নারীর জন্য জনপরিসর নিরাপদ হবে কবে by জোবাইদা নাসরীন
তাঁরা বাঁচতে পারলেন না। সচেতন নাগরিক হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে, অভিভাবক হিসেবে নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গিয়েই তাঁদের জীবন দিতে হলো। তাঁদের মৃত্যু আমাদের লজ্জিত করেছে। অপরাধবোধে আক্রান্ত করেছে। এ দেশে কারা বেঁচে থাকবে, সে প্রশ্নটিকে সামনে এনেছে। কিন্তু যাদের লজ্জিত হওয়ার কথা, তারা হয়নি; যাদের অপরাধবোধে মাথা নুইয়ে পড়ার কথা, তারা উল্টো আঘাত করেছে। বখাটেপনার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে আক্রমণের শিকার হয়ে কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় কলেজশিক্ষক মিজানুর রহমান। এরপর লাশ হলেন চাঁপা রানী ভৌমিক। শিক্ষক মিজানুর রহমানের শোক না যেতেই আবারও ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটেরা হত্যা করেছে এক অভিভাবককে।
মিজানের ছোট্ট মেয়েটি খুঁজছে তার বাবাকে, কাঁদছে গ্রামবাসী, শোকাচ্ছন্ন দেশবাসী। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই মৃত্যুর প্রতিবাদ জানিয়ে হয়েছে মানববন্ধন, বিক্ষোভ। উড়ছে শোকের কালো পতাকা। আর তাঁর প্রিয় ছাত্রীরা তাদের শিক্ষকের মতো একজোট হয়ে বখাটেদের বিরুদ্ধে সবাইকে একতাবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছে। বখাটেদের মোটরসাইকেলের চাপায় নাটোরের লোকমানপুর কলেজের শিক্ষক মিজানুরের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে যখন প্রতিবাদ-মানববন্ধন চলছিল, তার মধ্যেই ফরিদপুরের মধুখালীতে একই রকম নৃশংস ঘটনা ঘটল। তাঁদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আবারও মানুষ নতুন করে শপথ নিচ্ছে এই দুঃসহ ব্যাধি সমাজ থেকে দূর করার। বখাটেদের দ্বারা চাঁপা রানীকে হত্যার পর সেখানকার জনগণ ‘মধুপুরের জনতা গড়ে তোলো একতা, ইভ টিজারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও এক সাথে’ স্লোগান তোলে বখাটের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবি করে (প্রথম আলোয় ২৮ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবেদন)।
একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, একজন অভিভাবক হিসেবে প্রতিবাদ করেছিলেন মিজানুর রহমান ও চাঁপা রানী ভৌমিক। কিন্তু তাঁদের চলে যেতে হলো এ পৃথিবী ছেড়ে। তাঁদের অপরাধ, তাঁরা সেই বখাটেদের কথা জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষকে, স্কুল কর্তৃপক্ষকে, আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের (উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে)। তাঁরা চেয়েছেন, তাঁদের ছাত্রীরা, সন্তানেরা যেন আর বখাটেদের দ্বারা উত্ত্যক্ত না হয়। কিন্তু দেখা গেল প্রতিবাদে লাভ হয়নি, বরং তাঁদের ওপরই এসেছে আঘাত। তার মানে কি এ দেশে নির্যাতনের শিকার এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী কেউই টিকে থাকতে পারবে না? এ দেশে টিকে থাকবে শুধু সন্ত্রাসী, বখাটে মাস্তানেরা? কখনো যৌন হয়রানি বন্ধ হবে না? কবে সেই সময় আসবে, যখন নারীরা নির্বিঘ্নে যেতে পারবে স্কুল-কলেজে।
খবরের কাগজগুলোর পাতায় ক্রমবর্ধমান হারে যেভাবে জায়গা করে নিচ্ছে কিশোরী ও নারীদের বিরুদ্ধে পুরুষতান্ত্রিক সন্ত্রাসের এই ধরনটি, তাতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর বিস্তৃতি সম্পর্কে ধারণা করা যায়। সরকার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে বড় ধরনের কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা না করতে পারলেও সোচ্চার হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন এলাকায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। ইভ টিজিংকে শুধু নারীর বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে না। এটি সবার কাছেই সমস্যা হিসেবে উপনীত হয়েছে। ফলে পাবলিক ও প্রাইভেট পরিসরে নারী যেমন নির্যাতিত হচ্ছে, তার সঙ্গে সঙ্গে নারী-পুরুষ মিলেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছে। এই দেশের মানুষের ইতিহাস বড় বেশি লড়াইয়ের ইতিহাস। ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট দুই পুলিশ কনস্টেবল যখন কিশোরী ইয়াসমীনকে ধর্ষণ করে হত্যা করল, তখনো প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল দিনাজপুর। সেই বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ গুলি চালালে প্রাণ দিয়েছিলেন সাতজন মানুষ। আবারও সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটছে, অর্থাৎ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে মিজানুর রহমান ও চাঁপা রানী ভৌমিকের মতো মানুষকে। সেই ১৯৯৫ থেকে ১৫ বছর পার হলেও এ দেশের নারীরা এখনো ততটাই নিরাপত্তাহীন। সেই সঙ্গে যাঁরা এই ধরনের নির্যাতনের প্রতিবাদ করছেন, তাঁদেরও নিরাপত্তাহীনতা কাটেনি।
