অস্ট্রেলিয়া দলে এমন ওলটপালট!
১৪ বছরের রেকর্ড ভাঙছে নিশ্চিতভাবেই। ক্যাটিচ ও নর্থের জায়গায় হিউজ ও স্মিথের দলে ফেরা নিশ্চিত। নিশ্চিত বিয়ার, জনসন ও হিলফেনহসের মধ্যে যেকোনো দুজনও। অর্থাৎ, আগামীকাল পার্থে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলে অন্তত চারটি পরিবর্তন হচ্ছেই। ১৯৯৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টের পর সিরিজের মাঝখানে দুই টেস্টে এত পরিবর্তন আর হয়নি অস্ট্রেলিয়ার একাদশে।
আর যদি বিয়ার-জনসন-হিলফেনহস তিনজনই থাকেন একাদশে? তা হলে ফিরে যেতে হবে ৩২ বছর পেছনে। এক সিরিজের দুই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে সর্বশেষ পাঁচটি পরিবর্তন হয়েছিল ১৯৭৮ সালে ভারতের বিপক্ষে অ্যাডিলেড টেস্টে!
একসময় অস্ট্রেলিয়া দলে একটা পরিবর্তন হলেই সেটি হতো বড় খবর। একাদশ যেমন অনেকটা নিশ্চিত ছিল, কে চোট পেলে কে খেলবেন, এটাও একরকম জানাই ছিল। অস্ট্রেলীয় নির্বাচকদের কাজটাও সহজই ছিল তখন। দুঃসময় এসে অস্ট্রেলীয় নির্বাচকদের অস্থিরচিত্ততার কথাও জানিয়ে যাচ্ছে। নইলে কি আর দুই টেস্টে পাঁচটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা জাগে!
ব্যর্থতার কারণে বাদ দেওয়ার এক টেস্ট পরই হিলফেনহস-জনসনদের যে অন্যদের ব্যর্থতার কারণেই আবার ফেরানো হয়েছে, সাধারণ্যে ধারণা এটাই। ফর্ম হারিয়ে ফেলা যদি বাদ দেওয়ার কারণ হয়, মাঝখানে ফর্ম ফিরে পাওয়ার প্রমাণটা কোথায় পাওয়া গেল? সবকিছুতেই অস্ট্রেলিয়ার দিশেহারা ভাবের প্রকাশ। তবে অন্যতম নির্বাচক গ্রেগ চ্যাপেল তা মানতে রাজি নন, ‘ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে দলে পরিবর্তন আনার কথা আমরা অনেক আগেই ভেবে রেখেছিলাম। সাত সপ্তাহে যদি পাঁচটি টেস্ট খেলতে হয়, তাহলে নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি টেস্টে সবাই যেন সেরা অবস্থায় থাকে।’
চার না পাঁচটি পরিবর্তন, জানতে অপেক্ষা করতে হবে শেষ সময় পর্যন্ত। তবে অনেকটাই নিশ্চিত মিচেল জনসনের ফেরা। কদিন আগেও অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র, গত বছরের আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটার জনসন ব্রিসবেনে কোনো উইকেট না পাওয়ার পর বাদ পড়েছিলেন। বাজে ফর্মের জন্য বাদ পড়েছেন, এত দিন সবাই এটাই জানত। কাল জনসনের ব্যাপারে মেজো চ্যাপেল শোনালেন বিশ্রাম-তত্ত্ব, ‘আমরা অনেক আগেই ঠিক করেছিলাম যে দ্বিতীয় টেস্টে মিচকে খেলানো হবে না। কারণ, আমাদের মনে হয়েছিল সিডল, হ্যারিস ও বলিঞ্জারই কন্ডিশনকে বেশি কাজে লাগাতে পারবে। মিচ অবশ্যই ভালো করেনি, তবে আমাদের মাথায় কন্ডিশনের সঙ্গে সবাইকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর ব্যাপারটাই ছিল।’বিশ্রামেই থাকুন বা বাদ পড়ুন, দল থেকে বাইরে থাকার সময়টুকু ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন জনসন। অ্যাশেজ শুরুর আগেই তাঁর অ্যাকশনে সামান্য ত্রুটির কথা বলেছিলেন সাবেক অস্ট্রেলীয় পেসার ডেমিয়েন ফ্লেমিং। গত কয়েক দিনে বোলিং কোচ ট্রয় কুলির সঙ্গে অ্যাকশন নিয়ে কাজ করেছেন জনসন। কুলির ধারণা, এবার নিজেকে ফিরে পাবেন জনসন। বাঁহাতি পেসারের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখছেন অধিনায়ক রিকি পন্টিংও।
ইংল্যান্ডের তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে নবজাতক ছেলেকে দেখে জেমস অ্যান্ডারসনের ফিরে আসা ও মাঠের বাইরে কেভিন পিটারসেনের নানা কীর্তিতে প্রস্তুতিটা আশানুরূপ হয়নি বলে একটু অসন্তুষ্ট কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ইংল্যান্ডের মূল প্রতিপক্ষ ইতিহাস। পার্থের ওয়াকায় ১১ টেস্ট খেলে ইংল্যান্ডের মাত্র একটিই জয়, সেটিও ১৯৭৮ সালে ওয়ার্ল্ড সিরিজ ঝড়ে ছন্নছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তবে স্ট্রাউসরা তো নতুন ইতিহাস লেখার প্রতিজ্ঞা নিয়েই এবার অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন!
