সত্যিই বড় হচ্ছে বিগ ব্যাশ
অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ‘বিগ ব্যাশ’ এবার সত্যিকারের ‘বিগ’ হতে যাচ্ছে। টুর্নামেন্টটির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে একে আইপিএলের মতো বিশ্বজনীন রূপ দিতে যাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। টুর্নামেন্টের দল ৬টি থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮টি। আগের মতো রাজ্যকেন্দ্রিক না হয়ে দলগুলো হবে শহরকেন্দ্রিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজভিত্তিক। মূল মালিকানা আগের মতোই রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের হাতে থাকবে, তবে লঘিষ্ঠ মালিকানা থাকতে পারবে ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের। ধারণা করা হচ্ছে, এর পরিমাণটা হবে শতাংশ বা তার কাছাকাছি। বিগ ব্যাশের ‘বিগ শো’ দেখা যাবে ২০১১-১২ মৌসুম থেকে।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের জন্য এটিকে বড় এক পালাবদল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইংল্যান্ডে শুরু ক্রিকেটের নবতম সংস্করণটিকে শুরুতে খুব একটা পাত্তা দেয়নি সিএ। অস্ট্রেলিয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেটেও টি-টোয়েন্টি শুরু হয়েছে বেশ পরে। চালুর পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তা, গত মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে বিগ ব্যাশের দর্শক বেড়েছে ৮০ শতাংশ। জনপ্রিয়তার পাশাপাশি আছে অর্থের হাতছানি। আইপিএলে অর্থের ছড়াছড়ির উদাহরণ তো চোখের সামনে আছেই। এই হাতছানিকে তাই আর উপেক্ষা করতে পারেনি সিএ। ওয়েবসাইট।
শোনা যাচ্ছে, ফ্র্যাঞ্চাইজগুলোয় বিনিয়োগকারীদের একটা বড় অংশ আসছে ভারত থেকে। ভারতের বড় কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম শোনা যাচ্ছে, যাদের মধ্যে অন্যতম নির্মাণপ্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ। শোনা যাচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিকদের একজন জয় মেহতা ও বহিষ্কৃত আইপিএল কমিশনার লোলিত মোদির ঘনিষ্ঠ একজনের কথাও। কোনোটিরই অবশ্য সত্যতা পাওয়া যায়নি।
সিএ যদিও স্বীকার করেনি, তবে বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে তারা অনুসরণ করছে আইপিএলের মডেলকেই। সিএর প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড অবশ্য বলেছেন আইপিএল থেকে অনেক কিছু শিখেছেন তাঁরা। এ জন্যই দলগুলোর মালিকানা নিয়ে আইপিএলের সাম্প্রতিক ঝামেলার মতো কিছু যাতে না হয়, এ ব্যাপারে তারা সতর্ক। এই টুর্নামেন্টের জন্য জানুয়ারিতে একটা ‘উইন্ডো’ রাখতে যাচ্ছে তারা, যাতে পাওয়া যায় শীর্ষ সব ক্রিকেটারকেই। প্রাথমিকভাবে অবশ্য আইপিএলের মতো ক্রিকেটার কেনাবেচার ব্যাপার থাকছে না, ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি হবে বেতনভিত্তিক। বর্তমানে যে ছয় রাজ্য দল খেলছে, তাদের ৬টি শহর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই থাকছে। ধারণা করা হয়েছিল, বাড়তি দুটি দল আসবে বড় দুই রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া থেকে। সাদারল্যান্ড অবশ্য কাল জানিয়ে দিয়েছেন, দলগুলো ঠিক হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের এই পালাবদলের মধ্যে অনেকে আবার দেখছেন ভবিষ্যতের ছবি। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে ৫০ ওভারের বদলে ৪০ ওভারের ক্রিকেট চালু হয়েছে আগেই। অস্ট্রেলিয়াতেও এ মৌসুম থেকে শুরু হয়েছে দুই ইনিংসের ওয়ানডে। শীর্ষ দেশগুলো যেভাবে টি-টোয়েন্টির দিকে ঝুুঁকছে, ওয়ানডে ক্রিকেটের মৃত্যু কি তবে আসন্ন?
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের জন্য এটিকে বড় এক পালাবদল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইংল্যান্ডে শুরু ক্রিকেটের নবতম সংস্করণটিকে শুরুতে খুব একটা পাত্তা দেয়নি সিএ। অস্ট্রেলিয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেটেও টি-টোয়েন্টি শুরু হয়েছে বেশ পরে। চালুর পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তা, গত মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে বিগ ব্যাশের দর্শক বেড়েছে ৮০ শতাংশ। জনপ্রিয়তার পাশাপাশি আছে অর্থের হাতছানি। আইপিএলে অর্থের ছড়াছড়ির উদাহরণ তো চোখের সামনে আছেই। এই হাতছানিকে তাই আর উপেক্ষা করতে পারেনি সিএ। ওয়েবসাইট।
শোনা যাচ্ছে, ফ্র্যাঞ্চাইজগুলোয় বিনিয়োগকারীদের একটা বড় অংশ আসছে ভারত থেকে। ভারতের বড় কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম শোনা যাচ্ছে, যাদের মধ্যে অন্যতম নির্মাণপ্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ। শোনা যাচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিকদের একজন জয় মেহতা ও বহিষ্কৃত আইপিএল কমিশনার লোলিত মোদির ঘনিষ্ঠ একজনের কথাও। কোনোটিরই অবশ্য সত্যতা পাওয়া যায়নি।
সিএ যদিও স্বীকার করেনি, তবে বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে তারা অনুসরণ করছে আইপিএলের মডেলকেই। সিএর প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড অবশ্য বলেছেন আইপিএল থেকে অনেক কিছু শিখেছেন তাঁরা। এ জন্যই দলগুলোর মালিকানা নিয়ে আইপিএলের সাম্প্রতিক ঝামেলার মতো কিছু যাতে না হয়, এ ব্যাপারে তারা সতর্ক। এই টুর্নামেন্টের জন্য জানুয়ারিতে একটা ‘উইন্ডো’ রাখতে যাচ্ছে তারা, যাতে পাওয়া যায় শীর্ষ সব ক্রিকেটারকেই। প্রাথমিকভাবে অবশ্য আইপিএলের মতো ক্রিকেটার কেনাবেচার ব্যাপার থাকছে না, ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি হবে বেতনভিত্তিক। বর্তমানে যে ছয় রাজ্য দল খেলছে, তাদের ৬টি শহর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই থাকছে। ধারণা করা হয়েছিল, বাড়তি দুটি দল আসবে বড় দুই রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া থেকে। সাদারল্যান্ড অবশ্য কাল জানিয়ে দিয়েছেন, দলগুলো ঠিক হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের এই পালাবদলের মধ্যে অনেকে আবার দেখছেন ভবিষ্যতের ছবি। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে ৫০ ওভারের বদলে ৪০ ওভারের ক্রিকেট চালু হয়েছে আগেই। অস্ট্রেলিয়াতেও এ মৌসুম থেকে শুরু হয়েছে দুই ইনিংসের ওয়ানডে। শীর্ষ দেশগুলো যেভাবে টি-টোয়েন্টির দিকে ঝুুঁকছে, ওয়ানডে ক্রিকেটের মৃত্যু কি তবে আসন্ন?
No comments