জিডিপি নির্ণয়ের ভিত্তিবছর হালনাগাদ করা হবে
গত এক যুগে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আনাচেকানাচে অসংখ্য বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। আবার শুধু ঢাকাতেই গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সঙ্গে অনেক ইংরেজি মাধ্যমের কলেজ ও বিদ্যালয়। আবাসন খাত এই সময়ের মধ্যেই দাঁড়িয়েছে। জাহাজ নির্মাণ শিল্প আজ অন্যতম সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত।
কিন্তু অর্থনীতিতে বিভিন্নভাবে অবদান রাখছে এ রকম অনেক খাতেরই সঠিক কোনো তথ্য-পরিসংখ্যান নেই সরকারের কাছে। মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এসব খাত থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত।
বরং ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর ধরে ও ১৫টি খাত বিবেচনায় নিয়ে জিডিপির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র যথাযথভাবে উঠে আসছে না।
এ বাস্তবতায় ভিত্তিবছর হালনাগাদ করা ও জিডিপির খাত পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রাথমিকভাবে ১০ বছর পরপর জরিপ চালিয়ে ভিত্তিবছর পরিবর্তনসহ জিডিপির খাতগুলো পুনর্বিন্যাসের নিয়ম ছিল। সে অনুযায়ী ২০০৫-০৬ অর্থবছরকে নতুন ভিত্তিবছর ধরে জিডিপি হিসাব করার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করে ঈদের আগে এক বৈঠক ডাকে জাতীয় পরিসংখ্যান কাউন্সিল (এনএসসি)। এতে জিডিপির ভিত্তিবছর হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) ২৫টি খাতে জরিপ চালানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, উৎপাদনের বিভিন্ন খাতে পরিবর্তন, উৎপাদনে নতুন কিছু খাত যুক্ত হওয়া এবং উৎপাদন থেকে কিছু খাত বাদ পড়ে যাওয়ার কারণে জিডিপির সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। জানা যাচ্ছে না মাথাপিছু আয়ের সঠিক পরিমাণও।
ফলে অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি বা প্রবৃদ্ধি শুধু জনগণের নয়, নীতিনির্ধারকদের কাছেও বিভ্রান্তিকর ঠেকছে। সে জন্যই হালনাগাদ করা জরুরি হয়ে পড়েছে জিডিপির ভিত্তিবছর।
পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব রীতি ইব্রাহিম প্রথম আলোকে জানান, জিডিপির ভিত্তিবছর হালনাগাদ করতে ২৫টি খাতে জরিপ চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জরিপে ব্যয় হবে আট কোটি টাকা। আর সময় লাগবে দুই বছর। শিগগির অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে টাকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে।
কৃষি, বড় ও ছোট শিল্পপ্রতিষ্ঠান, রপ্তানি আয়, ব্যাংক ও আর্থিকপ্রতিষ্ঠান, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, পরিবহন খাত, হাসপাতাল-ক্লিনিক, এনজিও, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ২৫টি খাতে এ জরিপ চালানো হবে বলে জানা গেছে।
জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত সূচকে রূপান্তর করে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে জিডিপিতে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে জিডিপির নতুন ভিত্তিবছর নির্ধারণ ও খাত পুনর্বিন্যাসের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সেই কমিটির কাজে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
যোগাযোগ করা হলে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য শামসুল আলম প্রথম আলোকে জানান, ‘বর্তমানে ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর ধরে জিডিপি নির্ণয় করা হয় বলে দেশের প্রকৃত জিডিপির চিত্র পেতে অসুবিধা হচ্ছে। ভবিষ্যতে দেশীয় উৎপাদনে যুক্ত হওয়া নতুন খাতগুলো জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তারাও বলছেন, গত কয়েক বছরে বিশ্বমন্দার কারণে অর্থনীতির গতিপ্রবাহ স্বাভাবিক ছিল না। অর্থনীতির স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ না থাকলে উৎপাদনের প্রকৃত খাতগুলো উঠে আসে না।