আর যদি বিয়ার-জনসন-হিলফেনহস তিনজনই থাকেন একাদশে? তা হলে ফিরে যেতে হবে ৩২ বছর পেছনে। এক সিরিজের দুই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে সর্বশেষ পাঁচটি পরিবর্তন হয়েছিল ১৯৭৮ সালে ভারতের বিপক্ষে অ্যাডিলেড টেস্টে!
একসময় অস্ট্রেলিয়া দলে একটা পরিবর্তন হলেই সেটি হতো বড় খবর। একাদশ যেমন অনেকটা নিশ্চিত ছিল, কে চোট পেলে কে খেলবেন, এটাও একরকম জানাই ছিল। অস্ট্রেলীয় নির্বাচকদের কাজটাও সহজই ছিল তখন। দুঃসময় এসে অস্ট্রেলীয় নির্বাচকদের অস্থিরচিত্ততার কথাও জানিয়ে যাচ্ছে। নইলে কি আর দুই টেস্টে পাঁচটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা জাগে!
ব্যর্থতার কারণে বাদ দেওয়ার এক টেস্ট পরই হিলফেনহস-জনসনদের যে অন্যদের ব্যর্থতার কারণেই আবার ফেরানো হয়েছে, সাধারণ্যে ধারণা এটাই। ফর্ম হারিয়ে ফেলা যদি বাদ দেওয়ার কারণ হয়, মাঝখানে ফর্ম ফিরে পাওয়ার প্রমাণটা কোথায় পাওয়া গেল? সবকিছুতেই অস্ট্রেলিয়ার দিশেহারা ভাবের প্রকাশ। তবে অন্যতম নির্বাচক গ্রেগ চ্যাপেল তা মানতে রাজি নন, ‘ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে দলে পরিবর্তন আনার কথা আমরা অনেক আগেই ভেবে রেখেছিলাম। সাত সপ্তাহে যদি পাঁচটি টেস্ট খেলতে হয়, তাহলে নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি টেস্টে সবাই যেন সেরা অবস্থায় থাকে।’
চার না পাঁচটি পরিবর্তন, জানতে অপেক্ষা করতে হবে শেষ সময় পর্যন্ত। তবে অনেকটাই নিশ্চিত মিচেল জনসনের ফেরা। কদিন আগেও অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র, গত বছরের আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটার জনসন ব্রিসবেনে কোনো উইকেট না পাওয়ার পর বাদ পড়েছিলেন। বাজে ফর্মের জন্য বাদ পড়েছেন, এত দিন সবাই এটাই জানত। কাল জনসনের ব্যাপারে মেজো চ্যাপেল শোনালেন বিশ্রাম-তত্ত্ব, ‘আমরা অনেক আগেই ঠিক করেছিলাম যে দ্বিতীয় টেস্টে মিচকে খেলানো হবে না। কারণ, আমাদের মনে হয়েছিল সিডল, হ্যারিস ও বলিঞ্জারই কন্ডিশনকে বেশি কাজে লাগাতে পারবে। মিচ অবশ্যই ভালো করেনি, তবে আমাদের মাথায় কন্ডিশনের সঙ্গে সবাইকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর ব্যাপারটাই ছিল।’বিশ্রামেই থাকুন বা বাদ পড়ুন, দল থেকে বাইরে থাকার সময়টুকু ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন জনসন। অ্যাশেজ শুরুর আগেই তাঁর অ্যাকশনে সামান্য ত্রুটির কথা বলেছিলেন সাবেক অস্ট্রেলীয় পেসার ডেমিয়েন ফ্লেমিং। গত কয়েক দিনে বোলিং কোচ ট্রয় কুলির সঙ্গে অ্যাকশন নিয়ে কাজ করেছেন জনসন। কুলির ধারণা, এবার নিজেকে ফিরে পাবেন জনসন। বাঁহাতি পেসারের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখছেন অধিনায়ক রিকি পন্টিংও।
ইংল্যান্ডের তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে নবজাতক ছেলেকে দেখে জেমস অ্যান্ডারসনের ফিরে আসা ও মাঠের বাইরে কেভিন পিটারসেনের নানা কীর্তিতে প্রস্তুতিটা আশানুরূপ হয়নি বলে একটু অসন্তুষ্ট কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ইংল্যান্ডের মূল প্রতিপক্ষ ইতিহাস। পার্থের ওয়াকায় ১১ টেস্ট খেলে ইংল্যান্ডের মাত্র একটিই জয়, সেটিও ১৯৭৮ সালে ওয়ার্ল্ড সিরিজ ঝড়ে ছন্নছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তবে স্ট্রাউসরা তো নতুন ইতিহাস লেখার প্রতিজ্ঞা নিয়েই এবার অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন!
No comments