অস্ট্রেলিয়ার দুঃস্বপ্নের সকাল
যেন দুঃস্বপ্ন! কাল অ্যাডিলেডে একটু দেরিতে ঢুকেছেন যেসব দর্শক, চোখ কচলে দুবার তাকিয়েছেন স্কোর বোর্ডে। সেখানে যে দেখাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া ২/৩! মাত্রই ১৩ বল খেলা হয়েছে। এরই মধ্যে ২ রান তুলতে অস্ট্রেলিয়া হারিয়ে ফেলেছে তিন উইকেট!
গত ৬০ বছরে নিজেদের সবচেয়ে বাজে শুরুর এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৯৩ রানের আরেকটি হাসি-সুলভ ইনিংস খেলে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন মাইক হাসি। ফিফটি এসেছে ব্র্যাড হাডিনের ব্যাট থেকেও। কিন্তু জেমস অ্যান্ডারসনের দুর্দান্ত বোলিং (৪/৫১), গ্রায়েম সোয়ান, স্টুয়ার্ট ব্রড, স্টিভেন ফিনদের যোগ্য সাহচর্য অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে অলআউট করে দিয়েছে মাত্র ২৪৫ রানে।
১৯৯২-৯৩ সালের পর অ্যাডিলেডে স্বাগতিকদের সবচেয়ে বাজে প্রথম ইনিংস। জবাবে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে যে একটি ওভার পেয়েছে, তাতে অতিরিক্ত খাত থেকে একটি রান নিয়ে শেষ করেছে দিন। অনেক তৃপ্তিতে মোড়ানো প্রথম দিন। চার বছর আগের অ্যাডিলেড-দুঃস্বপ্নের কবর খোঁড়ার প্রত্যয়ে উদ্ভাসিত অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের দল।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন ১৫০তম টেস্ট খেলতে নামা রিকি পন্টিং। নেওয়ারই কথা। অ্যাডিলেড মানেই রান। কিন্তু অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক তখন দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি, কী ঝড়টাই না আসছে।
দিনের চতুর্থ বলেই শুরু। ওয়াটসনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট সাইমন ক্যাটিচ। একটা বলও খেলা হয়নি। ডায়মন্ড ডাক! পরের বলটাই পন্টিংয়ের ব্যাট ছুঁয়ে পৌঁছে গেল দ্বিতীয় স্লিপে সোয়ানের হাতে। ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো গোল্ডেন ডাকের শিকার পন্টিং, এর চারটাই গত দুই বছরে!
পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায় অ্যান্ডারসনের দ্বিতীয় ও ইনিংসের তৃতীয় বলে। অধিনায়ককে অনুসরণ করে সহ-অধিনায়কও তালুবন্দী হলেন সোয়ানের হাতে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসেই এর চেয়ে কম রানে প্রথম তিন উইকেট পড়েছে মাত্র দুবার। অ্যাডিলেডে দর্শক তখনো মাঠে ঢুকছে। এবং এই ক্ষণিকের বিলম্বই তাদের বঞ্চিত করল দিনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ থেকে।
মার্কাস নর্থ ও হাডিনের সকালের আলস্য বোধ হয় কাটেনি। দ্রুতই তাঁদের ছুটতে হলো ব্যাট-প্যাডের সন্ধানে। এক্ষুনি মাঠে নেমে পড়তে হয় কিনা, কে জানে!
