মাজেম্বের আফ্রিকান ইতিহাস
চার বছর আগে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে বার্সেলোনাকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল ইন্টারন্যাসিওনাল। কাল ব্রাজিলের ক্লাবটি নিজেরাই চমকের শিকার। প্রথম সেমিফাইনালে তাদের ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে মাজেম্বে। যে টুর্নামেন্টের ফাইনালটা ইউরোপিয়ান আর দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নদের মধ্যেই হওয়ার ‘নিয়ম’, সেখানে এই প্রথম ফাইনালে কোনো আফ্রিকান ক্লাব। এএফপি, রয়টার্স।
ক্লাব বিশ্বকাপের সাতটি আসরের সবচেয়ে বড় অঘটন এটিই। দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে আফ্রিকান ক্লাব ফুটবলের চ্যাম্পিয়নের ব্যবধানই শুধু নয়, ইন্টারন্যাসিওনাল প্রতিনিধিত্ব করেছে ব্রাজিলের, মাজেম্বে কঙ্গোর। শক্তির ব্যবধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাজেম্বেকে ঐতিহাসিক এক জয় এনে দিল দ্বিতীয়ার্ধে মুলোতা কাবাংগু ও দিয়োকো কালুইতুকার গোল।
ফিফার ছয়টি মহাদেশীয় অঞ্চলের ক্লাব-শ্রেষ্ঠ দলগুলোর এই টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাবগুলোর আধিপত্য। প্রথম তিনবার আবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিলেরই তিন ক্লাব, বাকি চারবার রানার্সআপও দক্ষিণ আমেরিকান কোনো ক্লাবই। ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ইন্টারন্যাসিওনাল এবার আবুধাবিতে এসেছিল প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয়বার এই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে।
স্বপ্ন ভেঙে যেতে দেখে স্টেডিয়ামেই কাঁদলেন সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে প্রিয় দলকে উৎসাহ জোগাতে আসা ব্রাজিলিয়ানরা। আফ্রিকান সমর্থকেরা তখন দলের মতোই বিচিত্র সব উদ্যাপনে মত্ত।
৫২ মিনিটে প্রথম গোলটি করিয়েছেন, ইন্টারন্যাসিওনালের আশা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া গোলটিও তাঁর। তবে ম্যাচের একমাত্র নায়ক কালুইতুকা নন। মাটিতে বসে ব্যাঙের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে উদ্যাপনের জন্য কালই নজরকাড়া গোলরক্ষক মুতেবা কিদিয়াবাও বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ না করলে ইতিহাস গড়া হতো না মাজেম্বের। এত দিন আফ্রিকান কোনো দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল ২০০৭-এর আসরে সেমিফাইনাল খেলা।
১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালেও বড় কোনো চমক নিয়ে কঙ্গোর দলটি বসে আছে কি না, সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আরেক ‘ইন্টার’কে বধ করার সুযোগ তারা পাবে কি না, এটি জানার অপেক্ষায় আছে মাজেম্বেও। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন সিয়ংনাম।
ইন্টার মিলান অবশ্যই ফেবারিট। কাল সিয়ংনাম কোচ শিন তায়ে-ইয়ং বলেছিলেন, তিনি তাকিয়ে আছেন অলৌকিক কিছু ঘটার অপেক্ষায়, ‘আগামীকাল আমাদের জেতার সম্ভাবনা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ, ইন্টারের ৬০ থেকে ৭০। ১ শতাংশ সম্ভাবনার মধ্যে থেকেও কিন্তু অলৌকিক কিছু ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৩০-৪০ তো অনেক বড় ব্যাপার।’
