অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেন বেরলুসকোনি
ইতালির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি। গতকাল মঙ্গলবার পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে অনুষ্ঠিত অনাস্থা ভোটে জয়লাভ করেন তিনি। ১৬ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এবারই সবচেয়ে কঠিন সংকট উতরে গেলেন তিনি। পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোট সামনে রেখে গতকাল রাজধানী রোমসহ বড় বড় শহরে হাজার হাজার মানুষ সরকার পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে বোতল ও পটকা ছুড়ে মারে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে গতকালের ভোটাভুটিতে বেরলুসকোনির মধ্য ডানপন্থী সরকারের পক্ষে ১৬২ ভোট পড়ে। বিপক্ষে পড়ে ১৩৫ ভোট। এই প্রাথমিক ভোটের পর বেরলুসকোনির পরিবার-নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম কোম্পানি মিডিয়াসেটের শেয়ারগুলো হারানো অবস্থান ফিরে পায়। নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক পর্যায়ে উন্নীত হয় কোম্পানির ব্যবসা। পরে নিম্নকক্ষে অনুষ্ঠিত ভোটে ৬৩০টি আসনের মধ্যে ৩১৪ জন আইনপ্রণেতা বেরলুসকোনির পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে পড়ে ৩১১ ভোট।
বেরলুসকোনির বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৩ সাল পর্যন্ত হলেও বছরের শুরুতে জোটে ভাঙন ধরলে তিনি বেকায়দায় পড়েন। তাঁর দীর্ঘদিনের মিত্র পার্লামেন্টের স্পিকার জানফ্রাঙ্কো ফিনি ৪০ জন আইনপ্রণেতাসহ ক্ষমতাসীন জোট ত্যাগ করেন। এতে সরকারের টিকে থাকা নিয়ে সংকটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে পার্লামেন্টে এই অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে হেরে গেলে বেরলুসকোনিকে পদত্যাগ করতে হতো। সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট জর্জো নাপোলিতানো নতুন সরকারের নাম ঘোষণা করতেন। তা না হলে নতুন করে নির্বাচন হতো। সরকার পরিবর্তনের দাবিতে গতকাল রোমসহ বড় বড় শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কেবল রোমেই প্রায় এক লাখ লোক বিক্ষোভ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বেলে বেরলুসকোনি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামাতে গেলে তাদেরদিকে বোতল ও পটকা ছুড়ে মারা হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আন্দ্রিয়া নামের একজন স্কুলছাত্রী বলে, ‘বেরলুসকোনির ভুলের তালিকা করলে তা অনেক লম্বা হয়ে যাবে! তবে আসল কথাটি হচ্ছে, তিনি অর্থনৈতিক সংকট সামলে উঠতে পারছেন না।’সিলভিয়া নামের একজন শিক্ষক বলেন, বেরলুসকোনির আমলে তরুণ জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ বলে কিছু দেখছি না।
বেরলুসকোনির বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৩ সাল পর্যন্ত হলেও বছরের শুরুতে জোটে ভাঙন ধরলে তিনি বেকায়দায় পড়েন। তাঁর দীর্ঘদিনের মিত্র পার্লামেন্টের স্পিকার জানফ্রাঙ্কো ফিনি ৪০ জন আইনপ্রণেতাসহ ক্ষমতাসীন জোট ত্যাগ করেন। এতে সরকারের টিকে থাকা নিয়ে সংকটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে পার্লামেন্টে এই অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে হেরে গেলে বেরলুসকোনিকে পদত্যাগ করতে হতো। সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট জর্জো নাপোলিতানো নতুন সরকারের নাম ঘোষণা করতেন। তা না হলে নতুন করে নির্বাচন হতো। সরকার পরিবর্তনের দাবিতে গতকাল রোমসহ বড় বড় শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কেবল রোমেই প্রায় এক লাখ লোক বিক্ষোভ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বেলে বেরলুসকোনি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামাতে গেলে তাদেরদিকে বোতল ও পটকা ছুড়ে মারা হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আন্দ্রিয়া নামের একজন স্কুলছাত্রী বলে, ‘বেরলুসকোনির ভুলের তালিকা করলে তা অনেক লম্বা হয়ে যাবে! তবে আসল কথাটি হচ্ছে, তিনি অর্থনৈতিক সংকট সামলে উঠতে পারছেন না।’সিলভিয়া নামের একজন শিক্ষক বলেন, বেরলুসকোনির আমলে তরুণ জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ বলে কিছু দেখছি না।
No comments