ওয়াটসনের সঙ্গে হাসির ৯৪ রানের জুটি আতঙ্কের মেঘ কিছুটা সরিয়ে দেয়। কিন্তু নির্ভরতার সূর্য পুরোপুরি উঁকি দেওয়ার আগেই আবারও অ্যান্ডারসনের আঘাত। ৩ উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফিফটি পেয়ে যান ওয়াটসনও। কিন্তু লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ওভারে অ্যান্ডারসনের আউট সুইংগার ওয়াটসনকে গালিতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে পিটারসেনের হাতে।
হাসি-ওয়াটসনের চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙার পর পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেটে হাসি আরও দুটো ফিফটি পার্টনারশিপ গড়েন। প্রথমে নর্থ, পরে হাডিনের সঙ্গে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে আর কিছুই নেই। ৩৮ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া অলআউট আড়াই শ পেরোনোর আগেই। হাডিন অবশ্য শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে চেষ্টা করেছেন।
সব মিলে একটা বাজে দিন কাটানো অস্ট্রেলিয়া দিন শেষে তাতিয়ে দিয়েছে স্ট্রাউসকেও। সাজঘরে ফেরার সময় পন্টিং কী যেন বলেছেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে। পাল্টা জবাবও দিয়েছেন স্ট্রাউস। ইংল্যান্ডের আজ মাঠেই জবাব দেওয়ার পালা।
গত ৬০ বছরে নিজেদের সবচেয়ে বাজে শুরুর এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৯৩ রানের আরেকটি হাসি-সুলভ ইনিংস খেলে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন মাইক হাসি। ফিফটি এসেছে ব্র্যাড হাডিনের ব্যাট থেকেও। কিন্তু জেমস অ্যান্ডারসনের দুর্দান্ত বোলিং (৪/৫১), গ্রায়েম সোয়ান, স্টুয়ার্ট ব্রড, স্টিভেন ফিনদের যোগ্য সাহচর্য অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে অলআউট করে দিয়েছে মাত্র ২৪৫ রানে।
১৯৯২-৯৩ সালের পর অ্যাডিলেডে স্বাগতিকদের সবচেয়ে বাজে প্রথম ইনিংস। জবাবে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে যে একটি ওভার পেয়েছে, তাতে অতিরিক্ত খাত থেকে একটি রান নিয়ে শেষ করেছে দিন। অনেক তৃপ্তিতে মোড়ানো প্রথম দিন। চার বছর আগের অ্যাডিলেড-দুঃস্বপ্নের কবর খোঁড়ার প্রত্যয়ে উদ্ভাসিত অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের দল।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন ১৫০তম টেস্ট খেলতে নামা রিকি পন্টিং। নেওয়ারই কথা। অ্যাডিলেড মানেই রান। কিন্তু অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক তখন দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি, কী ঝড়টাই না আসছে।
দিনের চতুর্থ বলেই শুরু। ওয়াটসনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট সাইমন ক্যাটিচ। একটা বলও খেলা হয়নি। ডায়মন্ড ডাক! পরের বলটাই পন্টিংয়ের ব্যাট ছুঁয়ে পৌঁছে গেল দ্বিতীয় স্লিপে সোয়ানের হাতে। ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো গোল্ডেন ডাকের শিকার পন্টিং, এর চারটাই গত দুই বছরে!
পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায় অ্যান্ডারসনের দ্বিতীয় ও ইনিংসের তৃতীয় বলে। অধিনায়ককে অনুসরণ করে সহ-অধিনায়কও তালুবন্দী হলেন সোয়ানের হাতে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসেই এর চেয়ে কম রানে প্রথম তিন উইকেট পড়েছে মাত্র দুবার। অ্যাডিলেডে দর্শক তখনো মাঠে ঢুকছে। এবং এই ক্ষণিকের বিলম্বই তাদের বঞ্চিত করল দিনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ থেকে।
মার্কাস নর্থ ও হাডিনের সকালের আলস্য বোধ হয় কাটেনি। দ্রুতই তাঁদের ছুটতে হলো ব্যাট-প্যাডের সন্ধানে। এক্ষুনি মাঠে নেমে পড়তে হয় কিনা, কে জানে!
ওয়াটসনের সঙ্গে হাসির ৯৪ রানের জুটি আতঙ্কের মেঘ কিছুটা সরিয়ে দেয়। কিন্তু নির্ভরতার সূর্য পুরোপুরি উঁকি দেওয়ার আগেই আবারও অ্যান্ডারসনের আঘাত। ৩ উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফিফটি পেয়ে যান ওয়াটসনও। কিন্তু লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ওভারে অ্যান্ডারসনের আউট সুইংগার ওয়াটসনকে গালিতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে পিটারসেনের হাতে।
হাসি-ওয়াটসনের চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙার পর পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেটে হাসি আরও দুটো ফিফটি পার্টনারশিপ গড়েন। প্রথমে নর্থ, পরে হাডিনের সঙ্গে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে আর কিছুই নেই। ৩৮ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া অলআউট আড়াই শ পেরোনোর আগেই। হাডিন অবশ্য শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে চেষ্টা করেছেন।
সব মিলে একটা বাজে দিন কাটানো অস্ট্রেলিয়া দিন শেষে তাতিয়ে দিয়েছে স্ট্রাউসকেও। সাজঘরে ফেরার সময় পন্টিং কী যেন বলেছেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে। পাল্টা জবাবও দিয়েছেন স্ট্রাউস। ইংল্যান্ডের আজ মাঠেই জবাব দেওয়ার পালা।
No comments