আর তাই এনএসসির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ২০১০-১১ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর বিবেচনা করতে হলে জরিপের কাজ ২০১২ সালের মধ্যে শেষ করতে হবে। জরিপকাজের জন্য বর্তমানে চার কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। তবে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১০ কোটি টাকা করতে হবে।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমানের মত হলো, ‘জরিপের কাজে সরকারি তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করা হবে। জরিপ চালানোর জন্য কোনো দাতার কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হবে না।’ অর্থমন্ত্রী এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষজ্ঞ ও বিবিএসের কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েক বছরে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বেশ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। বেশ কয়েকটি জাহাজ রপ্তানিও হয়েছে ইতিমধ্যে। আরও জাহাজ রপ্তানির অপেক্ষায়। এ খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার লোকের। তাই নতুন করে খাতটি জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আবাসনশিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। প্লট ও ফ্ল্যাট ব্যবসায় লাখ লাখ মানুষ জড়িত। এর ফলে জিডিপিতে এ খাতের অবদান বেড়েছে। বর্তমানে ‘রিয়েল এস্টেট, ভাড়া ও অন্যান্য ব্যবসা’ শিরোনামে যে খাতটি রয়েছে, তা জিডিপির ৭ দশমিক ২০ শতাংশ।
বিগত জোট সরকারের আমলে বেশ কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের নিবন্ধন নিয়েছে। বর্তমান সরকার এসেও ১০টির নিবন্ধন দিয়েছে। এসব চ্যানেলে হাজার হাজার কর্মী কাজ করছেন। চ্যানেলগুলো ঘিরে প্রচুর প্যাকেজ নাটক ও অনুষ্ঠান নির্মাণ হচ্ছে। সামনে আরও হবে। সুতরাং এগুলোও আসবে জিডিপিতে।
এ ছাড়া লাভজনক এনজিও কার্যক্রমও জিডিপি নির্ধারণের নতুন ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। গত দেড় দশকে প্রতিষ্ঠিত এসব এনজিওতে কর্মরত ব্যক্তির অনেকেই মোটা অঙ্কের বেতন পাচ্ছেন।
বিবিএস কর্মকর্তারা আরও বলছেন, বেসরকারি খাতে শিক্ষাব্যবস্থা এখন একটি জনপ্রিয় ব্যবসায়িক কার্যক্রমে পরিণত হয়েছে। বিপুলসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে এতে, যা এত দিন জিডিপিতে যোগ হতো না। জিডিপির নতুন ভিত্তিবছরে তাই লাভজনক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস ও ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলোও যুক্ত হবে।
একইভাবে বেসরকারি খাতে চিকিৎসাব্যবস্থাও এখন লাভজনক ব্যবসা। নতুন নতুন অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করছেন হাজার হাজার চিকিৎসক, সেবিকা ও বিভিন্ন শ্রেণীর জনবল। এ খাতটিও অন্তর্ভুক্ত হবে জিডিপিতে।
উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জিডিপি নির্ধারণের পুরোনো ভিত্তিবছর ১৯৮৪-৮৫ বাদ দিয়ে ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরকে নতুন ভিত্তিবছর করা হয়। একই সঙ্গে জিডিপি খাতের সংখ্যা ১১টি থেকে বাড়িয়ে ১৫টি করা হয়।
কিন্তু অর্থনীতিতে বিভিন্নভাবে অবদান রাখছে এ রকম অনেক খাতেরই সঠিক কোনো তথ্য-পরিসংখ্যান নেই সরকারের কাছে। মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এসব খাত থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত।
বরং ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর ধরে ও ১৫টি খাত বিবেচনায় নিয়ে জিডিপির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র যথাযথভাবে উঠে আসছে না।
এ বাস্তবতায় ভিত্তিবছর হালনাগাদ করা ও জিডিপির খাত পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রাথমিকভাবে ১০ বছর পরপর জরিপ চালিয়ে ভিত্তিবছর পরিবর্তনসহ জিডিপির খাতগুলো পুনর্বিন্যাসের নিয়ম ছিল। সে অনুযায়ী ২০০৫-০৬ অর্থবছরকে নতুন ভিত্তিবছর ধরে জিডিপি হিসাব করার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করে ঈদের আগে এক বৈঠক ডাকে জাতীয় পরিসংখ্যান কাউন্সিল (এনএসসি)। এতে জিডিপির ভিত্তিবছর হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) ২৫টি খাতে জরিপ চালানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, উৎপাদনের বিভিন্ন খাতে পরিবর্তন, উৎপাদনে নতুন কিছু খাত যুক্ত হওয়া এবং উৎপাদন থেকে কিছু খাত বাদ পড়ে যাওয়ার কারণে জিডিপির সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। জানা যাচ্ছে না মাথাপিছু আয়ের সঠিক পরিমাণও।
ফলে অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি বা প্রবৃদ্ধি শুধু জনগণের নয়, নীতিনির্ধারকদের কাছেও বিভ্রান্তিকর ঠেকছে। সে জন্যই হালনাগাদ করা জরুরি হয়ে পড়েছে জিডিপির ভিত্তিবছর।
পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব রীতি ইব্রাহিম প্রথম আলোকে জানান, জিডিপির ভিত্তিবছর হালনাগাদ করতে ২৫টি খাতে জরিপ চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জরিপে ব্যয় হবে আট কোটি টাকা। আর সময় লাগবে দুই বছর। শিগগির অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে টাকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে।
