গঠনতন্ত্র সংশোধনীর আলোচনা হবে
আলোচ্য বিষয় আরও থাকলেও মূলত গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়ে আলোচনার জন্যই ডাকা হয়েছিল বিসিবির আজকের পরিচালনা পর্ষদের সভা। কিন্তু ওয়েকা বিচ ক্রিকেট উপলক্ষে কাল রাত থেকে বোর্ডের অনেক পরিচালকই কক্সবাজারমুখী হয়ে পড়ায় আজকের সভায় সংশোধনী নিয়ে আলোচনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সংশোধনী প্রস্তাব উঠুক না-উঠুক, পর্ষদের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ উপস্থিত থাকলে সভাটি হবে।
উপানুচ্ছেদ ২.২১ এবং ১৪.১ (ফ)-এর কারণে বিতর্কিত হয়ে পড়েছে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী। ২.২১-এ বর্তমান সিইও পদের জায়গায় সিওও পদের প্রস্তাব আনা হয়েছে। আর ১৪.১ (ফ) অনুযায়ী জাতীয় দলের চূড়ান্ত অনুমোদনের পাশাপাশি দল মনোনয়ন বা নির্বাচনের এখতিয়ারও চলে যায় পরিচালনা পর্ষদের আওতাধীন।
সিইওর জায়গায় সিওও পদ সৃষ্টির বিপক্ষে এর মধ্যেই বোর্ড সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল তাঁর কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। পেশাদার ক্রিকেট বোর্ডের স্বার্থে তিনি বিসিবিতে সিইও রাখার পক্ষে এবং এ ধারণাটিই বিশ্ব ক্রিকেট-স্বীকৃত। জানা গেছে, সভাপতি তাঁর এই অবস্থানে এখনো অটল এবং বোর্ডের বেশির ভাগ সদস্যও চান সিইও পদ বহাল থাকুক। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে সিওও আছে কেবল পাকিস্তানে। আর পাকিস্তান ক্রিকেটের হ-য-ব-র-ল প্রশাসনের কথা কে না জানে?
সংশোধনী প্রস্তাব তৈরি করা বিসিবির গঠনতন্ত্র কমিটির প্রধান দেওয়ান শফিউল আরেফিন অবশ্য কাল আর সিইও-সিওও বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইলেন না, ‘বিষয়টা নিয়ে বোর্ড সভাপতি তাঁর আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানিয়েছেন। এরপর এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কোরাম পূর্ণ হলে বোর্ড সভায় প্রস্তাবটি উঠবে এবং আলোচনা হবে।’
উপানুচ্ছেদ ১৪.১ (ফ)-এর প্রস্তাব নিয়ে বিভ্রান্তির কারণ বলা হচ্ছে ভাষাগত। এই উপানুচ্ছেদ অনুযায়ী আগে সব জাতীয় দলের ম্যানেজার, কোচ, অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক মনোনয়ন বা নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল পরিচালনা পর্ষদের। আর নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘সব জাতীয় দল, অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক এবং কোচসহ টিম ম্যানেজমেন্টের সব সদস্য মনোনয়ন বা নির্বাচনকরণ এবং চূড়ান্ত অনুমোদন’-এর কর্তৃত্ব পাবে পরিচালনা পর্ষদ। নির্বাচকদের নির্বাচিত দল আগেও চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করত বোর্ড। এবার তার সঙ্গে ‘মনোনয়ন বা নির্বাচনকরণ’ যোগ হওয়ায়ই উঠছে প্রশ্ন। খোদ বিসিবির সহসভাপতি আহমেদ সাজ্জাদুল আলমও বলেছেন, ‘দল নির্বাচন কোনোভাবেই পরিচালনা পর্ষদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না, এটা হওয়া উচিত না।’
বোর্ড থেকে অবশ্য এটিকে ভাষাগত ত্রুটি উল্লেখ করে সেটি সংশোধন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সংশোধনী প্রস্তাবের এই সংশোধনীটা বোর্ড সভাতেই হয়ে যাওয়া জরুরি। কারণ একবার অনুমোদন হয়ে যাওয়া সংশোধনী প্রস্তাবের ভুল দূর করতেও আনতে হয় আরেকটি সংশোধনী।
