ শিল্প-অর্থনীতি 'আঞ্চলিক রফতানি বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ স্মরণ- 'সিদ্ধার্থকে মনে পড়ে' by খুশবন্ত সিং আলোচনা- প্রসঙ্গ:বেসরকারী চ্যানেলে বিটিভি'র খবর
দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ আহমদ রফিক
কবি, গবেষক, প্রাবন্ধিক, ভাষাসৈনিক
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
গল্প- দূর গাঁয়ের গল্প সাহিত্যালোচনা- কবিতার হয়ে ওঠা সাহিত্যালোচনা- কবিতার হয়ে ওঠাই কবির তপস্যা পাঁচ গাড়িসহ দুই ছেলের মালপত্র বুঝে নেওয়া হলো আজ বাকিগুলো গল্প- 'কোনো এক গাঁয়ের বিয়ে' গল্প- মৌরস ভৌরস শিল্পি- ড্রয়িং, স্কেচ না পূর্ণাঙ্গ চিত্রকর্ম গল্পসল্প- নারী শিক্ষা মন্দির স্মৃতি ও গল্প- ছিন্নস্মৃতি স্মৃতি ও গল্প- স্কুল জীবনে বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি ও যশোর ফিচার- তাঁহাদের দান ফিচার- ডায়ানার আংটি গল্প- 'অভিমান' গল্প- 'মাটির ব্যাংক' গল্পসল্প- 'সাগরকে যাঁরা পোষ মানালেন' স্মরণ- 'আমাদের সেলিনা আপা' আলোচনা- 'বেতন-ভাতা না নেওয়ার ‘নীতিগত’ সিদ্ধান্ত নয় কেন? ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরীক্ষা করছে নরওয়ে খালেদার মালপত্র আজ বুঝিয়ে দেওয়া হবে আলোচনা- 'পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও অশান্তির মনস্তত্ত্ব' সাক্ষাৎকার- পাহাড়ে পাহাড়িদের সংখ্যালঘু করা হচ্ছে আলোচনা- 'শান্তিচুক্তির ১৩ বছর' রাজনৈতিক আলোচনা- 'উন্মত্ত নৈরাজ্যের শক্তি বনাম সোনালি সম্ভাবনা' আলোচনা- ''ট্রানজিট' না 'করিডোর' না 'কানেকটিভিটি' আলোচনা- 'ওরাও মানুষ আছে ওদের অধিকার' আন্তর্জাতিক- অং সান সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্রের পথ শিল্প-অর্থনীতি 'আঞ্চলিক রফতানি বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ স্মরণ- 'সিদ্ধার্থকে মনে পড়ে' by খুশবন্ত সিং আলোচনা- প্রসঙ্গ:বেসরকারী চ্যানেলে বিটিভি'র খবর
দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ আহমদ রফিক
কবি, গবেষক, প্রাবন্ধিক, ভাষাসৈনিক
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
No comments