তাঁকে কী করে ভোলেন মেসি!
সম্পর্কটা কি আগের মতো উষ্ণ আছে এখনো? নাকি তাতে এখন হিমঘরের শীতলতা! ডিয়েগো ম্যারাডোনার কাছে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাবেন, সেটাই প্রতিধ্বনিত হবে একালের ‘ম্যারাডোনা’ লিওনেল মেসির কণ্ঠেও। মনে হবে, তাঁদের সম্পর্কটা এখনো পিতা-পুত্রসম। কিন্তু এর মধ্যেও আঁচ করে নিতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়, সুরটা কোথায় যেন কেটে গেছে।
যাওয়ারই কথা। মেসি ঠিক বাকি ১০ জন আর্জেন্টাইনের মতো আবেগতাড়িত হয়ে বিশ্বকাপের পরও ম্যারাডোনার পাশে দাঁড়াননি। কথার মারপ্যাঁচ তেমন জানেন না। মনের কথাটা অকপটে বলেন। আর সেটা করতে গিয়েই ম্যারাডোনাপক্ষের চক্ষুশূল হতে হয়েছিল। মেসি যে বলেছিলেন, আর্জেন্টিনার ভবিষ্যৎ কোচ হিসেবে সার্জিও বাতিস্তাকেই তিনি চান।
এত দিন পর নিজের ওই অবস্থানের ব্যাখ্যা দিলেন আর্জেন্টিনার খুদে জাদুকর। ফ্রেঞ্চ ফুটবল সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, আর সবার মতো তিনিও ম্যারাডোনার এমন বিদায়ে অনুতপ্ত। সেই দুঃখ এখনো হু হু করে বয় তাঁর বুকের মধ্যে, ‘আমি ঠিক জানি না, কোন কারণে তাঁকে বিদায় নিতে হলো। তবে নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। আমি এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। শুধু এটুকুই বলি, ডিয়েগোর বিদায় এভাবে হবে ভাবতেই পারিনি। তাঁর শেষটার জন্য অবশ্যই কষ্ট হয়।’
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ছিটকে পড়ার স্মৃতি মুছে ফেলতে চান। কিন্তু চাইলেই কি আর এত সহজে ভোলা সম্ভব? ‘চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলানের কাছে সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের পর বিশ্বকাপের ওই পরাজয় আমার কাছে এ বছরেরই সবচেয়ে বড় হতাশার। বিশ্বকাপ একেবারেই অন্য জিনিস। আমরা বিশ্বকাপে আরও বড় কিছুই প্রত্যাশা করেছিলাম। আমাদের সেই সামর্থ্যও ছিল। কিন্তু আমরা ছিটকে গেলাম। এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আমাদের সবাইকে আক্রান্ত করেছিল।’
জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হেরে গেলেও মেসি বলছেন, ম্যাচের মোড় আসলে ঘুরে গিয়েছিল টমাস মুলারের শুরুর গোলটিতেই, ‘এরপরই আমরা বাধ্য হয়েছি আক্রমণে শক্তি বাড়াতে। এতে আমাদের রক্ষণ ওদের দ্রুতগতির ফরোয়ার্ডদের জন্য আরও উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। সেটার চড়া দামই দিতে হয়েছে আমাদের।’
অতীত থেকে মেসি চোখ ফিরিয়েছেন বর্তমানেও। তাঁকে কেনার জন্য ইন্টার মিলানের তৎপরতা নিয়ে বেশ মুখরোচক খবর ছড়াচ্ছে। সবই মূলত ইন্টার সভাপতি মাসিমো মোরাত্তিকে ঠাট্টা করে। মেসি কি আর বার্সা ছেড়ে ইন্টারে আসবেন! তবে এই সাক্ষাৎকারে ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড দিলেন একটু অন্যরকম উত্তর, ‘ইন্টার? আমি এখন বার্সাতে সুখেই আছি। ছেড়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। তবে ভবিষ্যতের কথা কে বলতে পারে? যখন সবকিছু ভালোমতো চলে, এসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। কিন্তু কঠিন সময় এলে, কে জানে কী হতে পারে। তবে বার্সেলোনায় আমি আনন্দেই আছি। চাইলে লিখেও দিতে পারেন, আমি এখানে এভাবেই থেকে যেতে চাই আজীবন।’
