মিশ্র প্রবণতায় শেষ হলো শেয়ারবাজারের লেনদেন
ঈদের ছুটির আগে শেয়ারবাজারে গতকাল বুধবার ছিল শেষ লেনদেন। টানা চার দিন ছুটির পর আগামী সোমবার থেকে লেনদেন আবার চালু হবে।
শেষ দিনে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন কিছুটা মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্যসূচক সামান্য বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান দুটি সূচকই কমেছে। অবশ্য সিএসইতে অপেক্ষাকৃত ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি নিয়ে গঠিত সিএসই-৩০ সূচক উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
তবে সূচক বাড়লেও গতকাল দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তার পরও সূচক বাড়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে ধারার বিপরীতে হঠাৎ করেই ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের মূল্য উল্লম্ফন। অন্তত গতকালের বাজার সম্পর্কে বিশ্লেষকদের সেটাই ধারণা। এর বাইরে মিউচুয়াল ফান্ডের দামেও ছিল ঊর্ধ্বগতি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঋণসুবিধাবহির্ভূত শেয়ারে ঈদের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবস থেকে আর্থিক সমন্বয়-সুবিধা বা নেটিং ফ্যাসিলিটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) সাম্প্রতিক এ সিদ্ধান্ত ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কারণ ব্যাংকিং খাতসহ হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানি নেটিংসুবিধার বাইরে চলে যাবে।
অর্থাৎ, হাতে থাকা কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে লেনদেন নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত বিক্রিলব্ধ টাকা দিয়ে অন্য কোম্পানির শেয়ার কেনা যাবে না। তার মানে বিক্রির পর ঋণসুবিধাবহির্ভূত শেয়ার কিনতে একজন বিনিয়োগকারীকে কোম্পানিভেদে চার থেকে ১০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ফলে বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিকভাবেই ঋণ পাওয়া যায় এবং নেটিংসুবিধা রয়েছে, এমন কোম্পানির দিকেই ঝুঁকবে।
গতকালের বাজারের লেনদেনের গতিপ্রকৃতি দেখে তেমন ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে বলে জানান বিশ্লেষকেরা।
বর্তমানে যেসব কোম্পানির আয় অনুপাতে মূল্য বা পিই ৪০ পয়েন্টের বেশি, সেসব কোম্পানি ঋণসুবিধা পায় না। এ ছাড়া ‘জেড’ শ্রেণীভুক্ত কোম্পানি এবং তালিকাভুক্তি বা শ্রেণী পরিবর্তনের মেয়াদ এখনো ৩০ কার্যদিবস অতিক্রম করেনি, এমন কোম্পানি ঋণসুবিধার বাইরে রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি কোম্পানি ঋণ ও নেটিংসুবিধা পাবে না।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাজারের গড় পিই ২৬ পয়েন্টের মতো। আর ব্যাংকিং খাতের গড় পিই এর প্রায় অর্ধেক। পিই তুলনামূলক কম হওয়ার পরও প্রায় দুই মাস সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকিং খাতের শেয়ার থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন।
এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজারে তারল্যপ্রবাহ কমাতে এসইসি একাধিক পদক্ষেপ নেয়। একেক সময় একেক ধরনের পদক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রায় সব ধরনের বিনিয়োগকারী ঋণবহির্ভূত স্বল্প মূলধনের শেয়ারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তাই ঋণসুবিধা থাকার পরও অপেক্ষাকৃত বড় মূলধনের হওয়ায় ব্যাংকিং খাত জৌলুশ হারায়। এখন আবার ঋণসুবিধাবহির্ভূত কোম্পানিতে নেটিং বন্ধ হওয়ায় নতুন করে এ খাতে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে বেড়ে ছয় হাজার ৮০৭ পয়েন্ট হয়েছে। লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬০৪ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৯৮ কোটি টাকা বেশি। তবে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৭৩টির দামই কমেছে। বেড়েছে মাত্র ৮১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল তিনটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৮ পয়েন্ট কমে ২০ হাজার ১৭৮ পয়েন্ট হয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম কমেছে ১১৮টির ও বেড়েছে ৭২টির।
