জাপানি ইয়েনের বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর ১৫ বছরের সর্বনিম্ন
স্থানীয় আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে গত সপ্তাহজুড়েই বর্ধিত চাহিদার কারণে বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের তেজি ভাব অব্যাহত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহান্তে টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার সাত পয়সা বাড়ে।
মূলত কয়েকটি বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক বাজার থেকে ব্যাপক হারে ডলার কেনার কারণেই মার্কিন মুদ্রাটির দর বাড়ে। সপ্তাহের প্রথম দিনে প্রতি মার্কিন ডলার ৬৯ টাকা ৫৮ পয়সায় লেনদেন হলেও বুধবার তা ৬৯ টাকা ৬০ পয়সা ছাড়িয়ে যায়। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার প্রতি ডলার ৬৯ টাকা ৬৫ পয়সায় লেনদেন হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে গত সপ্তাহের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল জাপানের মুদ্রাবাজারে সে দেশের কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ।
চীনের উৎপাদন খাতের আশাব্যঞ্জক খবর, যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশার চেয়ে চাকরির তথ্য ভালো হওয়া এবং বিশ্বব্যাপী ব্যাংক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর নতুন নীতিমালা গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা গত সপ্তাহের (১১ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর) শুরু থেকেই অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। এতে গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাগুলোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের ব্যাপক দরপতন ঘটতে থাকে।
মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বের ভোটে জয়লাভের পর এই সরকার ইয়েনের শক্তি হ্রাসের ব্যাপারে আশু কোনো পদক্ষেপ নেবে না, এমন একটি ধারণা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দর কমে ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। এ সময় প্রতি ডলার ৮২ দশমিক ৮৭ ইয়েনে নেমে পড়ে। এভাবে ইয়েনের অব্যাহত শক্তি বৃদ্ধি জাপানের অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে ওঠায় বুধবার সে দেশের সরকার ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বাজার থেকে ব্যাপক হারে ডলার কিনে নেওয়ার মাধ্যমে তাদের মুদ্রাবাজারে হস্তক্ষেপ করে। এতে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দর কমতে থাকে এবং এক দিনের মধ্যেই বুধবার ডলারের দর প্রায় ৩ শতাংশ বাড়ে, যা ছিল গত দুই বছরের মধ্যে ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দৈনিক দরবৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার।
যা-ই হোক, সপ্তাহ শেষে প্রতি ইউরো ১ দশমিক ৩০৩৪ ডলারে, প্রতি পাউন্ড স্টার্লিং ১ দশমিক ৫৬৩৬ ডলারে এবং প্রতি ডলার ৮৫ দশমিক ৮১ ইয়েনে লেনদেন হয়।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির আশাপ্রদ তথ্যে বিশ্ব-অর্থনীতির পুনরুদ্ধার বিষয়ে গত সপ্তাহের শুরুতে আস্থা ফিরে আসতে শুরু করে। এর বদৌলতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হয়। অন্যদিকে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অপরিশোধিত তেলের পাইপলাইন দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় তেলের মজুদ কমার আশঙ্কাও দেখা দেয়। এ অবস্থায় অপরিশোধিত তেলের নাইমেক্স সূচক বেড়ে এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। এ সময় তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৭ দশমিক ৩২ ডলারে উঠে যায়। তবে সপ্তাহ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির কিছু হতাশাজনক তথ্য প্রকাশ পেলে এবং কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র পাইপলাইন চালু হওয়ার সম্ভাবনায় তেলের দাম আবার কমতে থাকে। তবে সপ্তাহ শেষে অপরিশোধিত তেলের নাইমেক্স সূচক ব্যারেলপ্রতি ৭৪ দশমিক ৬৯ ডলারে অবস্থান করে।
এদিকে স্থানীয় আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে ঈদ-পরবর্তী প্রথম সপ্তাহে কলমানির (ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরস্পরের কাছ থেকে স্বল্প মেয়াদে নেওয়া ধার) সুদের হার কিছুটা কমে। এই সপ্তাহে কলমানির সুদের হার ছিল ৪ দশমিক ২৫ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে। এর মধ্যে বুধবার ন্যূনতম ৪ দশমিক ২৫ শতাংশে কিছু লেনদেন হলেও সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যেই বেশির ভাগ লেনদেন হয়।
আলোচ্য সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৫ বছর মেয়াদি সরকারি ট্রেজারি বন্ডের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এ ক্ষেত্রে ১৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকার দরপত্রের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার পাঁচটি দরপত্র গ্রহণ করে। আর ৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকার ট্রেজারি বন্ড প্রাইমারি ডিলারদের কাছে ডেভেলপ করা হয়। ট্রেজারি বন্ডের এই নিলামে অন্তর্নিহিত সুদের হার ৬ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে শূন্য ৮ দশমিক ৯২ শতাংশে নির্ধারিত হয়। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারি ট্রেজারি বিলের কোনো নিলাম অনুষ্ঠিত হয়নি।
