বৈমানিকদের কর্মবিরতি ও বিপর্যস্ত বিমান - দায় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের, ওপরের হস্তক্ষেপ জরুরি
বিমান চলছে না। শুধু উড়োজাহাজ নয়, প্রতিষ্ঠানটিই আসলে চলছে না। ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ত্রুটি ও অদক্ষতা রয়েছে বলেই একের পর এক সমস্যায় বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন চলছে পাইলটদের কর্মবিরতি, এর কোনো সময়সীমাও নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের যে আচরণ দেখা যাচ্ছে, তাতে দায়িত্বশীলতার চেয়ে একগুঁয়ে ও অপেশাদার মনোভাবই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এ ধরনের ব্যবস্থাপনা দিয়ে বিমানের মতো একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।
বর্তমান সমস্যার শুরু বৈমানিকদের অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে। বিমান কর্তৃপক্ষ অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে বৈমানিকদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) তা বাতিলের দাবি জানায়। বাপা তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি পুনর্নির্ধারণের দাবি তোলে। বিষয়টি খুবই সামান্য এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে খুব সহজেই সমাধান করা যেত। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ যে পথ বেছে নিয়েছে, তা কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আচরণ হতে পারে না। পরিস্থিতি এখন এমন হয়েছে যে একদিকে বৈমানিকেরা কর্মবিরতি করছেন আর অন্যদিকে বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নিয়ে বসে আছে, আলাপ-আলোচনা বা সমঝোতার পথে যাচ্ছে না।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিমানকে কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটিকে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা ও লাভজনক করার জন্য। কিন্তু ব্যবস্থাপনার ধরন আগের মতো রয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ কমেছে কিন্তু একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মতো যোগ্য পরিচালনা পরিষদ গঠিত না হওয়ায় দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। অন্যদিকে, এ ধরনের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য একজন পেশাদার সিইও বা প্রধান নির্বাহী প্রয়োজন হলেও প্রতিষ্ঠানটিতে পুরোনো আমলাতান্ত্রিকতা রয়েই গেছে।
এটা স্পষ্ট, বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের অদক্ষতার কারণেই এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিমান একটি শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। ব্যবস্থাপকদের ব্যর্থতায় এ ধরনের অচলাবস্থা চলতে থাকবে, ফ্লাইট বিপর্যস্ত হবে, যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাবে—তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যেহেতু নিজেদের যোগ্যতায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই এখন সরকারের আরও উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে বিলম্ব করার কোনো সুযোগ নেই।
বর্তমান সমস্যার শুরু বৈমানিকদের অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে। বিমান কর্তৃপক্ষ অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে বৈমানিকদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) তা বাতিলের দাবি জানায়। বাপা তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি পুনর্নির্ধারণের দাবি তোলে। বিষয়টি খুবই সামান্য এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে খুব সহজেই সমাধান করা যেত। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ যে পথ বেছে নিয়েছে, তা কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আচরণ হতে পারে না। পরিস্থিতি এখন এমন হয়েছে যে একদিকে বৈমানিকেরা কর্মবিরতি করছেন আর অন্যদিকে বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নিয়ে বসে আছে, আলাপ-আলোচনা বা সমঝোতার পথে যাচ্ছে না।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিমানকে কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটিকে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা ও লাভজনক করার জন্য। কিন্তু ব্যবস্থাপনার ধরন আগের মতো রয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ কমেছে কিন্তু একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মতো যোগ্য পরিচালনা পরিষদ গঠিত না হওয়ায় দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। অন্যদিকে, এ ধরনের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য একজন পেশাদার সিইও বা প্রধান নির্বাহী প্রয়োজন হলেও প্রতিষ্ঠানটিতে পুরোনো আমলাতান্ত্রিকতা রয়েই গেছে।
এটা স্পষ্ট, বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের অদক্ষতার কারণেই এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিমান একটি শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। ব্যবস্থাপকদের ব্যর্থতায় এ ধরনের অচলাবস্থা চলতে থাকবে, ফ্লাইট বিপর্যস্ত হবে, যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাবে—তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যেহেতু নিজেদের যোগ্যতায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই এখন সরকারের আরও উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে বিলম্ব করার কোনো সুযোগ নেই।
No comments