মিজানুর রহমান ও চাঁপা রানী ভৌমিক বখাটেদের সঙ্গে লড়ে হয়ে গেলেন প্রতিবাদের স্মারক। তাঁরা প্রমাণ করে গেলেন এ দেশে সবাই নির্যাতন নীরবে মেনে নেয় না। প্রতিবাদী হয়ে ওঠার, মানুষের মর্যাদা রক্ষায় লড়াই করে যাওয়ার মানুষ আমাদের কম নয়।
সাম্প্রতিককালে কিশোরী-নারীকে উত্ত্যক্ত করার মাত্রা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। নারী নির্যাতনের প্রচলিত ধারণার সঙ্গে এ দিকটিকেও গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখা আবশ্যক হয়ে উঠেছে। এই নির্যাতনের শিকার হয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কিশোরী ও নারী আত্মহত্যা করেছে। শুধু বখাটেদের উৎপাতের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক কিশোরী-নারীর লেখাপড়া। বাড়ছে বাল্যবিবাহ। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় এই ধরনের অপরাধপ্রবণতা পরোক্ষভাবে এখনো সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয় পাচ্ছে—এ কথা বলা যায়। নারীদের উত্ত্যক্ত করা প্রতিরাধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি কাজ করেছে। কিন্তু এই অপরাধপ্রবণতা প্রতিরোধে কার্যকর অগ্রগতি দেখা যায়নি। কারণ আসল কাজটি এখনো হয়নি। দফায় দফায় বৈঠক, আলোচনা, খসড়া প্রস্তাব, হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং সরকারের পক্ষ থেকে বার কয়েক আইন প্রণয়নের এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত আইন প্রণয়নের বিষয়টি কত দূর এগিয়েছে এবং কবে আলোর মুখ দেখবে, তা বলা কঠিন।
সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি থাকলেও মানুষের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ থেমে থাকেনি, থাকবেও না। মিজানুর রহমান ও চাঁপা রানী ভৌমিকের মতো অনেকের একক প্রতিবাদগুলো পথ দেখাবে সম্মিলিত প্রতিরোধের। তাঁদের মৃত্যু নতুন করে মানুষকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছে, এলাকায় এলাকায় চলছে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান। ইভ টিজিং যে একটি যৌন হয়রানিমূলক অপরাধ, এ বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। এ সম্পর্কে জনমনে বিদ্যমান অস্পষ্টতা দূর করে এবং নারীর জন্য পাবলিক পরিসরকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে অতিসত্বর যৌন হয়রানি নিরোধ আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
zobaidanasreen@gmail.com
মিজানের ছোট্ট মেয়েটি খুঁজছে তার বাবাকে, কাঁদছে গ্রামবাসী, শোকাচ্ছন্ন দেশবাসী। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই মৃত্যুর প্রতিবাদ জানিয়ে হয়েছে মানববন্ধন, বিক্ষোভ। উড়ছে শোকের কালো পতাকা। আর তাঁর প্রিয় ছাত্রীরা তাদের শিক্ষকের মতো একজোট হয়ে বখাটেদের বিরুদ্ধে সবাইকে একতাবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছে। বখাটেদের মোটরসাইকেলের চাপায় নাটোরের লোকমানপুর কলেজের শিক্ষক মিজানুরের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে যখন প্রতিবাদ-মানববন্ধন চলছিল, তার মধ্যেই ফরিদপুরের মধুখালীতে একই রকম নৃশংস ঘটনা ঘটল। তাঁদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আবারও মানুষ নতুন করে শপথ নিচ্ছে এই দুঃসহ ব্যাধি সমাজ থেকে দূর করার। বখাটেদের দ্বারা চাঁপা রানীকে হত্যার পর সেখানকার জনগণ ‘মধুপুরের জনতা গড়ে তোলো একতা, ইভ টিজারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও এক সাথে’ স্লোগান তোলে বখাটের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবি করে (প্রথম আলোয় ২৮ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবেদন)।
একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, একজন অভিভাবক হিসেবে প্রতিবাদ করেছিলেন মিজানুর রহমান ও চাঁপা রানী ভৌমিক। কিন্তু তাঁদের চলে যেতে হলো এ পৃথিবী ছেড়ে। তাঁদের অপরাধ, তাঁরা সেই বখাটেদের কথা জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষকে, স্কুল কর্তৃপক্ষকে, আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের (উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে)। তাঁরা চেয়েছেন, তাঁদের ছাত্রীরা, সন্তানেরা যেন আর বখাটেদের দ্বারা উত্ত্যক্ত না হয়। কিন্তু দেখা গেল প্রতিবাদে লাভ হয়নি, বরং তাঁদের ওপরই এসেছে আঘাত। তার মানে কি এ দেশে নির্যাতনের শিকার এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী কেউই টিকে থাকতে পারবে না? এ দেশে টিকে থাকবে শুধু সন্ত্রাসী, বখাটে মাস্তানেরা? কখনো যৌন হয়রানি বন্ধ হবে না? কবে সেই সময় আসবে, যখন নারীরা নির্বিঘ্নে যেতে পারবে স্কুল-কলেজে।