মূলত কয়েকটি বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক বাজার থেকে ব্যাপক হারে ডলার কেনার কারণেই মার্কিন মুদ্রাটির দর বাড়ে। সপ্তাহের প্রথম দিনে প্রতি মার্কিন ডলার ৬৯ টাকা ৫৮ পয়সায় লেনদেন হলেও বুধবার তা ৬৯ টাকা ৬০ পয়সা ছাড়িয়ে যায়। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার প্রতি ডলার ৬৯ টাকা ৬৫ পয়সায় লেনদেন হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে গত সপ্তাহের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল জাপানের মুদ্রাবাজারে সে দেশের কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ।
চীনের উৎপাদন খাতের আশাব্যঞ্জক খবর, যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশার চেয়ে চাকরির তথ্য ভালো হওয়া এবং বিশ্বব্যাপী ব্যাংক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর নতুন নীতিমালা গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা গত সপ্তাহের (১১ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর) শুরু থেকেই অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। এতে গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাগুলোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের ব্যাপক দরপতন ঘটতে থাকে।
মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বের ভোটে জয়লাভের পর এই সরকার ইয়েনের শক্তি হ্রাসের ব্যাপারে আশু কোনো পদক্ষেপ নেবে না, এমন একটি ধারণা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দর কমে ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। এ সময় প্রতি ডলার ৮২ দশমিক ৮৭ ইয়েনে নেমে পড়ে। এভাবে ইয়েনের অব্যাহত শক্তি বৃদ্ধি জাপানের অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে ওঠায় বুধবার সে দেশের সরকার ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বাজার থেকে ব্যাপক হারে ডলার কিনে নেওয়ার মাধ্যমে তাদের মুদ্রাবাজারে হস্তক্ষেপ করে। এতে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দর কমতে থাকে এবং এক দিনের মধ্যেই বুধবার ডলারের দর প্রায় ৩ শতাংশ বাড়ে, যা ছিল গত দুই বছরের মধ্যে ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দৈনিক দরবৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার।
যা-ই হোক, সপ্তাহ শেষে প্রতি ইউরো ১ দশমিক ৩০৩৪ ডলারে, প্রতি পাউন্ড স্টার্লিং ১ দশমিক ৫৬৩৬ ডলারে এবং প্রতি ডলার ৮৫ দশমিক ৮১ ইয়েনে লেনদেন হয়।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির আশাপ্রদ তথ্যে বিশ্ব-অর্থনীতির পুনরুদ্ধার বিষয়ে গত সপ্তাহের শুরুতে আস্থা ফিরে আসতে শুরু করে। এর বদৌলতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হয়। অন্যদিকে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অপরিশোধিত তেলের পাইপলাইন দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় তেলের মজুদ কমার আশঙ্কাও দেখা দেয়। এ অবস্থায় অপরিশোধিত তেলের নাইমেক্স সূচক বেড়ে এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। এ সময় তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৭ দশমিক ৩২ ডলারে উঠে যায়। তবে সপ্তাহ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির কিছু হতাশাজনক তথ্য প্রকাশ পেলে এবং কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র পাইপলাইন চালু হওয়ার সম্ভাবনায় তেলের দাম আবার কমতে থাকে। তবে সপ্তাহ শেষে অপরিশোধিত তেলের নাইমেক্স সূচক ব্যারেলপ্রতি ৭৪ দশমিক ৬৯ ডলারে অবস্থান করে।
এদিকে স্থানীয় আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে ঈদ-পরবর্তী প্রথম সপ্তাহে কলমানির (ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরস্পরের কাছ থেকে স্বল্প মেয়াদে নেওয়া ধার) সুদের হার কিছুটা কমে। এই সপ্তাহে কলমানির সুদের হার ছিল ৪ দশমিক ২৫ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে। এর মধ্যে বুধবার ন্যূনতম ৪ দশমিক ২৫ শতাংশে কিছু লেনদেন হলেও সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যেই বেশির ভাগ লেনদেন হয়।
আলোচ্য সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৫ বছর মেয়াদি সরকারি ট্রেজারি বন্ডের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এ ক্ষেত্রে ১৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকার দরপত্রের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার পাঁচটি দরপত্র গ্রহণ করে। আর ৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকার ট্রেজারি বন্ড প্রাইমারি ডিলারদের কাছে ডেভেলপ করা হয়। ট্রেজারি বন্ডের এই নিলামে অন্তর্নিহিত সুদের হার ৬ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে শূন্য ৮ দশমিক ৯২ শতাংশে নির্ধারিত হয়। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারি ট্রেজারি বিলের কোনো নিলাম অনুষ্ঠিত হয়নি।
No comments