দুই কোচের লড়াইও
একজন কথা বলেন খুব আস্তে। নিজেও অনেক সময় শুনতে পান কি না সন্দেহ। অন্যজনের মুখে কথার খই না ফুটবলেও বেশ বাকপটু। শান্ত আলী আকবর পোরমুসলিমির সঙ্গে চটপটে জোরান কার্লেভিচের মিল তেমন নেই।
কিন্তু আজ একটা জায়গায় দুজন মিলে যাচ্ছেন। দুজনই ফেডারেশন কাপের শিরোপা উপহার দিতে চান নিজ নিজ ক্লাবকে।
ইরানি আলী আকবরের হাত ধরে আবাহনী চায় ২০০০ সালের পর হারানো ফেডারেশন কাপ শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে। নতুন রূপে যাত্রা করা তারকাবহুল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে প্রথম টুর্নামেন্টেই শিরোপা দিতে চান সার্বিয়ান কার্লেভিচ। ফেডারেশন কাপের আজকের ফাইনাল তাই দুই বিদেশি কোচেরও লড়াই।
এএফসির কোচিং ইনস্ট্রাক্টর আলী আকবরের কোচিংয়ের মূল সূত্র হলো, ‘চেঞ্জ পজিশন মেন্টালি’। কাল অনুশীলন শেষে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করলেন আবাহনীর কোচ, ‘যখন খেলোয়াড়েরা আক্রমণে যায়, তখন তাদের মনে রাখা উচিত রক্ষণও করতে হবে আমাকে। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলাররা আক্রমণে উঠে রক্ষণের ব্যাপারটা ভুলে যায়। এটা ঠিক নয়।’
প্রায় নতুন একটা দলকে অল্প কয়েক দিনেই শক্ত একটা ভিত্তি দিয়েছেন। আবাহনীর খেলায়ও কিছুটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আলী আকবর জোর দেন রানিংয়ের ওপর। সঙ্গে পাওয়ার। আবাহনী অধিনায়ক প্রাণতোষ বলছেন, ‘খুব তাড়াতাড়িই আমরা গোছানো একটা দল হয়ে উঠেছি। নতুন কোচ ডিফেন্স ঠিক রেখে আক্রমণে যাওয়ার ওপর জোর দেন। বল নিজেদের পায়ে রাখা এবং পজিশনাল প্লে বেশি চান।’
‘ওয়ান টাচ’ খেলা বেশি পছন্দ কার্লেভিচের। কাল শেখ জামালের অনুশীলন শেষে বললেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের সব সময়ই বলি, প্লে সিম্পল। চতুর ফুটবলার চাই দলে। ফেডারেশন কাপ নিয়ে খেলোয়াড়দের একটা কথাই বলেছি, সুযোগটা নাও।’
অবিভক্ত যুগোস্লাভিয়ার বিখ্যাত ক্লাব পার্টিজান বেলগ্রেডে খেলেছেন। এই দলের সহকারী কোচও ছিলেন। ইউরোপীয় ফুটবল তাঁর নখদর্পণে। ‘এই ম্যাচ ৫০-৫০’, ‘ম্যাচের আগে সবাই সমান’—কৌশলী এই উত্তর তাঁর ঠোঁটেই থাকে। আবাহনী কোচও প্রতিপক্ষের ওপর রাখেন অগাধ শ্রদ্ধা। শেখ জামাল সম্পর্কে বললেন, ‘ওরা খুবই সংগঠিত একটা দল।’
উয়েফা প্রো-লাইসেন্সধারী তরুণ কোচ কার্লেভিচ সাধারণত ৪-২-৩-১ ফর্মেশন অনুসরণ করেন। আজও ব্যতিক্রম হবে না। বাজে ফর্মে থাকা স্ট্রাইকার এমিলিকে বাঁ প্রান্তে এনে আজ মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলাতে পারেন আবদুল বাতেন কমলকে। আবাহনী কোচ ৪-৪-২ ফর্মেশনেই বেশি সাজান তাঁর দল। তবে তাঁর একাদশ পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।
আলী আকবরের আবাহনী বহু ফাইনাল খেলায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক দল। কার্লেভিচের হাত ধরে এই প্রথম ফাইনালের স্বাদ নিতে যাচ্ছে শেখ জামাল। ‘অভিজ্ঞ’ ও ‘নবীনের’ লড়াইয়ে দু দলের বড় শক্তি দুই কোচ।