কাল আরেক ‘খুদে’ দলের চমক দেখার পর শিন নিশ্চয়ই পেয়ে গেছেন নতুন প্রেরণা। ইউরোপিয়ান আর দক্ষিণ আমেরিকান দলবিহীন প্রথম ফাইনালটি এবার হচ্ছে কি না, সেটি বলে দেবে আজকের ম্যাচ। তবে এরই মধ্যে একটা সুখবর পেয়েছেন চাপের মধ্যে থাকা ইন্টার কোচ রাফায়েল বেনিতেজ। মিলিতো-স্নাইডার-হুলিও সিজারদের এই টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে সর্বশেষ যা খবর, এই তিনজনকেই আজ পেতে পারে ইন্টার।
ক্লাব বিশ্বকাপের সাতটি আসরের সবচেয়ে বড় অঘটন এটিই। দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে আফ্রিকান ক্লাব ফুটবলের চ্যাম্পিয়নের ব্যবধানই শুধু নয়, ইন্টারন্যাসিওনাল প্রতিনিধিত্ব করেছে ব্রাজিলের, মাজেম্বে কঙ্গোর। শক্তির ব্যবধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাজেম্বেকে ঐতিহাসিক এক জয় এনে দিল দ্বিতীয়ার্ধে মুলোতা কাবাংগু ও দিয়োকো কালুইতুকার গোল।
ফিফার ছয়টি মহাদেশীয় অঞ্চলের ক্লাব-শ্রেষ্ঠ দলগুলোর এই টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাবগুলোর আধিপত্য। প্রথম তিনবার আবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিলেরই তিন ক্লাব, বাকি চারবার রানার্সআপও দক্ষিণ আমেরিকান কোনো ক্লাবই। ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ইন্টারন্যাসিওনাল এবার আবুধাবিতে এসেছিল প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয়বার এই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে।
স্বপ্ন ভেঙে যেতে দেখে স্টেডিয়ামেই কাঁদলেন সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে প্রিয় দলকে উৎসাহ জোগাতে আসা ব্রাজিলিয়ানরা। আফ্রিকান সমর্থকেরা তখন দলের মতোই বিচিত্র সব উদ্যাপনে মত্ত।
৫২ মিনিটে প্রথম গোলটি করিয়েছেন, ইন্টারন্যাসিওনালের আশা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া গোলটিও তাঁর। তবে ম্যাচের একমাত্র নায়ক কালুইতুকা নন। মাটিতে বসে ব্যাঙের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে উদ্যাপনের জন্য কালই নজরকাড়া গোলরক্ষক মুতেবা কিদিয়াবাও বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ না করলে ইতিহাস গড়া হতো না মাজেম্বের। এত দিন আফ্রিকান কোনো দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল ২০০৭-এর আসরে সেমিফাইনাল খেলা।
১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালেও বড় কোনো চমক নিয়ে কঙ্গোর দলটি বসে আছে কি না, সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আরেক ‘ইন্টার’কে বধ করার সুযোগ তারা পাবে কি না, এটি জানার অপেক্ষায় আছে মাজেম্বেও। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন সিয়ংনাম।
ইন্টার মিলান অবশ্যই ফেবারিট। কাল সিয়ংনাম কোচ শিন তায়ে-ইয়ং বলেছিলেন, তিনি তাকিয়ে আছেন অলৌকিক কিছু ঘটার অপেক্ষায়, ‘আগামীকাল আমাদের জেতার সম্ভাবনা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ, ইন্টারের ৬০ থেকে ৭০। ১ শতাংশ সম্ভাবনার মধ্যে থেকেও কিন্তু অলৌকিক কিছু ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৩০-৪০ তো অনেক বড় ব্যাপার।’
কাল আরেক ‘খুদে’ দলের চমক দেখার পর শিন নিশ্চয়ই পেয়ে গেছেন নতুন প্রেরণা। ইউরোপিয়ান আর দক্ষিণ আমেরিকান দলবিহীন প্রথম ফাইনালটি এবার হচ্ছে কি না, সেটি বলে দেবে আজকের ম্যাচ। তবে এরই মধ্যে একটা সুখবর পেয়েছেন চাপের মধ্যে থাকা ইন্টার কোচ রাফায়েল বেনিতেজ। মিলিতো-স্নাইডার-হুলিও সিজারদের এই টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে সর্বশেষ যা খবর, এই তিনজনকেই আজ পেতে পারে ইন্টার।
No comments