কৃষি, বড় ও ছোট শিল্পপ্রতিষ্ঠান, রপ্তানি আয়, ব্যাংক ও আর্থিকপ্রতিষ্ঠান, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, পরিবহন খাত, হাসপাতাল-ক্লিনিক, এনজিও, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ২৫টি খাতে এ জরিপ চালানো হবে বলে জানা গেছে।
জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত সূচকে রূপান্তর করে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে জিডিপিতে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে জিডিপির নতুন ভিত্তিবছর নির্ধারণ ও খাত পুনর্বিন্যাসের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সেই কমিটির কাজে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
যোগাযোগ করা হলে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য শামসুল আলম প্রথম আলোকে জানান, ‘বর্তমানে ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর ধরে জিডিপি নির্ণয় করা হয় বলে দেশের প্রকৃত জিডিপির চিত্র পেতে অসুবিধা হচ্ছে। ভবিষ্যতে দেশীয় উৎপাদনে যুক্ত হওয়া নতুন খাতগুলো জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তারাও বলছেন, গত কয়েক বছরে বিশ্বমন্দার কারণে অর্থনীতির গতিপ্রবাহ স্বাভাবিক ছিল না। অর্থনীতির স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ না থাকলে উৎপাদনের প্রকৃত খাতগুলো উঠে আসে না।
আর তাই এনএসসির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ২০১০-১১ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর বিবেচনা করতে হলে জরিপের কাজ ২০১২ সালের মধ্যে শেষ করতে হবে। জরিপকাজের জন্য বর্তমানে চার কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। তবে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১০ কোটি টাকা করতে হবে।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমানের মত হলো, ‘জরিপের কাজে সরকারি তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করা হবে। জরিপ চালানোর জন্য কোনো দাতার কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হবে না।’ অর্থমন্ত্রী এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষজ্ঞ ও বিবিএসের কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েক বছরে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বেশ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। বেশ কয়েকটি জাহাজ রপ্তানিও হয়েছে ইতিমধ্যে। আরও জাহাজ রপ্তানির অপেক্ষায়। এ খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার লোকের। তাই নতুন করে খাতটি জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আবাসনশিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। প্লট ও ফ্ল্যাট ব্যবসায় লাখ লাখ মানুষ জড়িত। এর ফলে জিডিপিতে এ খাতের অবদান বেড়েছে। বর্তমানে ‘রিয়েল এস্টেট, ভাড়া ও অন্যান্য ব্যবসা’ শিরোনামে যে খাতটি রয়েছে, তা জিডিপির ৭ দশমিক ২০ শতাংশ।
বিগত জোট সরকারের আমলে বেশ কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের নিবন্ধন নিয়েছে। বর্তমান সরকার এসেও ১০টির নিবন্ধন দিয়েছে। এসব চ্যানেলে হাজার হাজার কর্মী কাজ করছেন। চ্যানেলগুলো ঘিরে প্রচুর প্যাকেজ নাটক ও অনুষ্ঠান নির্মাণ হচ্ছে। সামনে আরও হবে। সুতরাং এগুলোও আসবে জিডিপিতে।
এ ছাড়া লাভজনক এনজিও কার্যক্রমও জিডিপি নির্ধারণের নতুন ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। গত দেড় দশকে প্রতিষ্ঠিত এসব এনজিওতে কর্মরত ব্যক্তির অনেকেই মোটা অঙ্কের বেতন পাচ্ছেন।
বিবিএস কর্মকর্তারা আরও বলছেন, বেসরকারি খাতে শিক্ষাব্যবস্থা এখন একটি জনপ্রিয় ব্যবসায়িক কার্যক্রমে পরিণত হয়েছে। বিপুলসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে এতে, যা এত দিন জিডিপিতে যোগ হতো না। জিডিপির নতুন ভিত্তিবছরে তাই লাভজনক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস ও ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলোও যুক্ত হবে।
একইভাবে বেসরকারি খাতে চিকিৎসাব্যবস্থাও এখন লাভজনক ব্যবসা। নতুন নতুন অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করছেন হাজার হাজার চিকিৎসক, সেবিকা ও বিভিন্ন শ্রেণীর জনবল। এ খাতটিও অন্তর্ভুক্ত হবে জিডিপিতে।
উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জিডিপি নির্ধারণের পুরোনো ভিত্তিবছর ১৯৮৪-৮৫ বাদ দিয়ে ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরকে নতুন ভিত্তিবছর করা হয়। একই সঙ্গে জিডিপি খাতের সংখ্যা ১১টি থেকে বাড়িয়ে ১৫টি করা হয়।
No comments