কিন্তু আজ একটা জায়গায় দুজন মিলে যাচ্ছেন। দুজনই ফেডারেশন কাপের শিরোপা উপহার দিতে চান নিজ নিজ ক্লাবকে।
ইরানি আলী আকবরের হাত ধরে আবাহনী চায় ২০০০ সালের পর হারানো ফেডারেশন কাপ শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে। নতুন রূপে যাত্রা করা তারকাবহুল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে প্রথম টুর্নামেন্টেই শিরোপা দিতে চান সার্বিয়ান কার্লেভিচ। ফেডারেশন কাপের আজকের ফাইনাল তাই দুই বিদেশি কোচেরও লড়াই।
এএফসির কোচিং ইনস্ট্রাক্টর আলী আকবরের কোচিংয়ের মূল সূত্র হলো, ‘চেঞ্জ পজিশন মেন্টালি’। কাল অনুশীলন শেষে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করলেন আবাহনীর কোচ, ‘যখন খেলোয়াড়েরা আক্রমণে যায়, তখন তাদের মনে রাখা উচিত রক্ষণও করতে হবে আমাকে। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলাররা আক্রমণে উঠে রক্ষণের ব্যাপারটা ভুলে যায়। এটা ঠিক নয়।’
প্রায় নতুন একটা দলকে অল্প কয়েক দিনেই শক্ত একটা ভিত্তি দিয়েছেন। আবাহনীর খেলায়ও কিছুটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আলী আকবর জোর দেন রানিংয়ের ওপর। সঙ্গে পাওয়ার। আবাহনী অধিনায়ক প্রাণতোষ বলছেন, ‘খুব তাড়াতাড়িই আমরা গোছানো একটা দল হয়ে উঠেছি। নতুন কোচ ডিফেন্স ঠিক রেখে আক্রমণে যাওয়ার ওপর জোর দেন। বল নিজেদের পায়ে রাখা এবং পজিশনাল প্লে বেশি চান।’
‘ওয়ান টাচ’ খেলা বেশি পছন্দ কার্লেভিচের। কাল শেখ জামালের অনুশীলন শেষে বললেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের সব সময়ই বলি, প্লে সিম্পল। চতুর ফুটবলার চাই দলে। ফেডারেশন কাপ নিয়ে খেলোয়াড়দের একটা কথাই বলেছি, সুযোগটা নাও।’
অবিভক্ত যুগোস্লাভিয়ার বিখ্যাত ক্লাব পার্টিজান বেলগ্রেডে খেলেছেন। এই দলের সহকারী কোচও ছিলেন। ইউরোপীয় ফুটবল তাঁর নখদর্পণে। ‘এই ম্যাচ ৫০-৫০’, ‘ম্যাচের আগে সবাই সমান’—কৌশলী এই উত্তর তাঁর ঠোঁটেই থাকে। আবাহনী কোচও প্রতিপক্ষের ওপর রাখেন অগাধ শ্রদ্ধা। শেখ জামাল সম্পর্কে বললেন, ‘ওরা খুবই সংগঠিত একটা দল।’
উয়েফা প্রো-লাইসেন্সধারী তরুণ কোচ কার্লেভিচ সাধারণত ৪-২-৩-১ ফর্মেশন অনুসরণ করেন। আজও ব্যতিক্রম হবে না। বাজে ফর্মে থাকা স্ট্রাইকার এমিলিকে বাঁ প্রান্তে এনে আজ মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলাতে পারেন আবদুল বাতেন কমলকে। আবাহনী কোচ ৪-৪-২ ফর্মেশনেই বেশি সাজান তাঁর দল। তবে তাঁর একাদশ পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।
আলী আকবরের আবাহনী বহু ফাইনাল খেলায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক দল। কার্লেভিচের হাত ধরে এই প্রথম ফাইনালের স্বাদ নিতে যাচ্ছে শেখ জামাল। ‘অভিজ্ঞ’ ও ‘নবীনের’ লড়াইয়ে দু দলের বড় শক্তি দুই কোচ।
No comments