যাওয়ারই কথা। মেসি ঠিক বাকি ১০ জন আর্জেন্টাইনের মতো আবেগতাড়িত হয়ে বিশ্বকাপের পরও ম্যারাডোনার পাশে দাঁড়াননি। কথার মারপ্যাঁচ তেমন জানেন না। মনের কথাটা অকপটে বলেন। আর সেটা করতে গিয়েই ম্যারাডোনাপক্ষের চক্ষুশূল হতে হয়েছিল। মেসি যে বলেছিলেন, আর্জেন্টিনার ভবিষ্যৎ কোচ হিসেবে সার্জিও বাতিস্তাকেই তিনি চান।
এত দিন পর নিজের ওই অবস্থানের ব্যাখ্যা দিলেন আর্জেন্টিনার খুদে জাদুকর। ফ্রেঞ্চ ফুটবল সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, আর সবার মতো তিনিও ম্যারাডোনার এমন বিদায়ে অনুতপ্ত। সেই দুঃখ এখনো হু হু করে বয় তাঁর বুকের মধ্যে, ‘আমি ঠিক জানি না, কোন কারণে তাঁকে বিদায় নিতে হলো। তবে নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। আমি এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। শুধু এটুকুই বলি, ডিয়েগোর বিদায় এভাবে হবে ভাবতেই পারিনি। তাঁর শেষটার জন্য অবশ্যই কষ্ট হয়।’
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ছিটকে পড়ার স্মৃতি মুছে ফেলতে চান। কিন্তু চাইলেই কি আর এত সহজে ভোলা সম্ভব? ‘চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলানের কাছে সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের পর বিশ্বকাপের ওই পরাজয় আমার কাছে এ বছরেরই সবচেয়ে বড় হতাশার। বিশ্বকাপ একেবারেই অন্য জিনিস। আমরা বিশ্বকাপে আরও বড় কিছুই প্রত্যাশা করেছিলাম। আমাদের সেই সামর্থ্যও ছিল। কিন্তু আমরা ছিটকে গেলাম। এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আমাদের সবাইকে আক্রান্ত করেছিল।’
জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হেরে গেলেও মেসি বলছেন, ম্যাচের মোড় আসলে ঘুরে গিয়েছিল টমাস মুলারের শুরুর গোলটিতেই, ‘এরপরই আমরা বাধ্য হয়েছি আক্রমণে শক্তি বাড়াতে। এতে আমাদের রক্ষণ ওদের দ্রুতগতির ফরোয়ার্ডদের জন্য আরও উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। সেটার চড়া দামই দিতে হয়েছে আমাদের।’
অতীত থেকে মেসি চোখ ফিরিয়েছেন বর্তমানেও। তাঁকে কেনার জন্য ইন্টার মিলানের তৎপরতা নিয়ে বেশ মুখরোচক খবর ছড়াচ্ছে। সবই মূলত ইন্টার সভাপতি মাসিমো মোরাত্তিকে ঠাট্টা করে। মেসি কি আর বার্সা ছেড়ে ইন্টারে আসবেন! তবে এই সাক্ষাৎকারে ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড দিলেন একটু অন্যরকম উত্তর, ‘ইন্টার? আমি এখন বার্সাতে সুখেই আছি। ছেড়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। তবে ভবিষ্যতের কথা কে বলতে পারে? যখন সবকিছু ভালোমতো চলে, এসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। কিন্তু কঠিন সময় এলে, কে জানে কী হতে পারে। তবে বার্সেলোনায় আমি আনন্দেই আছি। চাইলে লিখেও দিতে পারেন, আমি এখানে এভাবেই থেকে যেতে চাই আজীবন।’
No comments