যুক্তরাষ্ট্র কখনো ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি : ওবামা
চরম বিভক্তি ও চাপা উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াল ১১ সেপ্টেম্বরে নিহতদের স্মরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার নবম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনো ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কোন ধর্মের পক্ষ থেকে হামলার ঘটনা ঘটেনি। আল কায়দার মত বিপৎগামী জঙ্গিরা এ হামলার জন্য দায়ী। বারাক ওবামা এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে সহনশীল এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিবারের মতো এবারও ১১ সেপ্টেম্বর নিহতদের স্মরণ করার জন্য ব্যাপক আয়োজন ছিল। সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে গ্রাউন্ড জিরো এলাকায়। একে একে নিহতদের নাম পাঠ করেন অশ্রুসিক্ত স্বজনেরা। গ্রাউন্ড জিরো সংলগ্ন এলাকায় সম্প্রতি একটি ইসলামি কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। এবারের ১১ সেপ্টেম্বরের স্মরণসভায় এ বিতর্কের চিত্র ফুটে ওঠে। গতকাল নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করতে আসা মানুষের মধ্যে বিভক্তি দেখা গেছে। একপক্ষ ইসলামিক সেন্টার নির্মাণকে নিহতদের প্রতি অবমাননা বলে শ্লোগান দিতে থাকে। ব্যাপক পোস্টার-লিফলেট নিয়ে এ দলটি উপস্থিত হয় গ্রাউন্ড জিরো এলাকায়। অপরদিকে ইসলামিক কেন্দ্র স্থাপনের সঙ্গে ১১ সেপ্টেম্বর হামলার কোন যোগসূত্র নেই- এমন বক্তব্য নিয়ে ছিল অন্যপক্ষের অবস্থান। শক্ত পুলিশি বাধার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনাকর উপস্থিতি ছিল শনিবারের স্মরণসভায়।
উত্তেজনা প্রশমন এবং আন্তধর্মীয় সহিষ্ণুতার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশবাসীর সম্প্রতি কয়েক দফা আহ্বান জানিয়েছেন। সব ধর্মের সব মতের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে যে দেশটির প্রতিষ্ঠা; সেখানে কোনো ধর্মের ওপর আক্রমণ করার অবকাশ নেই- এমন কথা কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। যদিও প্রভাবশালী রক্ষণশীলদের উসকানি প্রদান অব্যাহত রয়েছে। রিপাবলিকান দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সারাহ পলিন, সাবেক স্পীকার নিউই গিংগ্রীচও ইসলামী কেন্দ্র স্থাপনের বিপক্ষে প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখছেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ১৯ জন জঙ্গি চারটি বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে। এর পরই সন্ত্রাসীরা দুটি বিমান নিয়ে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলা চালায়। এতে বিমানদুটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় এবং মাটিতে মিশে যায় বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের বিশাল ভবনটি। একটা বিমান নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগনে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে পেন্টাগনের একাংশের ক্ষতি হয়। অপর বিমানটি পেনসিলভেনিয়ার বিধ্বস্ত হয়।
প্রতিবারের মতো এবারও ১১ সেপ্টেম্বর নিহতদের স্মরণ করার জন্য ব্যাপক আয়োজন ছিল। সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে গ্রাউন্ড জিরো এলাকায়। একে একে নিহতদের নাম পাঠ করেন অশ্রুসিক্ত স্বজনেরা। গ্রাউন্ড জিরো সংলগ্ন এলাকায় সম্প্রতি একটি ইসলামি কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। এবারের ১১ সেপ্টেম্বরের স্মরণসভায় এ বিতর্কের চিত্র ফুটে ওঠে। গতকাল নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করতে আসা মানুষের মধ্যে বিভক্তি দেখা গেছে। একপক্ষ ইসলামিক সেন্টার নির্মাণকে নিহতদের প্রতি অবমাননা বলে শ্লোগান দিতে থাকে। ব্যাপক পোস্টার-লিফলেট নিয়ে এ দলটি উপস্থিত হয় গ্রাউন্ড জিরো এলাকায়। অপরদিকে ইসলামিক কেন্দ্র স্থাপনের সঙ্গে ১১ সেপ্টেম্বর হামলার কোন যোগসূত্র নেই- এমন বক্তব্য নিয়ে ছিল অন্যপক্ষের অবস্থান। শক্ত পুলিশি বাধার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনাকর উপস্থিতি ছিল শনিবারের স্মরণসভায়।
উত্তেজনা প্রশমন এবং আন্তধর্মীয় সহিষ্ণুতার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশবাসীর সম্প্রতি কয়েক দফা আহ্বান জানিয়েছেন। সব ধর্মের সব মতের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে যে দেশটির প্রতিষ্ঠা; সেখানে কোনো ধর্মের ওপর আক্রমণ করার অবকাশ নেই- এমন কথা কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। যদিও প্রভাবশালী রক্ষণশীলদের উসকানি প্রদান অব্যাহত রয়েছে। রিপাবলিকান দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সারাহ পলিন, সাবেক স্পীকার নিউই গিংগ্রীচও ইসলামী কেন্দ্র স্থাপনের বিপক্ষে প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখছেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ১৯ জন জঙ্গি চারটি বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে। এর পরই সন্ত্রাসীরা দুটি বিমান নিয়ে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলা চালায়। এতে বিমানদুটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় এবং মাটিতে মিশে যায় বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের বিশাল ভবনটি। একটা বিমান নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগনে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে পেন্টাগনের একাংশের ক্ষতি হয়। অপর বিমানটি পেনসিলভেনিয়ার বিধ্বস্ত হয়।
No comments