পাকিস্তানের জন্য জাতিসংঘের রেকর্ড অঙ্কের সাহায্য আহ্বান
পাকিস্তানের লাখ লাখ বন্যাদুর্গত মানুষকে সহায়তা করতে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব সংস্থাটির ইতিহাসে কোনো দেশের জন্য এত বিপুল অর্থসাহায্যের নজির নেই।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সাহায্যের আবেদনটি ঘোষণা করে বলেন, সংস্থা তার ৬৫ বছরের ইতিহাসে এ পর্যন্ত যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, তার মধ্যে পাকিস্তানের বন্যাই সবচেয়ে ভয়াবহ।
পাকিস্তান সরকারের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে ৮০ বছরের মধ্যে ভয়াবহতম বন্যায় প্রায় দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বন্যার কারণে গৃহহীন হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। এ ছাড়া তারা পুষ্টিহীনতা ও মহামারির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেরি অ্যামোস বলেন, ‘এ ধরনের ভয়াবহ দুর্যোগে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের সময় আমরা চুপ করে বসে চেয়ে চেয়ে দেখতে পারি না।’
পাকিস্তানি বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন আরও বেশি সাহায্যের হাত বাড়ায়, জাতিসংঘ সে চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের বন্যাকে হাইতির ভূমিকম্প এবং ২০০৪ সালের সুনামির সঙ্গে তুলনা করছেন কর্মকর্তারা, যদিও বন্যায় মৃতের সংখ্যা অনেক কম। এ পর্যন্ত বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ আশানুরূপ নয়।
২০০ কোটি ডলার অর্থসাহায্য পাওয়া গেলে তা দিয়ে আগামী এক বছরে পাকিস্তানের এক কোটি ৪০ লাখ মানুষকে সহযোগিতা করা যাবে। গত জানুয়ারিতে হাইতির ভূমিকম্পের পর দেড় শ কোটি ডলার সাহায্যের আবেদন করেছিল জাতিসংঘ। সেটাই ছিল এত দিন সবচেয়ে বেশি সাহায্য।
জাতিসংঘের এই আহ্বানে প্রথম যেসব দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, তার অন্যতম পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী ভারত। দেশটি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দুই কোটি ৫০ লাখ ডলারের চেক জমা দিয়েছে।
বিভিন্ন দুর্যোগে সহযোগিতার জন্য জাতিসংঘ এ বছর এখন পর্যন্ত সদস্য দেশগুলোর কাছে এক হাজার ১০০ কোটি ডলার সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে। ১৯৯১ সালে জাতিসংঘ এ ধরনের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সাহায্যের আবেদন এক বছরে এটাই সবচেয়ে বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, পাকিস্তানে বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যের জন্য খাদ্য কেনা, জরুরি আশ্রয়শিবির স্থাপন, কৃষি খাত পুনর্গঠন এবং পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন।
বিভিন্ন সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বন্যার কারণে পাকিস্তানে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। হিসাব মতে, এখন পর্যন্ত সাত লাখ নয় হাজার মানুষ ডায়রিয়ায়, প্রায় ১০ লাখ চর্মরোগ, আট লাখ শ্বাসকষ্ট এবং লাখ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে বন্যাদুর্গত এলাকা সফর শেষে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেভিন রাড গত শুক্রবার বলেছেন, পাকিস্তানে মানবিক বিপর্যয় চরম অবস্থায় পৌঁছেছে। এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সেদিকে নজর দেওয়া।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সাহায্যের আবেদনটি ঘোষণা করে বলেন, সংস্থা তার ৬৫ বছরের ইতিহাসে এ পর্যন্ত যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, তার মধ্যে পাকিস্তানের বন্যাই সবচেয়ে ভয়াবহ।
পাকিস্তান সরকারের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে ৮০ বছরের মধ্যে ভয়াবহতম বন্যায় প্রায় দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বন্যার কারণে গৃহহীন হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। এ ছাড়া তারা পুষ্টিহীনতা ও মহামারির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেরি অ্যামোস বলেন, ‘এ ধরনের ভয়াবহ দুর্যোগে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের সময় আমরা চুপ করে বসে চেয়ে চেয়ে দেখতে পারি না।’
পাকিস্তানি বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন আরও বেশি সাহায্যের হাত বাড়ায়, জাতিসংঘ সে চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের বন্যাকে হাইতির ভূমিকম্প এবং ২০০৪ সালের সুনামির সঙ্গে তুলনা করছেন কর্মকর্তারা, যদিও বন্যায় মৃতের সংখ্যা অনেক কম। এ পর্যন্ত বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ আশানুরূপ নয়।
২০০ কোটি ডলার অর্থসাহায্য পাওয়া গেলে তা দিয়ে আগামী এক বছরে পাকিস্তানের এক কোটি ৪০ লাখ মানুষকে সহযোগিতা করা যাবে। গত জানুয়ারিতে হাইতির ভূমিকম্পের পর দেড় শ কোটি ডলার সাহায্যের আবেদন করেছিল জাতিসংঘ। সেটাই ছিল এত দিন সবচেয়ে বেশি সাহায্য।
জাতিসংঘের এই আহ্বানে প্রথম যেসব দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, তার অন্যতম পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী ভারত। দেশটি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দুই কোটি ৫০ লাখ ডলারের চেক জমা দিয়েছে।
বিভিন্ন দুর্যোগে সহযোগিতার জন্য জাতিসংঘ এ বছর এখন পর্যন্ত সদস্য দেশগুলোর কাছে এক হাজার ১০০ কোটি ডলার সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে। ১৯৯১ সালে জাতিসংঘ এ ধরনের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সাহায্যের আবেদন এক বছরে এটাই সবচেয়ে বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, পাকিস্তানে বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যের জন্য খাদ্য কেনা, জরুরি আশ্রয়শিবির স্থাপন, কৃষি খাত পুনর্গঠন এবং পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন।
বিভিন্ন সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বন্যার কারণে পাকিস্তানে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। হিসাব মতে, এখন পর্যন্ত সাত লাখ নয় হাজার মানুষ ডায়রিয়ায়, প্রায় ১০ লাখ চর্মরোগ, আট লাখ শ্বাসকষ্ট এবং লাখ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে বন্যাদুর্গত এলাকা সফর শেষে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেভিন রাড গত শুক্রবার বলেছেন, পাকিস্তানে মানবিক বিপর্যয় চরম অবস্থায় পৌঁছেছে। এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সেদিকে নজর দেওয়া।
No comments