বার্সায় মেসির এক দশক
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০০০। আর্জেন্টিনার রোজারিও থেকে স্পেনের বার্সেলোনা শহরে এসেছিল খর্বাকৃতির ছেলেটি। লোকমুখে বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের কর্মকর্তারা আগেই ছেলেটির জাদুকরি ক্ষমতার কথা শুনেছিলেন। সামনাসামনি দেখে আর তর সইল না কার্লেস রেক্সাসের। বার্সেলোনায় জনশ্রুতি, হাতের কাছে একটা টিস্যু পেপার পেয়ে তাতেই ছেলেটিকে দিয়ে একটি সই করিয়ে রেখেছিলেন।
সে টিস্যু পেপার হোক ছেঁড়া কাগজ; এই একটা সই করানোর জন্য রেক্সাসের কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে যেতে হবে বার্সেলোনা সমর্থকদের। কারণ ঠিক ১০ বছর আগে ভদ্রলোক যাঁকে সই করিয়েছিলেন, খর্বাকৃতির সেই ছেলেটি আজকের দুনিয়া কাঁপানো ফুটবলার লিওনেল আন্দ্রেস মেসি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর মেসির ১০ বছর পূর্তি হলো বার্সেলোনায়। ১০ বছর আগে রোজারিও থেকে যখন বার্সেলোনায় এসেছিলেন, তখন ছিলেন বিরল হরমোন রোগে আক্রান্ত একটি অস্বাভাবিক শিশু। এই ১০ বছরে নিজেকে পরিণত করেছেন একজন অসাধারণ ফুটবলারে।
মেসিকে নিয়ে আর্জেন্টিনার আক্ষেপ থাকাটা স্বাভাবিক। সেই বালক বয়সে একটা যুব বিশ্বকাপ আর গত অলিম্পিকের সোনা ছাড়া জাতীয় দলকে এমন বলার মতো কিছু এনে দিতে পারেননি এই খুদে জাদুকর। কিন্তু ২০০৩ সালে বার্সেলোনার মূল দলে খেলা শুরু করার পর থেকে ট্রফি আর ট্রফিতে ভেসে যাওয়ার জোগাড় মেসির শোকেস। মেসির বাসার ঔজ্জ্বল্য এতে যেমন বেড়েছে, তেমনই বার্সেলোনাকে চড়িয়ে দিয়েছেন সাফল্যের বর্ণিল এক জয়রথে।
বার্সেলোনার হয়ে মেসি এই সময়ে দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন; যার শেষটিকে একেবারেই মেসিময় বলা চলে। বার্সেলোনার হয়ে এ ছাড়া ৪টি লা লিগা, একটি কোপা ডেল রে, ৪টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, একটি উয়েফা সুপার কাপ এবং একটি ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন।
এসব পরিসংখ্যান বার্সার মেসিকে হয়তো পুরোপুরি চেনাতে পারেনি। এই সময়ে যাঁরা দলের সঙ্গে ছিলেন, শিরোপাগুলো তো সবাই-ই জিতেছেন! তাহলে মেসির বিশেষ কৃতিত্ব কোথায়? সেটা আসলে তিন-চার মৌসুম ধরে ম্যাচের পর ম্যাচ মেসির অতিমানবীয় খেলা না দেখলে বোঝা কঠিন। তার পরও গোল করা ও করানোর পরিসংখ্যান দিয়ে কিছুটা বোঝার চেষ্টা করা যেতে পারে।
বার্সেলোনার হয়ে ১০ বছরের এই ক্যারিয়ারে মেসি ২১৯ ম্যাচে ১৩৩টি গোল করেছেন, ৫৪টি করিয়েছেন। হিসাবটা আরও একটু নির্দিষ্ট করা যাক। ২০০৮-০৯ মৌসুম থেকে সর্বশেষ ম্যাচ পর্যন্ত মেসি বার্সেলোনার হয়ে ১০৯ ম্যাচে ৯১ গোল করেছেন; করিয়েছেন ৩৪টি। এর মধ্যে সর্বশেষ মৌসুমে ৪৭ গোল করে এক মৌসুমে ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করার রোনালদোর রেকর্ড ছুঁয়েছেন।
বার্সেলোনার বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোল তাঁর এবং ক্লাবের সর্বকালের সবচেয়ে বেশি গোলদাতাদের তালিকায় তাঁর নাম এখন ৭ নম্বরে। সম্প্রতি রিভালদোকে ছাড়িয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা (২৯) হয়েছেন। সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলে ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে মেসির দরকার আর মাত্র ৩ গোল।
বয়স মাত্র ২৩! এখনই মেসি তৃপ্তির একটা ঢেকুর তুলতে পারেন। বার্সেলোনায় নিজের ১০ বছর পূর্তিতে আয়েশি ভাব নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন, কি জিতিনি আমি?