খবরের কাগজগুলোর পাতায় ক্রমবর্ধমান হারে যেভাবে জায়গা করে নিচ্ছে কিশোরী ও নারীদের বিরুদ্ধে পুরুষতান্ত্রিক সন্ত্রাসের এই ধরনটি, তাতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর বিস্তৃতি সম্পর্কে ধারণা করা যায়। সরকার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে বড় ধরনের কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা না করতে পারলেও সোচ্চার হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন এলাকায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। ইভ টিজিংকে শুধু নারীর বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে না। এটি সবার কাছেই সমস্যা হিসেবে উপনীত হয়েছে। ফলে পাবলিক ও প্রাইভেট পরিসরে নারী যেমন নির্যাতিত হচ্ছে, তার সঙ্গে সঙ্গে নারী-পুরুষ মিলেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছে। এই দেশের মানুষের ইতিহাস বড় বেশি লড়াইয়ের ইতিহাস। ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট দুই পুলিশ কনস্টেবল যখন কিশোরী ইয়াসমীনকে ধর্ষণ করে হত্যা করল, তখনো প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল দিনাজপুর। সেই বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ গুলি চালালে প্রাণ দিয়েছিলেন সাতজন মানুষ। আবারও সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটছে, অর্থাৎ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে মিজানুর রহমান ও চাঁপা রানী ভৌমিকের মতো মানুষকে। সেই ১৯৯৫ থেকে ১৫ বছর পার হলেও এ দেশের নারীরা এখনো ততটাই নিরাপত্তাহীন। সেই সঙ্গে যাঁরা এই ধরনের নির্যাতনের প্রতিবাদ করছেন, তাঁদেরও নিরাপত্তাহীনতা কাটেনি।
মিজানুর রহমান ও চাঁপা রানী ভৌমিক বখাটেদের সঙ্গে লড়ে হয়ে গেলেন প্রতিবাদের স্মারক। তাঁরা প্রমাণ করে গেলেন এ দেশে সবাই নির্যাতন নীরবে মেনে নেয় না। প্রতিবাদী হয়ে ওঠার, মানুষের মর্যাদা রক্ষায় লড়াই করে যাওয়ার মানুষ আমাদের কম নয়।
সাম্প্রতিককালে কিশোরী-নারীকে উত্ত্যক্ত করার মাত্রা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। নারী নির্যাতনের প্রচলিত ধারণার সঙ্গে এ দিকটিকেও গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখা আবশ্যক হয়ে উঠেছে। এই নির্যাতনের শিকার হয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কিশোরী ও নারী আত্মহত্যা করেছে। শুধু বখাটেদের উৎপাতের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক কিশোরী-নারীর লেখাপড়া। বাড়ছে বাল্যবিবাহ। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় এই ধরনের অপরাধপ্রবণতা পরোক্ষভাবে এখনো সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয় পাচ্ছে—এ কথা বলা যায়। নারীদের উত্ত্যক্ত করা প্রতিরাধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি কাজ করেছে। কিন্তু এই অপরাধপ্রবণতা প্রতিরোধে কার্যকর অগ্রগতি দেখা যায়নি। কারণ আসল কাজটি এখনো হয়নি। দফায় দফায় বৈঠক, আলোচনা, খসড়া প্রস্তাব, হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং সরকারের পক্ষ থেকে বার কয়েক আইন প্রণয়নের এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত আইন প্রণয়নের বিষয়টি কত দূর এগিয়েছে এবং কবে আলোর মুখ দেখবে, তা বলা কঠিন।
সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি থাকলেও মানুষের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ থেমে থাকেনি, থাকবেও না। মিজানুর রহমান ও চাঁপা রানী ভৌমিকের মতো অনেকের একক প্রতিবাদগুলো পথ দেখাবে সম্মিলিত প্রতিরোধের। তাঁদের মৃত্যু নতুন করে মানুষকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছে, এলাকায় এলাকায় চলছে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান। ইভ টিজিং যে একটি যৌন হয়রানিমূলক অপরাধ, এ বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। এ সম্পর্কে জনমনে বিদ্যমান অস্পষ্টতা দূর করে এবং নারীর জন্য পাবলিক পরিসরকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে অতিসত্বর যৌন হয়রানি নিরোধ আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
zobaidanasreen@gmail.com
No comments