মঙ্গলে আজীবনের জন্য পাঠানো হবে মানুষ
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা নতুন একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের চিন্তাভাবনা করছে। এই প্রকল্পের আওতায় নভোচারীদের মঙ্গল গ্রহে নিয়ে গিয়ে আর ফেরত আনা হবে না। আজীবনের জন্য সেখানে তাঁদের রেখে আসা হবে। ব্যতিক্রমী এ প্রকল্পটির নাম ‘হান্ড্রেড ইয়ার্স স্টারশিপ’।
নাসার প্রধান গবেষণা কেন্দ্র ‘অ্যামিস রিসার্চ সেন্টার’-এর পরিচালক পেটি ওয়ার্ডেন জানান, এ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে অ্যামিস রিসার্চ সেন্টার এরই মধ্যে ১০ লাখ ডলার পেয়েছে।
ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বলেছেন, প্রযুক্তিগত কারণে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ। প্রযুক্তি হাতে পেলে দীর্ঘমেয়াদে দূর গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপনের সূচনা করা যাবে। ভিন্ন কোনো গ্রহে বসতি স্থাপনের জন্য মঙ্গলই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় গ্রহ। কেননা, পৃথিবীর সঙ্গে এ গ্রহের অনেক মিল রয়েছে। মঙ্গলে মাঝারি মাত্রার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি, বায়ুমণ্ডল, প্রচুর পানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং প্রয়োজনীয় মাত্রার খনিজ সম্পদ রয়েছে।
ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ডার্ক স্কালজ-ম্যাকুচ বলেন, প্রথমে চারজন নভোচারীকে দুটি মহাকাশযানে করে পাঠানো যেতে পারে। প্রতিটি মহাকাশযানে থাকবেন দুজন নভোচারী।
অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ পল ডেভিস বলেন, এ প্রকল্পের মানে এই নয় যে, বিজ্ঞানের স্বার্থে নভোচারীদের সেখানে ফেলে আসা হবে। প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘমেয়াদে মানুষের উপনিবেশ গড়ে তুলতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গলে সিরিজ অভিযান চালানো হবে।
বিজ্ঞানীরা বলেন, মঙ্গলে যাওয়া নভোচারীদের জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর পৃথিবী থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানো হবে। একই সঙ্গে মঙ্গলের সম্পদকে কাজে লাগিয়ে চাষাবাদ ও সেই সম্পদের সদ্ব্যবহার করার বিষয়টি ক্রমাগতভাবে নিশ্চিত করা হবে। এর মাধ্যমে মঙ্গলের নভোচারীরা একদিন আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবেন এবং সেখানে মানুষের উপনিবেশ বিস্তৃতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবেন।
প্রথম দিকে মানুষের উপনিবেশ স্থাপনের জন্য মঙ্গলের একটি যথোপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা হবে, যেখানে থাকবে বরফ গহ্বর অথবা পানি, খনিজ পদার্থের মতো প্রাকৃতিক সম্পদ।
অধ্যাপক স্কালজ-ম্যাকুচ বলেন, পানি ও অক্সিজেনের চাহিদা মেটাবে এই বরফগহ্বর। মঙ্গলে ওজোনস্তর নেই। তাই অতি বেগুনি রশ্মি প্রতিরোধেও এই বরফগহ্বর ভূমিকা পালন করবে। তা ছাড়া লাল এই গ্রহে কোনো মহাবিপর্যয় ঘটলে নভোচারীদের জন্য লাইফবোটের ব্যবস্থা করা হবে।
ম্যাকুচ ও পল ডেভিস উভয়েই স্বীকার করেছেন, আন্তর্জাতিক সাহায্য ছাড়া এ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এ কাজে ঝুঁকিও রয়েছে। তাঁরা জানান, এক জরিপে দেখা গেছে, অনেকেই স্বেচ্ছায় এ অভিযানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের কেউ কৌতূহল মেটাতে, কেউ অ্যাডভেঞ্চার আবার কেউ বা মানবজাতি রক্ষার চেতনা থেকে দূর মঙ্গলে যেতে চান।
নাসার প্রধান গবেষণা কেন্দ্র ‘অ্যামিস রিসার্চ সেন্টার’-এর পরিচালক পেটি ওয়ার্ডেন জানান, এ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে অ্যামিস রিসার্চ সেন্টার এরই মধ্যে ১০ লাখ ডলার পেয়েছে।
ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বলেছেন, প্রযুক্তিগত কারণে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ। প্রযুক্তি হাতে পেলে দীর্ঘমেয়াদে দূর গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপনের সূচনা করা যাবে। ভিন্ন কোনো গ্রহে বসতি স্থাপনের জন্য মঙ্গলই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় গ্রহ। কেননা, পৃথিবীর সঙ্গে এ গ্রহের অনেক মিল রয়েছে। মঙ্গলে মাঝারি মাত্রার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি, বায়ুমণ্ডল, প্রচুর পানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং প্রয়োজনীয় মাত্রার খনিজ সম্পদ রয়েছে।
ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ডার্ক স্কালজ-ম্যাকুচ বলেন, প্রথমে চারজন নভোচারীকে দুটি মহাকাশযানে করে পাঠানো যেতে পারে। প্রতিটি মহাকাশযানে থাকবেন দুজন নভোচারী।
অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ পল ডেভিস বলেন, এ প্রকল্পের মানে এই নয় যে, বিজ্ঞানের স্বার্থে নভোচারীদের সেখানে ফেলে আসা হবে। প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘমেয়াদে মানুষের উপনিবেশ গড়ে তুলতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গলে সিরিজ অভিযান চালানো হবে।
বিজ্ঞানীরা বলেন, মঙ্গলে যাওয়া নভোচারীদের জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর পৃথিবী থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানো হবে। একই সঙ্গে মঙ্গলের সম্পদকে কাজে লাগিয়ে চাষাবাদ ও সেই সম্পদের সদ্ব্যবহার করার বিষয়টি ক্রমাগতভাবে নিশ্চিত করা হবে। এর মাধ্যমে মঙ্গলের নভোচারীরা একদিন আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবেন এবং সেখানে মানুষের উপনিবেশ বিস্তৃতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবেন।
প্রথম দিকে মানুষের উপনিবেশ স্থাপনের জন্য মঙ্গলের একটি যথোপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা হবে, যেখানে থাকবে বরফ গহ্বর অথবা পানি, খনিজ পদার্থের মতো প্রাকৃতিক সম্পদ।
অধ্যাপক স্কালজ-ম্যাকুচ বলেন, পানি ও অক্সিজেনের চাহিদা মেটাবে এই বরফগহ্বর। মঙ্গলে ওজোনস্তর নেই। তাই অতি বেগুনি রশ্মি প্রতিরোধেও এই বরফগহ্বর ভূমিকা পালন করবে। তা ছাড়া লাল এই গ্রহে কোনো মহাবিপর্যয় ঘটলে নভোচারীদের জন্য লাইফবোটের ব্যবস্থা করা হবে।
ম্যাকুচ ও পল ডেভিস উভয়েই স্বীকার করেছেন, আন্তর্জাতিক সাহায্য ছাড়া এ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এ কাজে ঝুঁকিও রয়েছে। তাঁরা জানান, এক জরিপে দেখা গেছে, অনেকেই স্বেচ্ছায় এ অভিযানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের কেউ কৌতূহল মেটাতে, কেউ অ্যাডভেঞ্চার আবার কেউ বা মানবজাতি রক্ষার চেতনা থেকে দূর মঙ্গলে যেতে চান।
No comments