কিন্তু এখনো যে আসল জিনিসটাই জিততে পারলেন না—বিশ্বকাপ!
সে টিস্যু পেপার হোক ছেঁড়া কাগজ; এই একটা সই করানোর জন্য রেক্সাসের কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে যেতে হবে বার্সেলোনা সমর্থকদের। কারণ ঠিক ১০ বছর আগে ভদ্রলোক যাঁকে সই করিয়েছিলেন, খর্বাকৃতির সেই ছেলেটি আজকের দুনিয়া কাঁপানো ফুটবলার লিওনেল আন্দ্রেস মেসি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর মেসির ১০ বছর পূর্তি হলো বার্সেলোনায়। ১০ বছর আগে রোজারিও থেকে যখন বার্সেলোনায় এসেছিলেন, তখন ছিলেন বিরল হরমোন রোগে আক্রান্ত একটি অস্বাভাবিক শিশু। এই ১০ বছরে নিজেকে পরিণত করেছেন একজন অসাধারণ ফুটবলারে।
মেসিকে নিয়ে আর্জেন্টিনার আক্ষেপ থাকাটা স্বাভাবিক। সেই বালক বয়সে একটা যুব বিশ্বকাপ আর গত অলিম্পিকের সোনা ছাড়া জাতীয় দলকে এমন বলার মতো কিছু এনে দিতে পারেননি এই খুদে জাদুকর। কিন্তু ২০০৩ সালে বার্সেলোনার মূল দলে খেলা শুরু করার পর থেকে ট্রফি আর ট্রফিতে ভেসে যাওয়ার জোগাড় মেসির শোকেস। মেসির বাসার ঔজ্জ্বল্য এতে যেমন বেড়েছে, তেমনই বার্সেলোনাকে চড়িয়ে দিয়েছেন সাফল্যের বর্ণিল এক জয়রথে।
বার্সেলোনার হয়ে মেসি এই সময়ে দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন; যার শেষটিকে একেবারেই মেসিময় বলা চলে। বার্সেলোনার হয়ে এ ছাড়া ৪টি লা লিগা, একটি কোপা ডেল রে, ৪টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, একটি উয়েফা সুপার কাপ এবং একটি ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন।
এসব পরিসংখ্যান বার্সার মেসিকে হয়তো পুরোপুরি চেনাতে পারেনি। এই সময়ে যাঁরা দলের সঙ্গে ছিলেন, শিরোপাগুলো তো সবাই-ই জিতেছেন! তাহলে মেসির বিশেষ কৃতিত্ব কোথায়? সেটা আসলে তিন-চার মৌসুম ধরে ম্যাচের পর ম্যাচ মেসির অতিমানবীয় খেলা না দেখলে বোঝা কঠিন। তার পরও গোল করা ও করানোর পরিসংখ্যান দিয়ে কিছুটা বোঝার চেষ্টা করা যেতে পারে।
বার্সেলোনার হয়ে ১০ বছরের এই ক্যারিয়ারে মেসি ২১৯ ম্যাচে ১৩৩টি গোল করেছেন, ৫৪টি করিয়েছেন। হিসাবটা আরও একটু নির্দিষ্ট করা যাক। ২০০৮-০৯ মৌসুম থেকে সর্বশেষ ম্যাচ পর্যন্ত মেসি বার্সেলোনার হয়ে ১০৯ ম্যাচে ৯১ গোল করেছেন; করিয়েছেন ৩৪টি। এর মধ্যে সর্বশেষ মৌসুমে ৪৭ গোল করে এক মৌসুমে ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করার রোনালদোর রেকর্ড ছুঁয়েছেন।
বার্সেলোনার বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোল তাঁর এবং ক্লাবের সর্বকালের সবচেয়ে বেশি গোলদাতাদের তালিকায় তাঁর নাম এখন ৭ নম্বরে। সম্প্রতি রিভালদোকে ছাড়িয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা (২৯) হয়েছেন। সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলে ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে মেসির দরকার আর মাত্র ৩ গোল।
বয়স মাত্র ২৩! এখনই মেসি তৃপ্তির একটা ঢেকুর তুলতে পারেন। বার্সেলোনায় নিজের ১০ বছর পূর্তিতে আয়েশি ভাব নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন, কি জিতিনি আমি?
কিন্তু এখনো যে আসল জিনিসটাই জিততে পারলেন না—বিশ্বকাপ!
No comments