ইজিএমে যাওয়ার আগে সংশোধনী প্রস্তাব পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদন হতে হয়। আজকের সভায় না হলে ৩০ নভেম্বরের ইজিএমের আগে ডাকতে হবে আরেকটি বোর্ড সভা।
উপানুচ্ছেদ ২.২১ এবং ১৪.১ (ফ)-এর কারণে বিতর্কিত হয়ে পড়েছে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী। ২.২১-এ বর্তমান সিইও পদের জায়গায় সিওও পদের প্রস্তাব আনা হয়েছে। আর ১৪.১ (ফ) অনুযায়ী জাতীয় দলের চূড়ান্ত অনুমোদনের পাশাপাশি দল মনোনয়ন বা নির্বাচনের এখতিয়ারও চলে যায় পরিচালনা পর্ষদের আওতাধীন।
সিইওর জায়গায় সিওও পদ সৃষ্টির বিপক্ষে এর মধ্যেই বোর্ড সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল তাঁর কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। পেশাদার ক্রিকেট বোর্ডের স্বার্থে তিনি বিসিবিতে সিইও রাখার পক্ষে এবং এ ধারণাটিই বিশ্ব ক্রিকেট-স্বীকৃত। জানা গেছে, সভাপতি তাঁর এই অবস্থানে এখনো অটল এবং বোর্ডের বেশির ভাগ সদস্যও চান সিইও পদ বহাল থাকুক। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে সিওও আছে কেবল পাকিস্তানে। আর পাকিস্তান ক্রিকেটের হ-য-ব-র-ল প্রশাসনের কথা কে না জানে?
সংশোধনী প্রস্তাব তৈরি করা বিসিবির গঠনতন্ত্র কমিটির প্রধান দেওয়ান শফিউল আরেফিন অবশ্য কাল আর সিইও-সিওও বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইলেন না, ‘বিষয়টা নিয়ে বোর্ড সভাপতি তাঁর আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানিয়েছেন। এরপর এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কোরাম পূর্ণ হলে বোর্ড সভায় প্রস্তাবটি উঠবে এবং আলোচনা হবে।’
উপানুচ্ছেদ ১৪.১ (ফ)-এর প্রস্তাব নিয়ে বিভ্রান্তির কারণ বলা হচ্ছে ভাষাগত। এই উপানুচ্ছেদ অনুযায়ী আগে সব জাতীয় দলের ম্যানেজার, কোচ, অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক মনোনয়ন বা নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল পরিচালনা পর্ষদের। আর নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘সব জাতীয় দল, অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক এবং কোচসহ টিম ম্যানেজমেন্টের সব সদস্য মনোনয়ন বা নির্বাচনকরণ এবং চূড়ান্ত অনুমোদন’-এর কর্তৃত্ব পাবে পরিচালনা পর্ষদ। নির্বাচকদের নির্বাচিত দল আগেও চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করত বোর্ড। এবার তার সঙ্গে ‘মনোনয়ন বা নির্বাচনকরণ’ যোগ হওয়ায়ই উঠছে প্রশ্ন। খোদ বিসিবির সহসভাপতি আহমেদ সাজ্জাদুল আলমও বলেছেন, ‘দল নির্বাচন কোনোভাবেই পরিচালনা পর্ষদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না, এটা হওয়া উচিত না।’
বোর্ড থেকে অবশ্য এটিকে ভাষাগত ত্রুটি উল্লেখ করে সেটি সংশোধন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সংশোধনী প্রস্তাবের এই সংশোধনীটা বোর্ড সভাতেই হয়ে যাওয়া জরুরি। কারণ একবার অনুমোদন হয়ে যাওয়া সংশোধনী প্রস্তাবের ভুল দূর করতেও আনতে হয় আরেকটি সংশোধনী।
ইজিএমে যাওয়ার আগে সংশোধনী প্রস্তাব পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদন হতে হয়। আজকের সভায় না হলে ৩০ নভেম্বরের ইজিএমের আগে ডাকতে হবে আরেকটি বোর্ড সভা।
No comments