নথি প্রকাশ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার অ্যাসাঞ্জের (প্রথম আলোর সৌজন্যে)

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি-ধমকি সত্ত্বেও গোপন নথি প্রকাশের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। কারাবন্দী অবস্থায় মা ক্রিস্টিন অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অ্যাসাঞ্জকে গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটেনের আদালতে হাজির করার কথা। সাত দিন ধরে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
তাঁর আইনজীবীরা জামিনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোপন বার্তা প্রকাশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার সেভেন নেটওয়ার্ক টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, মা ক্রিস্টিন তাঁর ছেলে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে টেলিফোনে ১০ মিনিট কথা বলেছেন। মা ক্রিস্টিনকে অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, ‘আমি সত্যের পথে অবিচল আছি। বর্তমান পরিস্থিতি আমাকে আমার অবস্থান থেকে টলাতে পারবে না। বরং এসব ঘটনা আমাকে কাজের প্রতি আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করেছে।’
অ্যাসাঞ্জ তাঁর ওয়েবসাইটে অনুদান বন্ধের জন্য ভিসা, মাস্টারকার্ড ও পেপ্যালের নিন্দা জানান। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সহায়ক পুতুল হিসেবে কাজ করে। এটা নতুন কোনো বিষয় নয়। তিনি এমন আইনবহির্ভূত কাজ থেকে নিজেকে ও উইকিলিকস-সংশ্লিষ্টদের রক্ষা করতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
ক্রিস্টিন বলেন, তিনি অ্যাসাঞ্জকে জানিয়েছেন, তাঁর প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি একজন মা। মা হিসেবে সাহসী ছেলের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমি।’
ধর্ষণের অভিযোগে সুইডিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন অ্যাসাঞ্জ। তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অ্যাসাঞ্জ অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সুইডেনের আইন অনুযায়ী অ্যাসাঞ্জের ছয় বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী মার্ক স্টিফেন্স স্কাই নিউজকে বলেন, ‘আমরা আশা করি আদালত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জামিন মঞ্জুর করবেন।’ তিনি জানান, আদালতে অ্যাসাঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করবেন জেওফ্রি রবার্টসন। তিনি সিয়েরালিওনে জাতিসংঘের বিশেষ আদালতে বিচারক ছিলেন। রবার্টসন সাবেক ভিন্নমতাবলম্বী লেখক সালমান রুশদিরও আইনজীবী ছিলেন।
গত মাসের শেষদিকে মার্কিন কূটনীতির আড়াই লাখ গোপন তারবার্তা প্রকাশ শুরু করে উইকিলিকস। এর আগে উইকিলিকস ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও অনেক গোপন নথি প্রকাশ করে। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয় ওয়াশিংটন। অ্যাসাঞ্জের অভিযোগ, ক্ষুব্ধ ওয়াশিংটনের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি।
টাইমের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ হচ্ছেন অ্যাসাঞ্জ?
উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচনের অনলাইন জরিপে সর্বাধিক ভোট পেয়ে প্রথম স্থানে উঠে এসেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে ওই খেতাবে ভূষিত করা হবে কি না, সে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অ্যাসাঞ্জকে ওই খেতাব দেওয়ার বিষয়ে টাইমের সম্পাদকেরা শেষ মুহূর্তেও চিন্তাভাবনা করছেন। আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণার কথা।
টাইম বলেছে, অনলাইন জরিপে অ্যাসাঞ্জ পেয়েছেন তিন লাখ ৮২ হাজার ২০ ভোট। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২৭ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন। ভোটে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তাইয়িপ এরদোগান। তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৮ ভোট। পপস্টার লেডি গাগা এক লাখ ৪৬ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
টাইম বলেছে, ২০১০ সালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও আলোচিত ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা পাঠকদের মতামত জানতে চেয়ে ওই ভোট নেয়। এতে মোট ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪২৫টি ভোট পড়েছে।
অ্যাসাঞ্জের সমালোচকেরা বলেছেন, সর্বোচ্চ ভোট পেলেও তাঁকে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা ঠিক হবে না। তাঁদের মতে, অ্যাসাঞ্জ অতি গোপনীয় ও সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করে সন্ত্রাসীদের মতো কাজ করেছেন। তাঁকে এ খেতাব দেওয়া হলে এক অর্থে তাঁর কর্মকাণ্ডকে সমর্থন জানানো হবে। অন্যদিকে অ্যাসাঞ্জ সমর্থকেরা তাঁকে সত্ ও সাহসী সাংবাদিক মনে করেন। পিটিআই, ডোমেইন বি ডট কম।
==========================
ছিটমহলবাসীর নাগরিক অধিকার  শিক্ষা আসলে কোনটা  জীবন ব্যাকরণঃ হিরালি  ন্যাটো ও রাশিয়ার সমঝোতা ইরানের ওপর কি প্রভাব ফেলবে  জার্নি বাই ট্রেন  পারিষদদলে বলেঃ  চরাঞ্চলের ভূমি ব্যবস্থাপনা  সচেতন হলে শিশু প্রতিবন্ধী হয় না  স্মৃতির জানালায় বিজয়ের মাস  বিচারপতিদের সামনে যখন ‘ঘুষ’  কয়লানীতিঃ প্রথম থেকে দশম খসড়ার পূর্বাপর  শ্বাপদসংকুল পথ  মুক্তিযুদ্ধে গ্রাম  ১২ বছর আগে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে  চট্টগ্রাম ইপিজেডে সংঘর্ষে নিহত ৪  ড. ইউনূস : প্রতিটি বাংলাদেশির গৌরব  জলাভূমিবাসীদের দুনিয়ায় আবার..  আসুন, আমরা গর্বিত নাগরিক হই  স্মৃতির শহীদ মির্জা লেন  ইয়াংওয়ান গ্রুপের পোশাক কারখানা বন্ধ  ট্রানজিটে ১১ খাতের লাভ-ক্ষতির হিসাব শুরু  চট্টগ্রামের বনাঞ্চল ছাড়ছে হাতি  ট্রেন  স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি  মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের বিচার  মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশে দেশে  ক্ষমতা যেভাবে মানবাধিকার আর ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করে  চাক্কু মারা 'মশা' কাহিনী  উল্কির ভেলকি  এইচআইভি/এইডস্  উইকিলিকসঃ জুলিয়ান চে গুয়েভারা!  তিন কালের সাক্ষী  বাবর আলীর ইশকুল  এ মাটির মায়ায়  মধ্যবিত্তের উত্থান, না ভোক্তাশ্রেণীর উদ্ভব  হিমালয়ের পায়ের কাছেঃ গোধূলির ছায়াপথে  পতিত স্বৈরাচারের আস্ফালন ও আওয়ামী লীগের নীরবতা  ৪০ বছর পড়ে থাকা লাশটার সৎকার করতে চাই


দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে

এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.