শেষ দিনে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন কিছুটা মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্যসূচক সামান্য বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান দুটি সূচকই কমেছে। অবশ্য সিএসইতে অপেক্ষাকৃত ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি নিয়ে গঠিত সিএসই-৩০ সূচক উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
তবে সূচক বাড়লেও গতকাল দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তার পরও সূচক বাড়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে ধারার বিপরীতে হঠাৎ করেই ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের মূল্য উল্লম্ফন। অন্তত গতকালের বাজার সম্পর্কে বিশ্লেষকদের সেটাই ধারণা। এর বাইরে মিউচুয়াল ফান্ডের দামেও ছিল ঊর্ধ্বগতি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঋণসুবিধাবহির্ভূত শেয়ারে ঈদের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবস থেকে আর্থিক সমন্বয়-সুবিধা বা নেটিং ফ্যাসিলিটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) সাম্প্রতিক এ সিদ্ধান্ত ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কারণ ব্যাংকিং খাতসহ হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানি নেটিংসুবিধার বাইরে চলে যাবে।
অর্থাৎ, হাতে থাকা কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে লেনদেন নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত বিক্রিলব্ধ টাকা দিয়ে অন্য কোম্পানির শেয়ার কেনা যাবে না। তার মানে বিক্রির পর ঋণসুবিধাবহির্ভূত শেয়ার কিনতে একজন বিনিয়োগকারীকে কোম্পানিভেদে চার থেকে ১০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ফলে বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিকভাবেই ঋণ পাওয়া যায় এবং নেটিংসুবিধা রয়েছে, এমন কোম্পানির দিকেই ঝুঁকবে।
গতকালের বাজারের লেনদেনের গতিপ্রকৃতি দেখে তেমন ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে বলে জানান বিশ্লেষকেরা।
বর্তমানে যেসব কোম্পানির আয় অনুপাতে মূল্য বা পিই ৪০ পয়েন্টের বেশি, সেসব কোম্পানি ঋণসুবিধা পায় না। এ ছাড়া ‘জেড’ শ্রেণীভুক্ত কোম্পানি এবং তালিকাভুক্তি বা শ্রেণী পরিবর্তনের মেয়াদ এখনো ৩০ কার্যদিবস অতিক্রম করেনি, এমন কোম্পানি ঋণসুবিধার বাইরে রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি কোম্পানি ঋণ ও নেটিংসুবিধা পাবে না।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাজারের গড় পিই ২৬ পয়েন্টের মতো। আর ব্যাংকিং খাতের গড় পিই এর প্রায় অর্ধেক। পিই তুলনামূলক কম হওয়ার পরও প্রায় দুই মাস সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকিং খাতের শেয়ার থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন।
এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজারে তারল্যপ্রবাহ কমাতে এসইসি একাধিক পদক্ষেপ নেয়। একেক সময় একেক ধরনের পদক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রায় সব ধরনের বিনিয়োগকারী ঋণবহির্ভূত স্বল্প মূলধনের শেয়ারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তাই ঋণসুবিধা থাকার পরও অপেক্ষাকৃত বড় মূলধনের হওয়ায় ব্যাংকিং খাত জৌলুশ হারায়। এখন আবার ঋণসুবিধাবহির্ভূত কোম্পানিতে নেটিং বন্ধ হওয়ায় নতুন করে এ খাতে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে বেড়ে ছয় হাজার ৮০৭ পয়েন্ট হয়েছে। লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬০৪ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৯৮ কোটি টাকা বেশি। তবে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৭৩টির দামই কমেছে। বেড়েছে মাত্র ৮১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল তিনটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৮ পয়েন্ট কমে ২০ হাজার ১৭৮ পয়েন্ট হয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম কমেছে ১১৮টির ও বেড়েছে ৭২টির।
No comments