ডিএসইর সভাপতি ও সিইওকে তলব
অনুমোদন ছাড়াই মূল্যসূচক সংশোধন এবং তহবিলের টাকা খরচ করে রিসোর্ট বা অবকাশকেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি শাকিল রিজভী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সতীপতী মৈত্রকে গতকাল বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) কার্যালয়ে তলব করা হয়।
এসইসি তাঁদের কাছে জানতে চায়, অনুমোদন না থাকার পরও মূল্যসূচকের মতো একটি সংবেদনশীল বিষয় কেন পরিবর্তন করা হলো। আর একটি অলাভজনক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অবকাশকেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্যই বা কী।
জানা গেছে, কাউকে না জানিয়ে সূচক পরিবর্তনের বিষয়ে সতীপতী মৈত্র সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তিনি যা বলেছেন, তা হলো, গত ২ জুন অনুষ্ঠিত স্টক এক্সচেঞ্জের মূল্যসূচক সমন্বয়ের নির্দেশনা পর্যালোচনা কমিটির বৈঠকের কার্যপত্রে সূচক সংশোধনের নির্দেশনা ছিল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী সূচক সংশোধন করা হয়েছে।
তার এই জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি এসইসি। পাল্টা বলা হয়, ওই বৈঠকে সূচক সংশোধনের পদ্ধতি সম্পর্কে একটি ধারণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছিল না। এ বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপনও দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া এ ধরনের একটি সংশোধন বাজারসংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষকে না জানিয়ে করা ঠিক হয়নি বলেও এসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়।
অন্যদিকে রিসোর্টের জন্য জমি কেনার ব্যাপারে শাকিল রিজভী বলেন, ডিএসইর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের আবাসিক প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জমি কেনা হয়েছে। এর পেছনে কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নেই।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সূচক সংশোধন ও জমি কেনার ব্যাপারে ডিএসইর ব্যাখ্যা জানতেই তাঁদের ডাকা হয়েছিল। আমরা তাঁদের বক্তব্য শুনেছি। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য এসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’
জানা গেছে, এসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ডিএসইকে শিগগিরই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপনে সূচক পরিবর্তন ও জমি কিনে অবকাশকেন্দ্র নির্মাণের খবরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ডিএসইর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, গতকালের প্রথম আলোতে ‘মূল্যসূচক নিয়ে লুকোচুরি’ ও ‘৩৭ বিঘা জমিতে হচ্ছে ডিএসইর অবকাশকেন্দ্র’ শীর্ষক দুটি পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই এসইসি ডিএসইর সভাপতি ও সিইওকে তলব করে।
এসইসি তাঁদের কাছে জানতে চায়, অনুমোদন না থাকার পরও মূল্যসূচকের মতো একটি সংবেদনশীল বিষয় কেন পরিবর্তন করা হলো। আর একটি অলাভজনক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অবকাশকেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্যই বা কী।
জানা গেছে, কাউকে না জানিয়ে সূচক পরিবর্তনের বিষয়ে সতীপতী মৈত্র সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তিনি যা বলেছেন, তা হলো, গত ২ জুন অনুষ্ঠিত স্টক এক্সচেঞ্জের মূল্যসূচক সমন্বয়ের নির্দেশনা পর্যালোচনা কমিটির বৈঠকের কার্যপত্রে সূচক সংশোধনের নির্দেশনা ছিল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী সূচক সংশোধন করা হয়েছে।
তার এই জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি এসইসি। পাল্টা বলা হয়, ওই বৈঠকে সূচক সংশোধনের পদ্ধতি সম্পর্কে একটি ধারণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছিল না। এ বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপনও দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া এ ধরনের একটি সংশোধন বাজারসংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষকে না জানিয়ে করা ঠিক হয়নি বলেও এসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়।
অন্যদিকে রিসোর্টের জন্য জমি কেনার ব্যাপারে শাকিল রিজভী বলেন, ডিএসইর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের আবাসিক প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জমি কেনা হয়েছে। এর পেছনে কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নেই।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সূচক সংশোধন ও জমি কেনার ব্যাপারে ডিএসইর ব্যাখ্যা জানতেই তাঁদের ডাকা হয়েছিল। আমরা তাঁদের বক্তব্য শুনেছি। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য এসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’
জানা গেছে, এসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ডিএসইকে শিগগিরই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপনে সূচক পরিবর্তন ও জমি কিনে অবকাশকেন্দ্র নির্মাণের খবরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ডিএসইর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, গতকালের প্রথম আলোতে ‘মূল্যসূচক নিয়ে লুকোচুরি’ ও ‘৩৭ বিঘা জমিতে হচ্ছে ডিএসইর অবকাশকেন্দ্র’ শীর্ষক দুটি পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই এসইসি ডিএসইর সভাপতি ও সিইওকে তলব করে।
No comments